ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭

উবাচ

প্রতীক্ষায় আছি স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে আদালতে দৌড়াচ্ছেন। অন্যদিকে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ প্রতীক্ষায় রয়েছেন; কবে তার সাজা হয় তা দেখার জন্য। এরশাদের দাবি কী নির্দয়! নাকি একদা বেগম জিয়া তার প্রতি নির্দয় হয়েছিলেন তারই প্রতিশোধ চাইছেন। এরশাদ বলছেন বিএনপি ‘মিথ্যা মামলায়’ তাকে শাস্তি দিয়েছিল, এখন তিনি খালেদা জিয়ার সাজার অপেক্ষায় আছেন। এরশাদ বলেন, বিএনপির অবস্থা খুবই করুণ। দলটির এখন টিকে থাকাই দায়। বিএনপি কী বলল, না বলল তাতে কিছু আসেযায় না। বিএনপি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করেছে, শাস্তি দিয়েছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া নিজেই এখন দুর্নীতির মামলায় আদালতে যাচ্ছেন। শুনছি তারও নাকি সাজা হবে। আমিও সেই দিনটার অপেক্ষায় রয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। দুদুর জিয়া সিটি স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ঢাকার নাম বদলে যাবে। এই নগরের নতুন নাম হবে জিয়া সিটি। ঢাকার ৪০০ বছরের ঐতিহাসিক গর্ব এর সঙ্গে বিলীন হয়ে যাবে। বিএনপি নেতা দুদু সম্প্রতি এই ঘোষণা দিয়েছেন। পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার নাম পরিবর্তন করে সাবেক নাম ইন্দুরকানীতে ফিরে গেছে সরকার। এতেই চটেছে বিএনপি, ক্ষেপেছেন দুদু। দুদু সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছেন গোপালগঞ্জের নাম বদলে আপনারা মুজিবনগর রাখেন। এই প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলছেন, গোপাল ব্যাটা কী মুজিবের চেয়ে সম্মানিত কেউ যে এখনও নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে না। নিজেদের নেতার নাম পরিবর্তন করে অর্থাৎ জিয়ার নামের ওপর সরকার ইন্দুরকে (ইঁদুর) বসিয়েছে। সরকারের এই কর্মকা-ের জন্যই দুদু গোপালের মানসম্মান নিয়ে টানাটানি শুরু করেছেন। দুদু বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কাছে জিয়ার চেয়ে ইন্দুরকানীই বেশি পছন্দের হবে, এটাই স্বাভাবিক। তবে, সরকার যাই করুক না করুক; এর ফল ভোগ করতে হবে দেশবাসীকে। হুঙ্কার না হলেও মিউমিউ করে বলছেন, সরাসরি ঢাকার নামই বদলে জিয়া সিটি করে দেব। রঙ্গিন খোয়াব স্টাফ রিপোর্টার॥ পুলিশ বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে না দেয়ায় প্রথম দফা দলটির তরফ থেকে বলা হলো, আরব্য উপন্যাসের একচোখা দৈত্য এই সরকার। পরবর্তী সময়ে বিএনপি মনে করল -না দৈত্যে কিসের ভয়, সমাবেশ করে ফেললেই হলো। দলটি মনে করল, আর দৈত্যে ভয় নেই, এবার আমরা আর অনুমতি চাইব না। মন চাইলেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করব। এই কথার জবাব দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রথম দফা বললেন, কাদের অনুমতি দেব? তারা তো ঘর থেকেই বের হন না। তিনি নাম উল্লেখ করেই সাংবাদিককের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে জানতে চান-এই যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান তাকে কোনদিন আপনারা মাঠে দেখেছেন। বিএনপির কোন সিনিয়ার নেতাকে কোনদিন আন্দোলন করতে দেখেছেন। না, সত্যিই তো ইদানীং দেখা যায় না। তাহলে এই যে পুলিশ কষ্ট করে অনুমতি দেবে, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে কিন্তু তারা যে আসবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের বিএনপির হুঙ্কারের জবাবে বলেছেন, অনুমতি ছাড়া সমাবেশ ‘রূপকথার রাজ্যের রঙ্গিন খোয়াব’ ছাড়া আর কিছু না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গত তিন বছরে যারা তিন মিনিটের জন্যও রাজপথে উত্তাপ সঞ্চার করতে পারেনি তারা এখন রূপকথার রাজ্যে রঙ্গিন খোয়াব দেখে। এ ধরনের খোয়াবে লাভ হবে না বলে বিএনপিকে সতর্ক করেন এই নেতা।
×