ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

প্যান্ট পরা নিষেধ এই মেট্রো রেলে!

প্রকাশিত: ২০:১২, ১০ জানুয়ারি ২০১৭

প্যান্ট পরা নিষেধ এই মেট্রো রেলে!

অনলাইন ডেস্ক ॥ এমন আজব কথাও শুনেছেন কখনও? বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি। এই মেট্রো রেলে চড়বেন। গন্তব্যস্থলে পৌঁছেও যাবেন নির্দিষ্ট সময়ে। জামা, জুতো-সহ বাকি সমস্ত প্রসাধনও পরবেন গুছিয়ে। কিন্তু প্যান্টটি পরা চলবে না। হ্যাঁ, একদিনের জন্য এমনই আজব নিয়ম পালন করা হয়ে থাকে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে। কেমন সে নিয়ম? কেনই বা এমন নিয়ম পালন করেন এই সব দেশের মানুষ? জানতে চোখ রাখুন গ্যালারির পাতায়। অদ্ভুত এই নিয়মের পোশাকি নাম ‘নো প্যান্টস সাবওয়ে রাইড’। বছরের একটা বিশেষ দিনে শরীরের নীচের ভাগ অনাবৃত রেখেই টিউব রেলে চড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। আদতে বিষয়টা ঠিক কী? এই বিশেষ রীতি প্রথম চালু হয়েছিল নিউ ইয়র্কে। সেটা ২০০২ সাল। ইনপ্রুভ এভরিহয়ার, এটি নিউ ইয়র্কের একটি কমেডিক পারফর্ম্যান্স আর্ট গ্রুপ। এই কমেডিনায়ান গ্রুপের তরফে ২০০২ সালে প্রথম ‘নো প্যান্ট সাবওয় রাইড’-এর সূচনা করেছিল এই সংস্থা। প্রথমবার ১৫০ জন অংশ নিয়েছিলেন এই কর্মসূচীতে। সংস্থার সদস্যরা চেয়েছিলেন, একঘেয়ে রুটিনের বাইরে মানুষ একটু অন্য রকম কিছু করুন। গতে বাধা জীবনের বাইরে পা ফেলুন। এরপর থেকেই সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয় ‘নো প্যান্ট সাবওয়ে রাইড’-এর ভাবনা। এই মুহূর্তে বস্টন, বার্লিন, প্রাগ, পোল্যান্ড-সহ বিশ্বের প্রায় এক ডজন দেশে বাসিন্দারা ২০১৬-তে প্রথমবার এই ‘নো প্যান্টস রাইড’-এ অংশ নেয় রাশিয়ার রাজধানী মস্কোও। এই মজার ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন ম্যানহাটনের পিটার সেজ। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি জানান, ‘যাঁদের কাছে ব্যাপারটা ভাল করে বোধগম্য হয় না, তাঁরা ভাবেন আমরা হয়তো কিছু অন্যায় করছি। কিন্তু তিন বার এই ইভেন্টে অংশ নিয়েছি আমি। এটা শুধুই একটা মজা, এর বেশি কিছু নয়।’ ফিলাডেলফিয়ায় এই অনুষ্ঠানটির আয়োজক একটি লন্ড্রি সংস্থা। যাঁরা এই ইভেন্টে অংশ নেবেন তাঁরা একটি নির্দিষ্ট স্থানে এসে প্যান্ট খুলে ফেলেন। পরে সেই প্যান্টগুলি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। আয়োজক সংস্থার বক্তব্য, মানুষকে নিখাদ আনন্দ দেওয়াই এই ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য। গত ৮ জানুয়ারি বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে পালিত হয়েছে এই ‘নো প্যান্টস সাবওয়ে রাইড’। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×