ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

রামপালের মানুষ যা চান

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

রামপালের মানুষ যা চান

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত খুলনা-মংলা মহাসড়কের রামপাল উপজেলার বাবুরবাড়ির সামনে দক্ষিণাঞ্চল উন্নয়ন পরিষদ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার নারী-পুরুষ এই কর্মসূচীতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে সমবেতদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, এই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বিদ্যুতের কোন বিকল্প নেই। তাই বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কৈগরদাসকাঠি-সাপমারি মৌজায় বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি যৌথভাবে ১৭৩৪ একর জমির উপর ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। বৃহত্তর জনকল্যাণের স্বার্থে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, তারাই পরিকল্পিতভাবে এই বিদ্যুত কেন্দ্রের বিরোধিতা করছে বলে অভিযোগ করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের স্বার্থে এ বিদ্যুত কেন্দ্রের কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে বক্তারা দ্রুত কয়লা ভিত্তিক এ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন রামপাল-মংলার সংসদ সদস্য তাদুলকদার আবদুল খালেক, রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আবু সাইদ, মংলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের, রামপাল আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল ওহাব প্রমুখ। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালের কৈগরদাসকাঠিতে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ চলছে। এদিকে, পরিবেশবাদীদের একটি অংশ এই বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করে বলছে, এখানে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। মংলা থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, মানববন্ধনে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণী পেশার প্রায় ২০ হাজার লোক অংশ নেয়। সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার আর গভীর অভয়ারণ্য থেকে ৬৯ কিলোমিটার দূরে নির্মিত হচ্ছে তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র। এতে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না। এছাড়া বিদ্যুত কেন্দ্রের চিমনি থাকবে ৯০০ ফিট উপরে, যা সুন্দরবনের গড় উচ্চতার অনেক উপরে। এই বিদ্যুত কেন্দ্র সুন্দরবনের উপর ক্ষতিকর কোন প্রভাব ফেলবে না। ক্ষতি নয়, বরং এ বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবনের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বনের উপর নির্ভরশীলতা কমবে। এখানে নতুন শিল্প কল-কারখানা গড়ে উঠবে এবং বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। বিদ্যুত ও কৃষিতে খরচ কমবে, উৎপাদন বাড়বে।
×