ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

রেলসেতুতে বাঁশ-কাঠ ব্যবহারে ঝুঁকি নেই: মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ০২:০৫, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭

রেলসেতুতে বাঁশ-কাঠ ব্যবহারে ঝুঁকি নেই: মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রেলসেতুতে বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও দুর্ঘটনার শঙ্কা প্রকাশ করা হলেও তা উড়িয়ে দিয়েছে সরকারের রেল মন্ত্রণালয়। গণমাধ্যমে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর রেলপথ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এতে দুর্ঘটনা ঘটার কোনো অবকাশ নেই। সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়। সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর আসে, কুড়িগ্রামে রেললাইনে কাঠের স্লিপারের উপর লোহার পাতের পরিবর্তে বাঁশের ফালি লাগানো হয়েছে। স্লিপার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়েছে গাছের গুঁড়ি। এ খবরটি রীতিমতো হইচই ফেলে দেয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়য়েও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদি বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন নীরব ভূমিকা পালন করেছে রেলমন্ত্রণালয়। এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দেয়া হয়নি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। সোমবার মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রেলসেতুর ওপর স্থাপিত কাঠের স্লিপার যাতে আউট অব স্কয়ার না হয় এবং একত্রে জমা হতে না পারে, এ জন্য কোনো কোনো রেল সেতুতে অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয়ভাবে বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে’। ‘এসব বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ ট্রেনের ভার বহনে কোনো ভূমিকা রাখে না এবং শুধু স্লিপারগুলোর আউট অব স্কয়ার এবং একত্রে জমা হওয়ার প্রবণতা রোধ করে’। ব্যবহৃত বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ সেতুর মূল কাঠামোর অংশ নয় বলে ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে না বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়। এমন বাস্তবতায় জনসাধারণকে আশ্বস্ত করে মন্ত্রণালয় বলেছে, বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ ব্যবহারের ফলে কোনো রকমের দুর্ঘটনা ঘটার অবকাশ নেই। রেলসেতুতে বাঁশের ফালি বা চেরাই কাঠ ব্যবহারের বিষয়ে কমলাপুর স্টেশনে সোমবার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ট্রেন এর উপর দিয়ে যায় না। ট্রেনের কোনো লোড এর উপর পড়ে না। তিনি আরো বলেন, রেললাইনের কোথাও বাঁশের ব্যবহার হয়নি। এটা অপপ্রচার। অথচ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে এ ধরেণের খবর প্রকাশিত হয়েছে। যা বাস্তবতার সঙ্গে কোন মিল নেই। বাঁশ যেখানে দেয়া হয়েছে সেটি রেললাইনের অংশ নয়। শুধু ‘বাহ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে’ প্রকাশিত বা প্রচারিত সংবাদে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সুযোগ থাকে বলেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
×