ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

গণগ্রন্থাগার ও জাতীয় জাদুঘর কমপ্লেক্স প্রকল্প নেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

গণগ্রন্থাগার ও জাতীয় জাদুঘর কমপ্লেক্স প্রকল্প নেয়া হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘গণগ্রন্থাগার ও জাতীয় জাদুঘর কমপ্লেক্স’ প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বর্তমান চাহিদা ও অদূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এ প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এ কমপ্লেক্সের জন্য সঠিক নক্সা প্রণয়ন ও স্থাপত্য সৌন্দর্যের দিকটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় আইইবির মাধ্যমে একটি উন্মুক্ত স্থাপত্য প্রতিযোগিতার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইনস্টিটিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের (আইইবি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও সংস্কৃতি সচিব আকতারী মমতাজের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা স্মারকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মোঃ আমিনুল ইসলাম ও আইইবির পক্ষে আইইবি সভাপতি স্থপতি কাজী গোলাম নাসির স্বাক্ষর করেন। এ সময় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মসিউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব সামছুন্নাহার বেগম, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার, স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ, স্থপতি কাজী এম আরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান চাহিদা ও দূরবর্তী ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ বৃহৎ প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। ‘গণগ্রন্থাগার ও জাতীয় জাদুঘর কমপ্লেক্স’-এর জন্য আমরা একটি অনন্য স্থাপত্যশৈলীর নক্সাকে বেছে নিতে আইইবির সহযোগিতায় একটি উন্মুক্ত স্থাপত্য প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছি। যে স্থাপত্যবিদের নক্সা এ প্রতিযোগিতায় প্রথম হবে উক্ত কমপ্লেক্স সে নক্সা অনুযায়ী তৈরি করা হবে এবং তা বাস্তবায়িত হলে এটি সবার কাছে আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন হবে বলে আমরা মনে করি। এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা যেমন এ প্রকল্পের জন্য একটি উপযুক্ত স্থাপত্যশৈলীর নক্সা পাব, পাশাপাশি যারা স্থাপত্য নিয়ে কাজ করছেন তারা এ কাজে আরও উৎসাহ ও প্রেরণা পাবেন। ‘গণগ্রন্থাগার ও জাতীয় জাদুঘর কমপ্লেক্স’ প্রকল্প অনুযায়ী গণগ্রন্থাগারের জন্য নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীর সুবিন্যস্ত বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র স্থানান্তর করা হবে। পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘরের জন্যও স্থাপত্যশৈলীর সুবিন্যস্ত আরেকটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
×