ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুই বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ৩ মার্চ ২০১৭

দুই বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২ মার্চ ॥ বন বিভাগের কুয়াকাটার খাজুরা বিটের দুই কর্মকর্তা পলাশ চক্রবর্তী ও গঙ্গামতি বিট কর্মকর্তা জাফর উল্লাহসহ ৫-৬ জনকে আসামি করে দোকানি ইয়াছিন খানের নালিশি মামলায় কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক মনিরুজ্জামান বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। বুধবার এ আদেশ দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, কুয়াকাটার লেম্বুর চর সমুদ্রসৈকতে ইয়াছিন খান ও তার ভাই ফারুক খান ভাসমান খাবার দোকান দিয়ে পর্যটকদের কাছে খাবার বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি বন বিভাগের এই দুই কর্মকর্তা বন্ধুবান্ধব নিয়ে ইয়াছিনের দোকান থেকে খাবার খায়। কিন্তু বন কর্মকর্তারা খাবারের টাকা পরিশোধ না করায় টাকা চাইলে উল্টো বলেন, বন বিভাগের লোকজন কোন খাবার খেলে টাকা দিতে হয় না। বরং বন বিভাগের এলাকার মধ্যে দোকান চালাতে হলে প্রতি মাসে তাদের দশ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে।’ উল্লেখিত চাঁদার টাকা না দেয়ায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই দুই বিট কর্মকর্তাসহ ৫-৬ জন ভাসমান দোকানদার ইয়াছিন ও ফারুকের ওপর আক্রমণ করে তাদের হত্যাচেষ্টা চালায় এবং তাদের দোকান ভাংচুর করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। এ ঘটনা বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানালেও কোন প্রতিকার পাননি বলে ইয়াছিন মামলায় উল্লেখ করেছেন। খাজুরা বিট কর্মকর্তা পলাশ চক্রবর্ত্তী জানান, ঘটনার সময় রেঞ্জ কর্মকর্তা এ বি এম আবদুল্লাহ স্যার উপস্থিত ছিলেন। তার নির্দেশ অনুসারে সৈকতের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য ওই পদক্ষেপ নেয়ায় উল্লেখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, আদালতের উর্ধে আমরা কেউ নই। তবে প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে বন বিভাগের লেম্বুর চর সৈকত এলাকায় অবৈধ স্থাপনা তোলার কারণে তাদের স্থাপনা অপসারণ করতে বলায় দুই বিট অফিসারের সঙ্গে তাদের বাগ্বিত-া হয়। তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। দিনাজপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরে এক কিশোরী প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে। জড়িতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় একজনকে আসামি করে বুধবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন কিশোরীর পিতা। জানা যায়, গত সোমবার সদর উপজেলার দরবারপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় ১৪ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী কিশোরীকে বাড়িতে রেখে কাজে যায় তার মা। এই সুযোগে প্রতিবেশী আজাহার আলী মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় এলাকার একজন গোঙানির শব্দ পেয়ে বিষয়টি জানতে পারে। চেঁচামেচির একপর্যায়ে ওই মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করা হয়। কিশোরীর মা জানান, ঘটনা শুনে তিনি বাড়িতে এসে দেখেন মেয়ে বাড়িতে চৌকির ওপর বসে আছে। তিনি মেয়েকে ঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে কাপড় খুলে দেখেন মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ সময় ধর্ষক আজাহার আলী ও তার স্ত্রী সাহেরা খাতুন ওই কিশোরীর মায়ের কাছে এসে ঘটনা জানাজানি না করার জন্য অনুরোধ করে এবং ১০০ টাকা প্রদান করেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য।
×