ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশে বিপন্ন বাংলা

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ৫ মার্চ ২০১৭

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশে বিপন্ন বাংলা

পূর্ববর্তী দুই সপ্তাহে আমরা বাংলা ভাষার বিপন্ন দশা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই সপ্তাহের লেখাটি এই সিরিজের শেষ লেখা। ॥ তিন ॥ বাংলা ভাষার ডিজিটাল যাত্রা নিয়ে এই কলামে আমরা এর আগেও আলোচনা করেছি। আলোচনার বিস্তৃতি ও প্রাসঙ্গিক বিষয় হিসেবে কিছু আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আমরা কয়েকটি প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলছি। ১. প্রমিতকরণের সঙ্কট : কম্পিউটারে বাংলা ভাষা প্রমিতকরণের দায়িত্ব ছিল বিএসটিআই-এর। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার সরকার কেবল আমাকে (মোস্তাফা জব্বারকে) ঠেকানোর জন্য সেই দায়িত্ব তৎকালীন বিসিসিকে প্রদান করে। তখন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল কম্পিউটারে বাংলা ভাষার নীতিগত, প্রমিতকরণ ও প্রায়োগিক বিষয়গুলোর কাজ সম্পন্ন করার। ২০০৩ সালে এক নির্বাহী আদেশে প্রমিতকরণের কাজটি বিএসটিআই থেকে কম্পিউটার কাউন্সিলে নিয়ে আসা হয়। মূলত বিজয় কীবোর্ড যাতে প্রমিত না হতে পারে কাজটি করা হয়েছিল সেজন্য। তৎকালে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি, তখনকার মন্ত্রী আবদুল মঈন খান ও কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সালামের সহায়তায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়াকে দিয়ে এই কাজটি করান। এরপর কম্পিউটার কাউন্সিল বিজয় কীবোর্ডকে নকল করে একটি কীবোর্ড প্রণয়ন করে ও কপিরাইট গ্রহণ করে। তারা বিএসটিআই থেকে এর অনুমোদনও গ্রহণ করে। বেগম জিয়ার আমলে সেই কীবোর্ড সম্পর্কে আপত্তি করা হলেও সেটি কম্পিউটার কাউন্সিল আমলে নেয়নি। এমনকি ২০১৭ সালেও কপিরাইট বোর্ড এই বিষয়ক আপত্তির নিষ্পত্তি করেনি। এর মানে এখনও এই বিষয়টি কপিরাইট বোর্ডে ঝুলে আছে। তবে বাস্তবতা উপলব্ধি করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এখন অফিসিয়ালি জাতীয় কীবোর্ড আছে বলে দাবি করে না। শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালেই উপলব্ধি করে যে, কারও সম্পদ নকল করে প্রমিত করা সঠিক কাজ নয়। এজন্য প্রমিত কীবোর্ড প্রসঙ্গটি নিয়ে টানা-হেঁচড়া না করে কম্পিউটারের জন্য এনকোডিং প্রমিত করার কাজটি সম্পন্ন করা হয়। উল্লেখ করা যেতে পারে, সরকার এরই মাঝে জাতীয় কীবোর্ড নিয়ে জটিলতায় জড়িত থাকার পর স্মার্ট ফোনের কোয়ার্টি কীবোর্ড কি হবে সেটি নিয়েও আর সামনে যাচ্ছে না। ফলে স্মার্ট ফোনের জন্য কোন প্রমিত কীবোর্ড পাওয়া যায়নি। খুব সঙ্গত কারণেই স্মার্ট ফোনে নানা ধরনের কীবোর্ড প্রচলিত হতে থাকবে। কোন এক সময়ে আমরা কীবোর্ডের জঙ্গলে বাস করব। এখনই এ্যাপল, মাইক্রোসফট, গুগল নানা ধরনের কীবোর্ড বানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারতের অনেকে তাদের পছন্দমতো কীবোর্ড বাজারজাত করছে। সুখের বিষয় হচ্ছে, ২০১৭ সালে সরকার একটি প্রমিত কীবোর্ড প্রণয়নের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আশা করি এর ফলে কীবোর্ড জটিলতার অবসান ঘটবে। কম্পিউটারে বাংলা ভাষার সবচেয়ে জটিল জায়গাটি রয়ে গেছে এর এনকোডিং প্রসঙ্গটি। এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রমিতকরণ ইস্যু। সরকার বিডিএস ১৫২০ : ২০১১ নামের একটি প্রমিত এনকোডিং অনুমোদন করে নিজেরাই এর বদলে ইউনিকোড এনকোডিং অনুসরণ করছে। সরকারের বিভাগগুলো নিজেই বোঝে না যে, বিডিএস ১৫২০ : ২০১১ এবং ইউনিকোড এক জিনিস নয়। এটি বোধ হয় দুনিয়াতে বিরল যে, সরকার তার নিজের প্রমিতকরণ মানে না। এ টু আই ও কম্পিউটার কাউন্সিল থেকে সরকারের সকল তথ্য ইউনিকোডে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাতীয় ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে সরকারের সকল ডাটা ইউনিকোডে সংরক্ষণ করা হয়েছে। অথচ সরকারের উচিত ছিল বিডিএস ১৫২০ : ২০১১ প্রমিত মানে সকল ডাটা সংরক্ষণ করা। এই বিষয়টির প্রতি আমি শত শতবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেও সরকারের টনক নড়াতে পারছি না। এর ফলে বাংলা ভাষা কোড ইন্টারচেঞ্জের ক্ষেত্রে চরম জটিলতায় পড়েছে। সম্প্রতি ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের কারিগরি কমিটির সভায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল যোগ দিয়ে জানতে পারে যে, বাংলাদেশ সরকারের প্রমিতকরণ এই কনসোর্টিয়াম মানছে না। তারা দেবনাগরী থেকে দুটি কোড এনে বাংলা ভাষার সঙ্গে যেভাবে যুক্ত করে রেখেছে তা তারা পরিবর্তন করতে চায় না। দীর্ঘদিন যাবত ইউনিকোডের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় বা আইএসওতে কোন প্রস্তাব না পাঠানোতে আমরা এখনও দেবনাগরী কোডকেই বাংলা কোড হিসেবে ব্যবহার করছি। দুঃখজনকভাবে সরকার ইউনিকোড ব্যবহারের নামে সেই দেবনাগরী কোডকেই পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এই জটিলতার নিরসন না করা হলে আমরা ভবিষ্যত বংশধরদের জন্য এক চরম জটিল পরিস্থিতি তৈরি করে রেখে যাব। এ বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যদি আমরা ইউনিকোডকে মেনে নিই তবে আমাদের জাতীয় মান সংশোধন করা উচিত। নইলে সকল ডাটা আমাদের জাতীয় মানে সংরক্ষণ করে সকলকে জাতীয় মান অনুসরণ করতে বাধ্য করা উচিত। যদি সেটি না হয় তবে সরকারের প্রমিত মানকে ইউনিকোড মানে উন্নীত করা উচিত। অন্যদিকে দেবনাগরীর অনুসরণে বাংলা ে কার ৈ কার াে কার এবং ি কারকে বর্ণের পরে সংরক্ষণ করা হয়। এক সময় সর্টিং-এর দোহাই দিয়ে এই ব্যবস্থাটি প্রবর্তন করা হয়। কিন্তু বাংলা আর দেবনাগরী যে এক নয় সেটি ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামকে কেউ বোঝাতে পারেনি। বাংলা ং, ঃ, ৎ ড়, ঢ় কে যেভাবে কোডভুক্ত করা হয়েছে সেটাও দেবনাগরীকে অনুসরণ করে। বাংলাদেশকে এই জটিলতার সমাধান অবশ্যই করতে হবে। ২. রোমান হরফে বাংলা : কেবল বাংলা ভাষার প্রয়োগই আমাদের সঙ্কট নয়। ডিজিটাল যুগে বাংলা ভাষার সবচেয়ে বড় সঙ্কটের নাম রোমান হরফে বাংলা লেখার প্রবণতা। আমরা মোবাইলে এসএমএস পাঠাতে গিয়ে রোমান হরফ ব্যবহার করি অনেক ক্ষেত্রেই তথাকথিত প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার নামে। অথচ বিটিআরসির সিদ্ধান্ত অনুসারে আমদানিকৃত বা দেশে উৎপাদিত মোবাইল সেটগুলোর জন্য বাংলা সমর্থন করা বাধ্যতামূলক। বিটিআরসির নির্দেশ অনুসারে বাংলা সমর্থন করে না এমন মোবাইল সেট বাংলাদেশে আসার কথা নয়। বাস্তবতা হচ্ছে বিটিআরসি নির্দেশ দিলেও সেটি বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ নেয়নি। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর বাণী বা সরকারী বক্তব্য এখনও রোমান হরফেই প্রচার করা হয়। ব্যক্তিগত প্রবণতা এমন যে, কেবল মোবাইল নয়, ফেসবুক-টুইটার বা অন্য সকল ডিজিটাল মাধ্যমে বেশিরভাগ বাংলাভাষী রোমান হরফে বাংলা লেখেন। অথচ ইন্টারনেটে বাংলা লেখা মোটেই সমস্যার নয়। এখনকার মোবাইল সেট বা ব্রাউজার কোথাও বাংলার সীমাবদ্ধতা নেই। তবে সর্বনাশের বড় কাজটি করেছে সরকারের ভেতরে থাকা কোন কোন অফিস নিজেই। তারা বাংলা লেখার জন্য রোমান হরফ দিয়ে লেখার প্রক্রিয়াকে সরকারীভাবে নির্দেশ দিয়ে সকলকে বাধ্য করছে, যাতে রোমান হরফ দিয়ে বাংলা লেখা হয়। ওরা নিজেরা রোমান হরফে বাংলা লেখে এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যাতে রোমান হরফ দিয়ে বাংলা লেখা হয়। এই চরম ঘৃণিত কাজটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত-পালিত হওয়ার ফলে বাংলা লিপি কোন একদিন বিলুপ্তই হয়ে যাবে। ৩. উচ্চশিক্ষা ও উচ্চ আদালত মানেই বাংলার বিদায় : কারও কারও স্মৃতিতে থাকতে পারে যে, বঙ্গবন্ধুর সরকারের নির্দেশনা অনুসারে সরকারী অফিস-আদালত-ব্যাংক ইত্যাদিতে বাংলা ব্যবহার হতো। এখন এসব কর্মকা- ডিজিটাল করা হচ্ছে। কষ্ট পেলেও সত্য যে, ডিজিটাল যখনই করা হয় তখনই সেখান থেকে বাংলা ভাষাকে উচ্ছেদ করা হয়। আমরা সবাই জানি উচ্চ আদালতের মতো উচ্চশিক্ষায় বাংলা ভাষার অস্তিত্বই নেই। বঙ্গবন্ধু যে শিক্ষাকে বাংলায় প্রচলন করেছিলেন সেটি এখন ইংরেজী মাধ্যমের শিক্ষায় বদলে যাচ্ছে। গত ২৭ আগস্ট আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সোসাইটির একটি সভায় কথা বলতে গিয়েছিলাম। আলোচনার শেষে একজন ছাত্র আমাকে প্রশ্ন করল, স্যার আমি প্রাথমিকে, হাইস্কুলে ও ইন্টারমিডিয়েটে বাংলায় পড়েছি, এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং পড়তে এসে সবই ইংরেজীতে পড়তে হয়। আমি এসব ইংরেজীর শতকরা ১০ ভাগও বুঝি না। আমার কি হবে স্যার? আমি এমন একজন নিরীহ ছাত্রের প্রশ্নের জবাব দিতে জানি না। আমাদের নীতিনির্ধারকগণ জানেন কিনা সেটিও জানি না। সেই ছেলেটিই জানাল, সবাই বলে ইংরেজী ছাড়া নাকি দুনিয়ায় লেখাপড়া করা যায় না। আমি খোঁজ নিয়েছি স্যার, জাপানে উচ্চশিক্ষা নিতে হলেও ১ বছর জাপানী শিখে লেখাপড়া করতে হয়। ওরা ইংরেজী ছাড়া পড়তে পারলে আমরা কেন পারি না। শিক্ষাবিদগণ এই ছাত্রটির প্রশ্নের জবাব দিতে পারলে আমি খুশি হতাম। সম্প্রতি এই খবরটিও প্রকাশ হয়েছে যে, বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাও নাকি ইংরেজীতে নেয়া হবে। তেমন অবস্থায় রাষ্ট্রের ভাষাটি বাংলা রেখে আদৌ কোন ফায়দা হবে কি? ৪. ডিজিটাল মানেই বাংলার বিদায় : সরকারী কাজ কেমন করে রোমান হরফে-ইংরেজীতে হচ্ছে তার একটি দৃষ্টান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তারা আয়কর ও ভ্যাট বিষয়ক যে কাজগুলো করছে তাতে বাংলার এখনও ঠাঁই হয়নি। সরকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গেলে, ব্যাংকের লেনদেন দেখলে এটি বোঝা যায় যে আমরা বাংলা ভাষার দেশে বাস করি না। অথচ এই দেশটির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর শাসনকালের শুরুতেই অসাধারণ একটি নির্দেশনামা দিয়েছিলেন। তাঁর নির্দেশনামাটি ছিল এরকম : “এই আদেশ জারি হবার সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত অফিসসমূহে কেবল বাংলার মাধ্যমে নথিপত্র ও চিঠিপত্র লেখা হবে। এ বিষয়ে কোন অন্যথা হলে বিধি লঙ্ঘনকারীকে আইনানুগ শাস্তি দেবার ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন অফিস-আদালতের কর্তাব্যক্তিগণ সতর্কতার সঙ্গে এই আদেশ কার্যকর করবেন ও আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি বিধানের ব্যবস্থা করবেন।” আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অবাক হতেন যে, দেশের সরকারী কর্মকর্তারা কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দিতে চাইলেও তাঁর নির্দেশ মানে না। এমনকি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের জন্য তাঁর নির্দেশ অমান্য করা কোন অপরাধ নয়। আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কোন সরকারের সময়কালে বাংলা ভাষার দুর্গতি দেখতাম তবে মনে কষ্ট পাবার বিষয় ছিল না। কিন্তু ঘটনাটি অব্যাহতভাবে ঘটে চলেছে এখন, যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায়। বিষয়টিকে দারুণভাবে ব্যাখ্যা করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ আফসান চৌধুরী। তিনি ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন চাষার বাংলা আর আমলার বাংলা। আমলারা ফেব্রুয়ারি মাসে ভাষা সঙ্কটে ভোগে। কারণ, রাষ্ট্রভাষা আর মাতৃভাষার মধ্যে পার্থক্যটা ধরার জন্য কোন দাপ্তরিক আদেশ দেয়া হয়নি। সম্প্রতি এক কর্মশালায় আমলাদের জিজ্ঞেস করা হয় কতগুলো বাংলা আর ইংরেজী অক্ষর আছে? মন্ত্রীকে মাননীয় না মহোদয় সম্বোধন করা হয় ইত্যাদি। সঠিক উত্তরের সংখ্যা কম। এই ভাষার সমস্যা ভদ্রলোকদের। কারণ তারাই বাংলা ও ইংরেজী মিশিয়ে কথা বলে, যদিও কোনটাই পারে না। হাইল্যা চাষা আর ফুটপাথের ফেরিওয়ালাদের এই সঙ্কট নেই। কারণ তার ভাষা একটাই। তা হলো চাষার ভাষা। ভদ্রলোকের বাংলা বানিয়েছে ইংরেজের গোলামি করা বাবু শ্রেণী। তাদের বংশধররাই আমাদের দেশের ভদ্রলোক। মাতৃভাষা আর রাষ্ট্রভাষার তফাত শুরু হয় চাষা আর আমলার তফাত দিয়ে। শুকরিয়া...” আমি ডিজিটাল যুগে বাংলা ভাষার মাত্র কয়েকটি জরুরী বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলা ভাষার সঙ্কট এর চাইতেও গভীরে। জাতিগতভাবে আমরা দিনে দিনে বাংলা ভাষা বিমুখ হচ্ছি এবং সময়-সুযোগ পেলেই বিশ্বায়ন বা আন্তর্জাতিকতার নামে রোমান হরফের দাসে পরিণত হচ্ছি। রাষ্ট্র এর পৃষ্ঠপোষকতা করছে। শেখ হাসিনার সরকারও যদি এই পতন রোধ না করে তবে কার কাছে জাতির প্রত্যাশা বড় হবে। আমাদের এখন তাই বাধ্য হয়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি তুলে ধরতে হচ্ছে। আসুন উচ্চৈঃস্বরে বলি, বাংলাদেশ রাষ্ট্রে রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। ঢাকা, ৩ মার্চ, ১৭ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণা ও কর্মসূচীর প্রণেতা ॥ ই-মেইল : [email protected], ওয়েবপেজ : www.bijoyekushe.net
×