ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

একে মোহাম্মাদ আলী শিকদার

ওবামা থেকে ট্রাম্প এবং তারপর...

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

ওবামা থেকে ট্রাম্প এবং তারপর...

নজিরবিহীন ঘটনার মধ্য দিয়ে ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন বহুল আলোচিত-সমালোচিত ধনকুবের ব্যবসায়ী ডোনাল্ড জন ট্রাম্প। ১৭৮৯ সালে প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের শপথ গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত ট্রাম্পসহ ৪৫ জন প্রেসিডেন্টের জন্য ৫৮বার শপথ অনুষ্ঠান হয়েছে, যার ভেতরে এবারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শপথের সময় যেভাবে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, তা পূর্বে কখনও দেখা যায়নি। খোদ, ওয়াশিংটনে শপথ অনুষ্ঠানের ভেন্যু থেকে অল্প দূরেই হাজার হাজার আমেরিকার নাগরিক শুধু বিক্ষোভই নয়, ভাঙচুর, জ্বালাও পোড়াও করেছে এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে- যা আমেরিকান সংস্কৃতিতে অভাবনীয়। আমেরিকানদের গর্বের অন্যতম উপাদান গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর চরম আঘাত। ঘটনাস্থল থেকে দুই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। শুধু ওয়াশিংটনে নয়, বিক্ষোভ হয়েছে নিউইয়র্ক, লস এ্যাঞ্জেলসসহ আমেরিকার বড় বড় শহরে। বিক্ষোভের ঢেউ আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে ইউরোপ এবং প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে জাপান পর্যন্ত পৌঁছেছে। পরের দিন ২১ জানুয়ারিতে সারাদেশ থেকে ২০ লাখের অধিক নারী ওয়াশিংটনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে এবং সেøাগান দিয়েছে, নারী অবমাননাকারী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমরা মানি না। দুই দিনেই বিক্ষোভকারীদের থেকে ঘোষণা এসেছে, তারা থামবেন না। আগামী দিনেও নারীর স্বাধীনতাবিরোধী, ধর্ম-বর্ণ বিদ্বেষী ও যুদ্ধংদেহী সব কর্মকা-ের বিরুদ্ধে তারা আরও জোরালো প্রতিবাদ জানাবেন। একটা অমুদে খবর বিশ্ব মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ট্রাম্পবিরোধী এক আমেরিকান ট্রাম্পকে সমর্থনকারী আরেক আমেরিকানের কান কামড়ে দিয়েছে। এসব নজিরবিহীন ঘটনার মধ্য দিয়ে আব্রাহাম লিঙ্কনের সংজ্ঞা মতে, গণতন্ত্রের তিন উপাদানের ভেতরে বাই দি পিপল অংশের বৈশিষ্ট্য হুমকির মুখে পড়েছে। বারাক ওবামার শুরুতে আমেরিকাসহ সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে একটা স্বস্তি ও আশাবাদের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। বিপরীতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুরুতে সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে এক প্রকার শঙ্কা ও আতঙ্ক। ট্রাম্প উগ্রবাদী বক্তব্য দিয়ে শ্বেতাঙ্গ মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত আশার সৃষ্টি করেছেন। এই আশা তিনি কতটুকু পূরণ করতে পারবেন সেটাও এখন প্রশ্ন। উল্টো বর্ণবাদ, ধর্মীয় বিদ্বেষ ও হেইট ক্যাম্পেনের পরিণতি আমেরিকাকে কোথায় নিবে সেটাই সকলের ভাবনার বিষয়। ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে বিদায় করা কতখানি বাস্তবসম্মত হবে। এই অবৈধ অভিবাসীদের আমেরিকায় জন্ম নেয়া সন্তানদের বারাক ওবামা নির্বাহী আদেশে যেসব সুযোগ সুবিধা বৈধ করেছেন তাও ট্রাম্প বাতিল করার হুমকি দিয়েছেন। তবে অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে আমেরিকার অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চেক এ্যান্ড ব্যালান্স রক্ষা করবেন বলে অনেকে মনে করছেন এবং তারা বলছেন, কংগ্রেস ও সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও ট্রাম্পের সব খামখেয়ালির প্রতি অনেক সদস্যই সমর্থন দিবেন না। কিন্তু বৈদেশিক নীতি ও সামরিক বাহিনী মোতায়েনে প্রেসিডেন্টের হাতে যে বিস্তৃত ক্ষমতা রয়েছে তাতে বিশ্বের বিভিন্ন বিস্ফোরণোন্মুখ ইস্যুগুলোকে ওবামা প্রশাসন যেখানে যে অবস্থায় রেখে গেলেন সেগুলো নিয়েই মানুষ এখন বেশি শঙ্কিত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওবামা তাঁর প্রথম টার্মের শুরুতে যে প্রত্যাশা সৃষ্টি করেছিলেন এবং যার জন্যে নোবেল শান্তি পুরস্কারও পেলেন, তার অনেক কিছুই তিনি ৮ বছরে পূরণ করতে পারেননি। তবে দুই টার্মে ওবামার সব মুভমেন্ট যারা লক্ষ্য করেছেন তারা অবশ্যই বলবেন, বিশ্বের অনেক প্রান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি আন্তরিক ছিলেন, চেষ্টাও করেছেন, কিন্তু শক্তিশালী ইহুদী লবি এবং ওয়ার ইন্ডাস্ট্রিজের কর্পোরেট স্বার্থ রক্ষাকারীদের বিরোধিতা ও চাপে তিনি পেরে ওঠেননি। বরং আমেরিকার ধ্রুপদি ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের বাধ্যবাধকতায় দুই মেয়াদকালে ড্রোন আক্রমণে অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রাণ যাওয়ায় ওবামা নিজে কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন এবং নিন্দা কুড়িয়েছেন। মনে আছে প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়ে ২০০৯ সালে মিসরের আল আজাহার বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষাধিক ছাত্র-শিক্ষকের সামনে যে ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত সব ছাত্র-শিক্ষক ওবামাকে স্ট্যান্ডিং ওভেশনের সম্মান দিয়েছিলেন। সারা বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায় আশান্বিত হয়েছিল, এবার হয়তো প্যালেস্টাইন সমস্যার ন্যায়সঙ্গত একটা সমাধান হবে। কিন্তু ইহুদী লবির চাপে এগোতে পারেননি। বরং বেদনাভরা মনে প্রকাশ্যে বলতে হয়েছে, তিনি ধর্ম বিশ্বাসে মুসলমান নন, খ্রিস্টান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ সমর্থনে গত ৬৮ বছর যাবত প্যালেস্টাইনের ওপর ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্ব, শাসন ও নির্যাতনের ঘটনা এক শ্রেণীর মুসলমান তরুণদের জঙ্গীবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ার অন্যতম একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করছে। এই ইস্যুতে ওবামার ভূমিকার কথা একটু আগে উল্লেখ করেছি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বর মাসে পশ্চিম তীরে ইসরাইলের নতুন বসতি স্থাপনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ওবামা প্রশাসন ভেটো না দিয়ে ভোটদানে বিরত থাকায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস হয়ে যায়। এতে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাগান্বিত হয়ে বলেছেন, আগামীতে তিনি দেখে নিবেন এবং প্রয়োজন হলে জাতিসংঘের বর্তমান কাঠামো বদলে ফেলবেন। ইসরাইলের কট্টর সমর্থক ডেভিড ফ্রাইডম্যানকে তেলআবিবে আমেরিকার নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছেন। ইসরাইলের রাজধানী তেলাবিবের পরিবর্তে জেরুজালেমে স্থানান্তরের কথা ট্রাম্পের মুখ থেকে বের হওয়ায় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শেষ দিকে এসে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে ওবামার সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। বিপরীতে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুকে দাওয়াত দিয়েছেন ট্রাম্প। গত আট বছর চেষ্টা করা সত্ত্বেও ওবামা প্রশাসন ইসরাইলের হকিশ নীতিকে সম্পূর্ণ আটকিয়ে রাখতে পারেনি। আগামীতে সব কাজে যদি আমেরিকার সমর্থন পায় তাহলে ইসরাইলের অতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে মধ্যপ্রাচ্যে আবার নতুন করে আগুন জ্বলে উঠতে পারে। বিশ্ব ব্যবস্থার শৃঙ্খলাসহ সভ্যতা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বর্তমান সময়ের বড় হুমকি ধর্মান্ধ ইসলামিস্ট জঙ্গীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মূল ও উৎখাত করার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত আট বছরে ওবামা প্রশাসন প্রায় একই সুরে কথা বললেও জঙ্গী দমনের চাইতে যুক্তরাষ্ট্রের ধ্রুপদি ভূ-রাজনৈতিক প্রাধান্য দেয়ার কারণে তেমন কোন অগ্রগতি ও সাফল্য দেখাতে পারেনি। জঙ্গীবাদের সূচনা ও জন্মস্থান এবং উর্বর প্রজনন ক্ষেত্র পাকিস্তান থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যসহ উত্তর আফ্রিকার সর্বত্র যুক্তরাষ্ট্র ওই একই নীতি অনুসরণ করায় আশানরূপ অগ্রগতি নেই, বরং যুক্তরাষ্ট্রের কোন কোন পদক্ষেপ কাউন্টার প্রোডাক্টিব হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, ভূ-রাজনৈতিক নীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প কি এই প্রশ্নে ও জায়গায় প্রয়োজনীয় প্যারাডিম শিফট ঘটাতে চাইবেন, নাকি পারবেন? তা না হলে ভূ-রাজনীতির নীতিতে একই জায়গায় থেকে ট্রাম্প যেভাবে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে বিশ্বের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে। অভিষেক অনুষ্ঠানের ভাষণে ট্রাম্প বলেছেন, গান (অস্ত্র) এবং মিলিটারি ও নিরাপত্তা সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষাকল্পে যথেষ্ট। কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো, ধর্মান্ধ জঙ্গী ও আইএস নির্মূলে অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে, তবে শুধু অস্ত্রের ব্যবহার কাউন্টার প্রোডাক্টিভ হবে। ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতের কংগ্রেস নেতা ও বর্তমান পার্লামেন্টের বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান শশী থারুর একটা নিবন্ধে লিখেছিলেন, ট্রাম্পের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে শক্তিশালী সফট পাওয়ারের (উদারবাদী মানবিক মূল্যবোধ, বহুত্ববাদ, উঁচুমানের সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির সক্ষমতা) অবমূল্যায়ন করে আমেরিকা শুধুই কেবল হার্ড পাওয়ার (মিলিটারি ক্ষমতা) যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। এই প্রবণতা আমেরিকাকে পিছনে নিয়ে যাবে, বিভীষিকাময় ভিয়েতনাম যুগ আবার ফিরে আসতে পারে। তাতে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও রক্তক্ষরণ বাড়বে। দারিদ্র্য বিমোচন ও জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা বাধাগ্রস্ত হবে। ওবামা প্রশাসন পরমাণু অস্ত্রবিস্তার রোধে গত ৮ বছর চেষ্টা করে শেষমেষ একটা চুক্তির মাধ্যমে ইরানকে আপাতত থামাতে পেরেছেন। উত্তর কোরিয়াকে থামাতে না পারলেও শান্তিপূর্ণ উদ্যোগের অভাব ছিল না। কিন্তু ট্রাম্পের কথাবার্তায় সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে, ইরানের সঙ্গে চুক্তি শেষতক টিকবে কি টিকবে না অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত বলে মত দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ কাউকে থামানো নয়, পাল্টা আরও বিস্তার ঘটানোর উস্কানি। চুক্তি বাতিল হলে ইরান দ্রুত পরমাণু অস্ত্রের দিকে ধাবিত হবে। তাতে ইসরাইল পরমাণু অস্ত্র নিয়ে সামনে আসবে এবং সৌদি আরবও সেদিকে ঝুঁকবে। মধ্যপ্রাচ্যের ইস্যুতে সৌদি আরবসহ গালফ রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক শেষ দিকে ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে ভালো যায়নি। ইরানের বিরুদ্ধে শক্ত কথা বলায় তারা ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন। ৮ বছর চীনের সঙ্গে একটা ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছেন ওবামা। তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কঠোরতা বজায় রেখেছেন এবং ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। ট্রাম্প ও তাঁর সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিদেশ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী চীনের বিরুদ্ধে কঠোর উচ্চারণ করেছেন। চীনের পাল্টা উচ্চারণে ইতোমধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে ট্রাম্পের বিজয়ে রাশিয়ার নাইট ক্লাবে উল্লাস, ইউরোপের মিত্র ও ন্যাটো সম্পর্কে ট্রাম্পের নেতিবাচক মন্তব্য এবং পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের কথায় একটু বেশি হতাশাবাদীরা বলছেন, তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্প কি সোভিয়েত ইউনিয়নের গর্ভাচেভে পরিণত হবেন। দীর্ঘ ৬০ বছর পর কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির জন্য ওবামা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। দেশের অভ্যন্তরে ভয়ানক অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে শুরু করে বিদায়ের প্রাক্কালে স্থিতিশীল অবস্থায় রেখে গেলেন। এর পরেও ২০০৮ সালে ওবামা আমেরিকার শতকরা প্রায় ৮৩ ভাগ মানুষের সমর্থন নিয়ে শুরু করে ২০১৭ সালে এসে মাত্র ৫৫ ভাগ সমর্থন নিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে বিদায় নিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প মাত্র শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষের সমর্থন নিয়ে শুরু করলেন, বিদায় পর্যন্ত কত ভাগ হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবেন তা নিয়ে মানুষ এখনই কথা বলা শুরু করছেন। লেখক : ভূ-রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক নিউ অরলিনস, ইউএসএ
×