ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়াবার অপসংস্কৃতি ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

ইয়াবার অপসংস্কৃতি ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

ইয়াবাকে অনেকে বাবা ট্যাবলেট বল। অনেক আদরের নাম কিন্তু কাজ তার অনেক ভয়ঙ্কর। ইয়াবা নামক গোলাপি ট্যাবলেটে ছেয়ে গেছে বাংলার আকাশ-বাতাস, শহর-গ্রাম, ধনী-গরিব সব মহল্লা। পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে ছেলের হাতে মায়ের মৃত্যু, মায়ের ভাড়াটিয়া খুনি দ্বারা ছেলের মৃত্যু, ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ অমুক গ্রেফতার, ইয়াবার অপসংস্কৃতিতে দেশ সয়লাব। লক্ষণ ০ বেশি বেশি কথা বলা। হৈচৈ, আনন্দভাব, অতিমাত্রায় হাসিখুশি। ০ আবোলতাবোল কথা বলছে অথবা কি করছে, কি বলছে কোন কিছু বুঝছে না। ০ মাঝে মাঝে ভুলে যাচ্ছে কারও নাম, কোন বিষয় মনে করতে পারছে না। ০ অনাকাক্সিক্ষত কোন ব্যবহার কোন কার্যকলাপ করে ফেলছে, আবার কারও গায়ে হাত দিয়ে ফেলছে, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করছে। ০ এছাড়া জ্বর ওঠা, পানি শূন্যতা, হাটবিট বেড়ে যায়, দাঁত কাটা। ০ সামাজিক জ্ঞান বুদ্ধি, বিবেক হারিয়ে ফেলে। ০ হঠাৎ ক্ষেপে যায়, রেগে যাওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ০ সন্দেহবাতি, কানে গায়েবি কথাশুনা, বিষণœতার লক্ষণ, চামড়ার নিচে কি যেন হাঁটে ও আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দেয়। ০ ঘুমের সমস্যা, কারও কারও ঘুম আসে না, আবার বেশি ঘুম হচ্ছে। ০ কোন রোগী যদি ২-৪ দিনের মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট খেতে পারে তখন বিষণœতার লক্ষণ দেয়া দেয়, মন খারাপ লাগে, বিরক্তভাব, দুর্বল লাগে, ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখে, চুপচাপ থাকে, অস্থির লাগে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। মাথা কামড়ায় গায় ব্যথা মাথা ঝিমঝিম করে। ০ টাকার জন্য মরিয়া হয়ে যায়। ০ সংসার, কর্ম, লেখাপড়া থেকে মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। ০ জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। কেন আসক্ত হয়? ০ গোলাপি রং ও ক্যানডি ফ্ল্যাবারের জন্য সহজেই যুবক-যুবতীরা আকৃষ্ট হয়। ০ কৌতূহলবশত দেখি না খেয়ে কেমন লাগে। ০ বন্ধুবান্ধবের পাল্লায় পড়ে। ০ মনে আনন্দ পাওয়ার জন্য। ০ নাচের ও গানের পারদর্শিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্য। ০ সেক্স বৃদ্ধির আশায়। ০ ব্রেন টনিক ও মাইন্ডটনিক হিসেবে। কি কি ক্ষতি হতে পারে ০ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া। ০ রক্তনালী ছিঁড়ে স্ট্রোক করতে পারে। ০ খিঁচুনি ০ শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ০ পানিশূন্যতা ও কোলাপস হতে পারে এবং ০ মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ষ ইয়াবার ওপর নির্ভরশীল হতে পারে। সাবধানতা : প্রত্যেক পিতামাতা সতর্ক হওয়া উচিত যে, সন্তান কোথায় যায়, কি করে। বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলে সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নেয়া উচিত। ডা. দেলোয়ার হোসেন সহকারী অধ্যাপক মোবাইল : ০১৮১৭০২৮২৭৭
×