ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়ার মাজারে খালেদার শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

জিয়ার মাজারে  খালেদার  শ্রদ্ধা নিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে ফিরে সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরেবাংলানগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে অভিযোগ করেন। এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবি নিয়ে খালেদা জিয়া বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ করতে যাবেন। তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু এবং সত্যিকার অর্থে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে, সে ধরনের একটি যোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য আমরা বার বার বলে আসছি। সেজন্য একটা প্রস্তাবও দিয়েছেন আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া। আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে সেই প্রস্তাব পেশ করব। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ায় আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য বিএনপি রাষ্ট্রপতির কাছে কোন নাম প্রস্তাব করবে কিনা জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, নাম প্রস্তাব করা হলে আপনারা জানতে পারবেন। তিনি বলেন, একাত্তর সালে যখন আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনি তখন আমাদের সামনে স্বপ্ন ছিল সত্যিকার অর্থে স্বাধীন-সার্বভৌম একটি গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করার। আজ ৪৫ বছর পরও সেই গণতন্ত্র অবরুদ্ধ, মানুষের অধিকার লুণ্ঠিত। উল্লেখ্য, বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে নয়া পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশান চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। আর বেলা ১১টায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। পরে ঢাকায় ফিরে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার একটি জগদ্দল পাথরের মতো একনায়কতান্ত্রিক উপায়ে দেশ শাসন করছে। তাদের মূল লক্ষ্য বিরোধী দল ও ভিন্নমতকে দমন করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। সরকারের দুঃশাসনে দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পথে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যে চেতনার জন্য লড়াই করেছি সেই চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আজকে বিএনপি শপথ করেছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হব, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হবে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, এজেডএম জাহিদ হোসেন, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ। এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা দল, যুব দল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, তাঁতিদল, মৎস্যজীবী দল, জাসাস, ড্যাব, ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন, এগ্রিকালচারিস্ট এ্যাসোসিয়েশন, জিয়া পরিষদ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম, জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিএনপিপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
×