ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

শিবগঞ্জের অধিকাংশ ব্রিজ-কালভার্ট চলাচল অযোগ্য

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

শিবগঞ্জের অধিকাংশ ব্রিজ-কালভার্ট চলাচল অযোগ্য

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ সীমান্তের বৃহত্তর উপজেলা শিবগঞ্জ। এই উপজেলার মধ্যেই অবস্থান দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদের। এতসব গুরুত্বের পরেও উপজেলার চরাঞ্চলসহ ১৪ ইউনিয়নের সব কটিতেই যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পদ্মা ও পাগলাবিধেীত হবার কারণে ও ১৮টির মতো বড় বিল ও হাওড় থাকার কারণে এক সময়ে, সহস্রাধিক ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। তার মধ্যে এখন দুই শতাধিক কালভার্ট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে প্রায় শতাধিক কালভার্ট মেরামতের অভাবে জনসাধারণ চলাচলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ৩১টি সড়কের অধিক এলাকার কালভার্ট। স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগের সূত্র নিশ্চিত করেছে নয়ালাভাঙ্গা, পাকা, চককীর্তি, কানসাট, শাহবাজপুর, বিনোদপুর, শ্যামপুর ও দুর্লভপুর ইউনিয়নের শতাধিক ব্রিজ, কালভার্ট ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন। দুর্লভপুর ইউপির তর্ত্তিপুর ঘাটের উপর ব্রিজটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হলেও দুই ধারের সযোগ সড়ক না থাকায় জনসাধারণ তা ব্যবহার করতে পারে না। অথচও ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল ২০ বছর আগে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, তিনি ও তার আগের চেয়ারম্যানগণ বার বার তাগিদ দিলেও উপজেলা প্রকৌশল শাখার ঘুম ভাঙ্গাতে পারেনি। এ ছাড়া কানসাট বিনোদপুর সড়কে পাগলা নদীর উপর ব্রিজ একাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। জগন্নাথপুর জোয়াদ্দার পাড়ায় ও পিয়ালীমারীর ঘুঘু ডাঙ্গায় দুটি, বালুটুঙ্গি, বোগলাউড়ি রাস্তার একাধিক ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ে রয়েছে। শুকনো সময়ে মানুষ ও যানবাহন নিচ দিয়ে চলাচল করলেও বর্ষা ও বন্যা নামলে একেবারে বন্ধ হয়ে যায় চলাচল। নামো চাকপাড়া, দিলালপুর, সন্যাসিপাড়া, লহলামারি, পিরানটোলা ও আখিরাতে একটি করে কালভার্ট ভেঙ্গে রয়েছে বহুদিন। পাকার বিশ রশিয়া, হটাৎপাড়া, ধোড়বোনা চ-িপুর গ্রামের একাধিক কালভাট নিয়ে চেয়ারম্যানগণ বিব্রতকর পরিস্থিতি মধ্যে রয়েছে। ভোটপূর্ব সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেও পিছু হটেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। বলছে, ফান্ড নেই। কানসাট ইউপির চেয়ারম্যান বেনাউল ইসলাম বলেন, সামজোলা, বালুচর, হরিপুর, বাগিতলা, শিবনারায়ণপুর, মোহনবাগ, বালুচর এলাকার মানুষ খুবই বিপন্ন বোধ করলেও তাতে মন গলেনা উপজেলা প্রকৌশল শাখার। মকবুল হোসেন নামের উপজেলা প্রকৌশলী এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ। বহু কষ্ট করে মুখ খুললেও তেমন কোন আশ্বাস দিতে পারেনি। তবে জানান পর্যায়ক্রমে অচল ভেঙ্গেপড়া ব্রিজ কালভার্ট অবশ্যই মেরামত করা হবে।
×