ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

কাল শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬

কাল শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে আগামীকাল শনিবার। ৬-১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে প্রচার করা হবে পুষ্টিবার্তা। এ দফায় সারাদেশে প্রায় ২ কোটি ১৫ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন উদযাপিত হবে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপচিালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক ওয়াহিদ হোসেন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ৩ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে। তবে দুর্গম এলাকায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন সফল করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেনের দিন প্রতিটি উপজেলায়, জেলায় ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একটি স্বাস্থ্য বার্তাও সকলকে পৌঁছে দেয়া হবে : ‘জন্মের পর পূর্ণ ৬ মাস শিশুকে শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য সকলকে বলুন।’ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের জনস্বাস্থ্য ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। স্বাস্থ্য খাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য সাড়ে ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, অনুর্ধ ৫ বছর বয়সী শিশুর ও ইনফ্যান্টের মৃত্যুহার যথাক্রমে হাজারে ৫৩ ও হাজারে ৪৩ (জীবিত জন্মে) নেমে এসেছে। অপুষ্টির হার কমেছে, খর্বতা ৪৩ শতাংশ থেকে ৪১ শতাংশে এবং কম ওজন ৪১ শতাংশ থেকে ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে। শিশুদের শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার বেড়েছে, যা বর্তমানে শতকরা প্রায় ৬৪ ভাগে উন্নীত হয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে নেমে এসেছে।
×