ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

এম এ আজিজের স্মরণ সভায় ওবায়দুল কাদের

বিএনপি নেতারা বাঁচার জন্য ঘরের কথা পরকে বলে দেয়

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

বিএনপি নেতারা বাঁচার জন্য ঘরের কথা পরকে বলে দেয়

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির প্রস্তাবের গোপনীয়তা বিএনপিই ভঙ্গ করেছে। বিএনপির গোপন কথা জানতে আমাদের বঙ্গভবনের সঙ্গে গোপনীয়তার আশ্রয় নিতে হবে না। বিএনপির গোপন কথা বলার জন্য বিএনপিই যথেষ্ট। সোমবার বিকেলে রাজধানীর হোসেনি দালান রোডে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমার বিরুদ্ধে বঙ্গভবনের গোপনীয়তা ভঙ্গের যে অভিযোগ করেছেন, সেটা স্ববিরোধী। তিনি নিজেই বলেছেন, আমরা কার নাম দিয়েছি, সেটা আওয়ামী লীগ নেতারা জানল কী করে? আবার বলেছেন, আমরা কোন নামই দেইনি। এটা তার স্ববিরোধী বক্তব্য। মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাঁর বক্তব্য শুনে অবাক হয়েছি। তিনি একেবারেই স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর অবস্থা হয়েছে ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’। একদিকে তিনি বলছেন, গোপনীয়তা ভঙ্গ হয়েছে, আরেক দিকে বলছেন, তারা নাম পাঠাননি। তাহলে গোপনীয়তা ভঙ্গের বিষয় কীভাবে আসে? নামই যখন পাঠাননি তখন গোপনীয়তা ফাঁস হলো কীভাবে? আসলে মির্জা ফখরুল সাহেব স্ববিরোধী কথার ফাঁদে আটকে গেছেন। বিএনপির গোপন কথা বলার জন্য বিএনপিই যথেষ্ট মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, যাদের (বিএনপির প্রতিনিধি দল) নিয়ে আপনি (মির্জা ফখরুল) সংলাপে গেলেন, তাদের সবাইকে আপনি বিশ্বাস করেন? অনেকেই মামলা ও জেল-জুলুমের ভয়ে গোয়েন্দাদের কাছে ঘরের কথা পরকে বলে দেয়। আপনাদের দলের অফিসের সামনে একজন আরেকজনকে সরকারের দালাল বলে গালি দেয়। আগে আপনারা নিজেদের বিশ্বাস করুন। স্ববিরোধিতা পরিহার করে রাজনীতিটা ইতিবাচক ধারায় করুন। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিগত দিনের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম, আমাদের পছন্দের বা দলের লোক ইসিতে থাকবে না। কিন্তু বিএনপির ইতিহাস বলে সবসময়ই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে তাদের দলীয় লোক ছিল। আমরা আওয়ামী লীগের লোক ইলেকশন কমিশনেও চাই না। সার্চ কমিটিতেও চাই না। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ হোক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ না হলেও যেকোন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি করতে পারেন, নির্বাচন কমিশনও গঠন করতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ তাঁর এখতিয়ার। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মুহাম্মদ সাঈদ খোকন, বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, মরহুম এম এ আজিকের পুত্র ও মহানগর নেতা ওমর বিন তামিম আজিজ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন নগর নেতা আকতার হোসেন ও মামুনুর রশিদ শুভ্র।
×