ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

থাকবে সব ধরনের নাগরিক সুবিধা

মাতারবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত ৪১ পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৭

মাতারবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত ৪১ পরিবারের জন্য আবাসন প্রকল্প

আবদুর রাজ্জাক, মহেশখালী থেকে ॥ কক্সবাজারের উপজেলা মহেশখালীকে ঘিরে এলএনজি প্রকল্প, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দরের আদলে বিশাল জেটি নির্মাণ নিয়ে উন্নয়নের যে মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে তাতে বিপুল পরিমাণ ব্যক্তি মালিকানা জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে। ফলে ভিটেসহ জমিজমা হারা হয়েছে অনেকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাতারবাড়িতে ১৩ একর জমিতে পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুত প্রকল্পে কাজ করা কোল্ড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। কোল্ড পাওয়ার জেনারেশন সূত্রে জানানো হয়েছে, দুটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মাতারবাড়ি ধলঘাটার সীমান্ত এলাকা সাইবার ডেইল-এ গড়ে তোলা হবে ক্ষতিগ্রস্ত ৪১ পরিবারের বসবাসের বাড়িঘর। ভূমি থেকে ৪০ ফুট উঁচু করে ভরাট করা হবে ১৩ একর জমি। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগÑ ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, বন্যা, খরা জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পসহ নানা দুর্যোগ থেকে নিরাপদ রাখতে ৪০ ফুট উঁচু করে ভরাট করা হবে আশ্রয় কেন্দ্র। ভরাট করা ভূমিতে সেমিপাকা টেকসই বাড়ি নির্মাণ করা হবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য। উল্লেখ্য, কয়লাবিদ্যুত প্রকল্প এলাকার জমি ও ভিটেমাটি হারা লোকজন পাউবোর বাঁধ ও সরকারী খাস জমিতে মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে। ধলঘাটার দু’ইউপি চেয়ারম্যান ২জন এনজিও প্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের একজন প্রতিনিধিসহ মোট পাঁচ সদস্যের টিম দীর্ঘদিন জরিপ ও অনুসন্ধান করে ক্ষতিগ্রস্ত ৪১ পরিবারকে শনাক্ত করেছে। ৪১ পরিবারের তালিকা এরই মধ্যে দাতা সংস্থা সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে। কোল্ড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এমডি বেলাল হোছাইন মজুমদার জানিয়েছেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে যাদের পুনর্বাসন করা হবে তাদের সামগ্রিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। তাদের সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে মানসম্মত জীবনযাপনের জন্য যে সকল নাগরিক সুবিধা রয়েছে সবই তারা ভোগ করবেন। দাতা সংস্থার চীফ ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য থাকবে পৃথক পৃথক বাড়ি, খেলার মাঠ, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ, ক্লিনিক, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট। চলতি বছরের শেষ দিকে এসব বাড়ির বাসিন্দা হবে মাতারবাড়ির-ধলঘাটার সুবিধাবঞ্চিত ওই ৪১ পরিবার।
×