ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

খাইরুল আনাম শাকিলেল গানে মুগ্ধ শ্রোতা

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১১ মার্চ ২০১৭

খাইরুল আনাম শাকিলেল গানে মুগ্ধ শ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফাল্গুনী সন্ধ্যায় গানে গানে হৃদয় ভরালেন শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল। চৈত্রের খরতাপের আগমনী আভাস উপেক্ষা করে জাতীয় জাদুঘরে শ্রোতার উপস্থিতি শুক্রবার ছিল চোখে পড়ার মতো। কাজী নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে, অতুল প্রসাদ, ডিএল রায়, রজনীকান্ত সেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সবার গানই ছিল শিল্পীর কণ্ঠে। ফেলে আসা দিনের কালজয়ী গানও গেয়ে শোনালেন তিনি একের পর এক। ‘প্রথম প্রদীপ জ্বালো মম ভবনে হে আয়ুষ্মতী আঁধার ঘিরে আশার আলো আনুক তোমার গৃহের জ্যোতি’ নজরুল সঙ্গীত দিয়ে শুরু করেন শিল্পীর একক পরিবেশনা। পুরো মিলনায়নজুড়ে ছিল নিস্তব্ধতা। এ গানের মাধ্যমে শিল্পী যেন বন্দনা করে নিলেন তার আসরটিকে। পর পর পরিবেশন করেন নজরুলের বেশ কয়েকটি গান। গানগুলো হচ্ছে- ‘গভীর নিশিথে ঘুম ভেঙ্গে যায় কে যেন আমারে ডাকে’, মোছাফির মোছরে আঁখি জল ফিরে চল আপনারে নিয়া, তোমার আঁখির মতো আকাশের দুটি তারা, আমার কোন কূলে আজ ভিড়ল তরী, চৈতালী চাঁদনী রাতে ও আবার ভালবাসার স্বাদ জাগে। ধীরে ধীরে অনুষ্ঠানের গাম্ভীর্যতা বাড়তে লাগল। শিল্পী যেমন গানের মধ্যে নিজেকে মগ্ন রেখেছেন, শ্রোতাও তেমনি যেন ভিন্ন ভিন্ন এক এক স্বাদের গানে নিজেদের মগ্ন রাখতে লাগল। এরপর শিল্পী শুরু করে অতুল প্রসাদের গান। চমৎকারভাবে পরিবেশন করেন ‘একা মোর গানের তরী ভাসিয়ে ছিলাম নয়ন জলে’ ও ‘মম মনের বিজনে আমি মিলিত তব সনে’। পরে গেয়ে শোনান ডিএল রায়ের গান ‘আজি গাও মহাগীত’। শিল্পীর পরের পরিবেশনায় ছিল রজনীকান্ত সেনের ‘মধুর সেই মুখখানি’ গানটি। ‘গায়ে আমার পুলক লাগে’ ও ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো’ পর পর এ দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনের পর শিল্পী ফিরে আসেন ফেলে আসা দিনের কালজয়ী আধুনিক গানে। সলীল চৌধুরীর ‘আমায় প্রশ্ন করে নীল ধ্রুবতারা’ দিয়ে শুরু করেন আধুনিক গানের পর্ব। গেয়ে শোনান গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা গান ‘কে যেন আজ আমার চোখে’। শিল্পীর পরের পরিবেশনায় ছিল ‘তুমি সন্ধ্যাকাশের তারা’, ‘আমায় বলো না ভুলিতে’সহ বেশ কিছু আধুনিক গান। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে শিল্পীর পছন্দ আর শ্রোতাদের পছন্দ মিলে গান করেন শিল্পী। তার শেষ পরিবেশনায় ছিল ‘পদ্মার ঢেউ রে মোর শূন্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে’ নজরুল সঙ্গীত। রবীন্দ্র সরোবরে শুরু হয়েছে ‘শেকল ভাঙ্গার পদ্য’ আবৃত্তি উৎসব ॥ রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে শুক্রবার বিকেলে শুরু হয়েছে ‘শেকল ভাঙ্গার পদ্য’ শিরোনামে দুই দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের আবৃত্তি উৎসব। আবৃত্তি সংগঠন বাকশিল্পাঙ্গনের ষষ্ঠ এ আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। উৎসবে সম্মাননা জানানো হয় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, আবৃত্তিশিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, আশরাফুল আলম, কাজী আরিফ, পঞ্চানন চৌধুরী, মানবেন্দ্র বটব্যাল ও ডালিয়া আহমেদকে। আলোচনা পর্বের পরে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী পর্বে জাতীয় সঙ্গীত ও গণসঙ্গীত পরিবেশন করে অঙ্কন শিক্ষালয় ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। শিল্পী সিদ্ধার্থ তালুকদারের একক চিত্রপ্রদর্শনী আলিয়ঁসে ॥ পেন্সিল স্কেচের পর জল রংয়ের মিশ্রণে আঁকা নারীর বিমূর্ত মুখ, বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ি, প্রকৃতির ধ্বংস লীলাসহ বিভিন্ন ছবি শোভা পাচ্ছে গ্যালারির কোল ঘেঁষে। তেল রং, জল রং, এ্যাক্রেলিক, প্যাস্টেল ও মিশ্র মাধ্যমের এ ছবিগুলো এঁকেছেন শিল্পী অধ্যাপক সিদ্ধার্থ তালুকদার। এসব ছবি নিয়ে ঢাকার আলিয়ঁস ফ্রঁসেসের লা গ্যালারিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে শিল্পীর ‘আত্মপ্রকাশ’ শীর্ষক একক চিত্রপ্রদর্শনী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চিত্র সমালোচক অধ্যাপক মইনুদ্দীন খালেদ ও চিত্রশিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি আলিয়ঁস ফ্রঁসেস দো ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাসের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী পর্ব। অতিথিরা বলেন, অধ্যাপক সিদ্ধার্থ তালুকদার ৪০ বছর ধরে চারুকলার সৃজনে সক্রিয় রয়েছেন। যদিও শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছেন, কিন্তু একক কোন প্রদর্শনী আয়োজন করেননি। অকাল প্রয়াত চার নাট্যযোদ্ধা স্মরণ ॥ অকাল চলে গেছে চার নাট্যকর্মী মেহেদী হাসান অভি, জসিম উদ্দিন নাছির, রফিকুল ইসলাম ও অপু আমান। তাদের স্মৃতির উদ্দেশে সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আয়োজন করে ‘স্মৃতিতে অম্লান’ শীর্ষক স্মৃতিচারণ ও বিশেষ নাট্য প্রদর্শনী। কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের জাতীয় সম্মেলন শুরু ॥ ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের সংগ্রাম ও শান্তিকে উজ্জীবিত করে। ভাষার জন্য আন্দেলন করে, স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছি। সব আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সংস্কৃতি বিশেষ অবদান রেখেছে’- শিশু একাডেমিতে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধনের সময় ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক এ কথা বলেন।
×