ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

দুই বছর পর উৎপাদনে আসছে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফ্যাক্টরি

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

দুই বছর পর উৎপাদনে আসছে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফ্যাক্টরি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দুই বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে উৎপাদনে আসছে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (সিইউএফএল)। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ কারখানায় এ্যামোনিয়া এবং ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হবে। এদিকে গত বছর অক্টোবর মাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুগঞ্জ সারকারখানাও আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে উৎপাদন শুরু করবে। জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি ইউরিয়া রিএ্যাক্টরে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ইতালীর কোম্পানির মাধ্যমে দু’দফা মেরামত শেষে এটি চালু করা হচ্ছে। মেরামতকালে এতে সম্পূর্ণ নতুন কুলিং টাওয়ার প্রতিস্থাপন এবং ইউরিয়া রিএ্যাক্টর রিলাইনিং করা হয়েছে। কারখানাটি চালু হলে দৈনিক দেড় হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়মিতভাবে এ কারখানায় এ্যামোনিয়া এবং ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হবে। এদিকে গত বছর অক্টোবর মাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া আশুগঞ্জ সারকারখানাও আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে উৎপাদন শুরু করবে। এ কারখানা থেকেও প্রতিদিন দেড় হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে ইউরিয়া সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত বিসিআইসি’র বিভিন্ন গুদামে ৮ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুত রয়েছে। একই সঙ্গে জি-টু-জি পদ্ধতিতে কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সার আমদানি অব্যাহত রয়েছে। মংলা বন্দরে একটি জাহাজ থেকে আমদানিকৃত সাড়ে ২৭ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার খালাসের কাজ চলছে। এছাড়া আরও ৪২ হাজার মেট্রিক টন সার নিয়ে দু’টি জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে বিসিআইসি’র সারকারখানাগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন সার উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। সিইউএফএল এবং আশুগঞ্জ কারখানা উৎপাদনে গেলে দৈনিক আরও ৩ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া যোগ হবে। জুন, ২০১৬ থেকে জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার চাষী পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে বলে বিসিআইসি জানিয়েছে।
×