ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

অভিজ্ঞ বিচারপতিদের মৃত্যুতে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ॥ সিনহা

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৪ জানুয়ারি ২০১৭

অভিজ্ঞ বিচারপতিদের মৃত্যুতে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ॥ সিনহা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশেষ বিষয়ে অভিজ্ঞ বিচারপতিদের মৃত্যুতে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। সোমবার সুপ্রীমকোর্ট অডিটরিয়ামে প্রয়াত তিন বিচারপতির স্মরণে শোকসভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি। সুপ্রীমকোর্ট জাজেস কর্নার এ শোকসভার আয়োজন করে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ জানুয়ারি সাবেক প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন ইন্তেকাল করেন। আপীল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের ১ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন। আর হাইকোর্টের বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচারপতি রুহুল আমিন একজন প্রকৃতপক্ষে ভদ্রলোক। আমরা তো অযথা রেগে যাই। তিনি কখনও বিরক্তি প্রকাশ করেননি। অনেককে দেখেছি, বিরক্তি প্রকাশ করতে। আমার জানামতে, তার মধ্যে একেবারেই বিচারপতির সব গুণাবলী ছিল’। প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর তার আইনজীবী ছেলেকে বাসা থেকে আলাদা করেন বিচারপতি রুহুল আমিন। এ বিষয়ে বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, ‘তার এক ছেলে প্র্যাকটিসে (আইন পেশায়) আছেন। আমরা কোনদিন আকারে ইঙ্গিতে এটা বিচারপতি রুহুল আমিনকে বুঝতে দেইনি। আমরা বলিনি, তিনি ছেলেকে ফেভার বা ডিসফেভার করছেন। কিন্তু তার ছেলেকে বাসা থেকে আলাদা করেছেন’। বিচারপতি বজলুর রহমানের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ছাত্র জীবনে সবার জন্য সব কিছু করেছেন। ছাত্রদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু নিজের জন্য, পরিবারের জন্য কিছু রেখে যাননি। শুধু সবার জন্য করেই গেছেন বিচারপতি বজলুর রহমান’। বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরীর বিষয়ে বিচারপতি এস কে সিনহা বলেন, ‘আমার জানামতে, তার পরিবারের মধ্যে অন্য কেউ জজ ছিলেন না। আমি বলব (তার মৃত্যুতে) বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এখন আজকের দিনে সিভিল ল’য়ের (দেওয়ানি আইন) ব্যাপারে প্রকৃতপক্ষে আমাদের খুবই বিচারকের ইয়ে (স্বল্পতা) পাওয়া যায়। তিনি থাকলে আমাদের লাভ হতো। তার রক্তে ছিল সিভিল ল’। সুপ্রীমকোর্ট জাসেস কর্নারের সভাপতি আপীল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিন, হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি আওলাদ আলী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন, বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোঃ ইকবাল কবির। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম শোকসভা পরিচালনা করেন।
×