ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মজুরি না পেয়ে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১০ মার্চ ২০১৭

মজুরি না পেয়ে কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

সংবাদদাতা, বদরগঞ্জ, রংপুর, ৯ মার্চ ॥ বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নে ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচীর মজুরি না পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে তারা সোনালী ব্যাংক বদরগঞ্জ শাখায় টাকা তুলতে আসেন। কিন্তু ব্যাংকের ব্যবস্থাপক তাদের রবিবারে আসতে বলেন। এ নিয়ে তারা ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে দুপুরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রুহুল আলম টাকা দেয়ার আশ^াস দিলে তারা শান্ত হন। সূত্র মতে জানা যায়, ওই ইউনিয়নে গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪০ দিনের কর্মসৃজনের মাটি কাটার কাজ শুরু হয়। প্রতি সপ্তাহে পাঁচদিন শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাটি কাটার কাজ চলে। প্রত্যেক শ্রমিক দিন ২০০ টাকা করে পাবেন। প্রত্যেকের নামে ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট রয়েছে। প্রতি বৃহস্পতিবার তারা চেকের মাধ্যমে সরাসরি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন। শ্রমিক রোস্তম আলী (৪০) ও গৃহবধূ ছাবিনা খাতুন বলেন, আমরা একদিন অন্যের কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না। একমাস ধরে মাটি কাটার কাজ করছি। কিন্তু ব্যাংকে এসে টাকা পাচ্ছি না। ম্যানেজার স্যার টাকা না দিয়ে খালি ঘুরাচ্ছেন। এক মাসে সংসার চালাতে আমাদের অনেক ধারদেনা হয়েছে। মধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়নাল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘শ্রমিকদের টাকা ব্যাংকে আছে। কিন্তু ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অসৎ উদ্দেশ্যে শ্রমিকদের টাকা না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনালী ব্যাংক বদরগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক রুহুল আলম বলেন, ‘ওই ইউনিয়ন প্রকল্প চেয়ারম্যানেরা শ্রমিকদের পেমেন্ট বিল জমা না দিয়ে মাস্টাররোলে টাকা চান। কিন্তু বিধি মোতাবেক না হওয়ায় আমি দেইনি। আজ তারা পেমেন্ট বিল জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখনও অনেক শ্রমিক এ্যাকাউন্ট খোলেনি। যাদের এ্যাকাউন্ট খোলা আছে, তাদের চেকের মাধ্যমে টাকা দেয়া হবে। প্রকাশিত খবরে বিসিআইসির ব্যাখ্যা গুদামে রক্ষিত জমাটবাঁধা ও ছেঁড়া, ফাটা বস্তাগুলো স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ৫০ কেজি ওজন করে রি-ব্যাগিং কার্যক্রম চলছে। কোন ডিলারকে জমাটবাঁধা সার সরবরাহ করা হচ্ছে না। ডিলার প্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের মিলিত সম্মতিক্রমে রি-ব্যাগিং এর মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে। যা গ্রহণ করে কোন ডিলার স্থানীয় প্রশাসনের নিকট কোন অভিযোগ করেননি। বর্তমানে পিক সিজনে ৫০ কেজি ওজনের সার গ্রহণ ও বিতরণ করা হচ্ছে। কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালকের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে উপজেলার চাহিদা মোতাবেক সার সরবরাহ করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ অঞ্চলে বর্তমানে ইউরিয়া সারের কোন সঙ্কট নেই। উল্লেখ্য, শম্ভুগঞ্জ বাফার ইনচার্জের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের উক্ত বিষয়ে কোন আলাপ হয়নি। অন্যদিকে, ডিলারদের মাঝে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে সার সরবরাহ করার বিষয়টি একেবারেই মনগড়া ও ভিত্তিহীন।
×