ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

শাহরিয়ার কবির

কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৪৫তম বার্ষিকী ॥ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৪৫তম বার্ষিকী ॥ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা

(শেষাংশ) প্রতিবছর পর্যটন, চিকিৎসা, উচ্চশিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও তীর্থ দর্শনের জন্য বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ভারতে যায়। একইভাবে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করছে ভারতীয় পর্যটকরা। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের নদ-নদী দক্ষিণ-পূর্ব ভারতের জনগোষ্ঠীসমূহের সভ্যতা, যোগাযোগ, আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের সময় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার যে লাখ লাখ মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন সেই প্রজন্মের অনেকে এখনও বেঁচে আছেন। হারানো মাতৃভূমির প্রতি তাদের গভীর মমত্বের পরিচয় আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময়। বাংলাদেশের মানুষের যুদ্ধকে পশ্চিম বাংলা, অসম ও ত্রিপুরার মানুষ নিজেদের যুদ্ধ মনে করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরাসহ ভারতের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের এক বিশাল অংশের পিতৃপুরুষের ভিটা বাংলাদেশে। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ক্ষেত্রে এসব বিষয় সব সময় গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রধান হুমকি হচ্ছে পাকিস্তান। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের ওপর নির্মিত আমার প্রামাণ্যচিত্র ‘জিহাদ উইদাউট বর্ডার’-এ পাকিস্তানের সিনেটর (বর্তমানে মন্ত্রী) হাসিল বেজেঞ্জো বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান হচ্ছে বিশ্বে এমন একটি দেশ যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিজ দেশে জঙ্গীবাদকে মদদ দেয়া হয়। আমার জানা নেই বিশ্বে অন্য কোন দেশ এমনটি করে কিনা।’ অনেক দেশ অন্য দেশে জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসকে মদদ দেয়, নিজ দেশকে নিরাপদ রাখে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আমরা দেখছি বাংলাদেশে গণহত্যা চালাবার জন্য পাকিস্তানী সামরিক জান্তা কীভাবে জামায়াতে ইসলামী এবং সমমনা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক দলগুলোর সহযোগিতায় ‘রাজাকার’, ‘আলবদর’, ‘আলশামস’, ‘মুজাহিদ বাহিনী’ ইত্যাদি ঘাতক বাহিনীকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এরপর আফগানিস্তানে পরে কাশ্মীরে জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাস রফতানির জন্য পাকিস্তান যে সব তালেবান, মুজাহিদীন সৃষ্টি করেছিল তারা এখন ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানবে পরিণত হয়েছে। আফগান জিহাদ শেষ হওয়ার পর মোল্লা উমরের জমানায় পাকিস্তান সৃষ্ট তালেবানরা নিজ দেশে সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনা শুরু করেছে, যা এখনও অব্যাহত আছে। আমেরিকা, ইসরাইল, তুরস্ক, ইরান, সৌদি আরব প্রভৃতি দেশ অন্যদেশে জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসকে মদদ দিলেও নিজেদের দেশে সন্ত্রাসকে কোনো মদদ দেয় না। তারপরও তাদের সৃষ্ট সন্ত্রাস নিজ দেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি বটে। পাকিস্তান বিশ্বের বৃহত্তম সন্ত্রাস উৎপাদনকারী রাষ্ট্র। সন্ত্রাস বিপণন ও রফতানিতে পাকিস্তান সমগ্র বিশ্বে শীর্ষে অবস্থান করছে। এই সন্ত্রাস শুধু দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে নয়, ইউরোপ ও আমেরিকাসহ বিশ্বব্যাপী রফতানি হচ্ছে। ’৭১-এর পর পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব পাকিস্তান শাখা আংশিক নাম পরিবর্তন করে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে রূপান্তরের কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করে যাচ্ছে। ১৯৯২ সালে বেগম খালেদা জিয়ার জমানায় জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ‘হরকত-উল জিহাদ’-এর নেতারা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসে ঘটা করে তাদের শাখা প্রতিষ্ঠা করেছে, যেখান থেকে ডালপালা গজিয়ে পাকিস্তানী ব্র্যান্ডেড জিহাদ এখন মহীরুহে পরিণত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ীদের উৎখাত করে তাদের সংখ্যালঘুতে পরিণত করার উদ্যোগের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সামরিক প্রশিক্ষণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল, যা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা পাকিস্তানপ্রেমী জেনারেল জিয়াউর রহমান আবার চালু করেছিলেন। তার যোগ্য সহধর্মিণী খালেদা জিয়ার জমানায় ‘হরকত-উল জিহাদ’ ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানের পাশাপাশি কাশ্মীরে জিহাদের জন্য সদস্য রিক্রুট করেছে। বাংলাদেশের জঙ্গীদের এবং মাদ্রাসার গরিব ছাত্রদের কীভাবে পাকিস্তান নিয়ে উচ্চতর সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে কাশ্মীরসহ বিভিন্ন দেশে জিহাদের জন্য পাঠানো হয়েছে তার বিবরণ ২০১১ সালে নির্মিত আমার প্রামাণ্যচিত্র ‘জিহাদের প্রতিকৃতি’তে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যখন উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ যাবতীয় আস্তানা বন্ধ করে দিলেন এবং ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেন তখনই মহাজোট সরকারকে উৎখাতের জন্য পাকিস্তান তার এজেন্টদের লেলিয়ে দিয়েছে হিংস্র হায়নার মতো। জামায়াত-বিএনপি কখনও জোট বেঁধে যাবতীয় সন্ত্রাস ও অন্তর্ঘাত চালিয়ে বাংলাদেশকে অচল করে দিতে চাইছে- কখনও জামায়াত আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে অন্তর্কলহ সৃষ্টির পাশাপাশি সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাচ্ছে। ১৯৭১ সাল থেকেই জামায়াত এবং তাদের সহযোগীরা বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করে পাকিস্তানের মতো মনোলিথিক মুসলিম রাষ্ট্র বানাবার চক্রান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কারণ যত না অর্থনৈতিক তার চেয়ে ঢের বেশি রাজনৈতিক ও আদর্শিক, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার যেসব দেশ পাকিস্তানের জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসের শিকার, সেসব দেশের উচিত হবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক টাস্কফোর্স গঠন করা। জঙ্গী মৌলবাদকে রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে, সামরিকভাবে, সামাজিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে এবং আদর্শিকভাবে কীভাবে মোকাবেলা করা যায় এ নিয়ে এসব দেশের সরকার ও নাগরিক সমাজের ভেতর সমঝোতার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগে পাকিস্তান এত ক্ষিপ্ত হয়েছে যে গণহত্যার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত-বিএনপির নেতাদের সাচ্চা পাকিস্তানী ঘোষণা করে তাদের ‘শহীদ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যেভাবে পাকিস্তান কাশ্মীরে নিহত জঙ্গী মৌলবাদী নেতাদের ‘শহীদ’ ও ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’ বলছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ঢাকায় পাকিস্তানী দূতাবাসের কূটনীতিকরা জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বৈঠককালে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন, যাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ও বাংলাদেশী নকল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকায় পাকিস্তানী দূতাবাস সে দেশের সামরিক গোয়েন্দা ‘আইএসআই’-এর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত ৪০ বছরে বাংলাদেশ তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। জামায়াতীরা অসহায় রোহিঙ্গাদের দারিদ্র্য ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে ব্যবহার করে সাহায্যের নামে তাদের জিহাদের তালিকায় নাম লেখাচ্ছে। ২০০৬ সালে জামায়াত-বিএনপির জমানায় আমরা রোহিঙ্গাদের ১৭টি জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা তৈরি করেছিলাম, যেগুলো জামায়াতের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে। জামায়াতীরা রোহিঙ্গা যুবকদের জিহাদ করার জন্য বার্মার পাশাপাশি কাশ্মীর, আফগানিস্তান ও চেচনিয়ায় পাঠিয়েছে। আমার ‘জিহাদের প্রতিকৃতি’ প্রামাণ্যচিত্রে এমন এক রোহিঙ্গা যুবকের সাক্ষাতকার আছে যে বলেছে তার দারিদ্র্য ও ধর্মবিশ্বাসের সুযোগে জামায়াত কীভাবে তাকে তথাকথিত জিহাদে ব্যবহার করেছে। গত ২৫ বছর ধরে পাকিস্তানের করাচীকে ঘাঁটি বানিয়ে ‘হরকত-উল জিহাদ আরাকান’ বাংলাদেশ ও বার্মায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। ২০০৬ সালে প্রকাশিত আমার একটি লেখায় হুজি আরাকানের প্রধান আবদুল কুদ্দুস মুজাহিদের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও দিয়েছি। বাংলাদেশ ও বার্মায় জিহাদের জন্য কুদ্দুস তাদের মুখপত্র ‘তাযকারায়ে আরাকান’-এ যেখানে টাকা পাঠাতে বলেছে- সেটি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ-এর মতিঝিল শাখা। ‘আইএসআই’-এর মদদে কুদ্দুস এখনও পাকিস্তানে বসে বাংলাদেশ ও বার্মায় তাদের গোপন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। বার্মার আরাকান ও বাংলাদেশের বান্দরবান ও কক্সবাজারের একটি অংশ নিয়ে স্বাধীন রোহিঙ্গা মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের পাকি-জামায়াতি পরিকল্পনা সম্পর্কে বহু আগে থেকেই আমরা লিখছি। সম্প্রতি বার্মায় নতুনভাবে রোহিঙ্গা নির্যাতনকে কেন্দ্র করে যেভাবে শরণার্থী আসছে জামায়াত এবং তাদের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সহযোগী রাস্তায় মাতম করলেও প্রকৃতপক্ষে তারা উল্লসিত হচ্ছে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথ সুগম হওয়ার কারণে। তারা বার্মার সরকারকে বলছে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে, অথচ বাংলাদেশে তারা নির্বিচারে সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টানদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। বাংলাদেশের উচিত হবে বার্মার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং ভারত-চীন ও থাইল্যান্ডের মতো প্রতিবেশীদের সঙ্গে এ বিষয়ে অর্থপূর্ণ আলোচনা করা। কারণ, অসহায় রোহিঙ্গাদের এভাবে পাকি-জামায়াতীদের হাতে ছেড়ে দিলে তা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য সমূহ হুমকির কারণ হবে। ওআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে হবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বোঝা ভাগ করে নেয়ার জন্য এবং বার্মায় সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধের জন্য। জঙ্গী রোহিঙ্গারা বার্মার সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেবে, তার মাসুল দিতে হবে সে দেশের নিরীহ রোহিঙ্গাদের এবং বাংলাদেশকে- এ পরিস্থিতি কখনও কাম্য হতে পারে না। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে জামায়াতী এনজিওদের কাজ কঠোর নজরদারিতে আনতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে বাংলাদেশ ও ভারতের বহু কিছু করার আছে, সরকারী ও বেসরকারী উভয় ক্ষেত্রে। জঙ্গী মৌলবাদী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বি-মৌলবাদী কৌশল বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সরকার ও নাগরিক সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। যে ধর্মনিরপেক্ষ মানবিকতার মূল্যবোধ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীকে সুদৃঢ় করেছে- মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনার বিকাশ প্রয়োজন শুধু মৈত্রী নয়, দক্ষিণ এশিয়ার পৌনে ২শ’ কোটি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কল্যাণের প্রয়োজনেও। এক মহান সভ্যতার অভিন্ন উত্তরাধিকারী হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের মৈত্রী বিশ্বশান্তি এবং মানবকল্যাণে অবদান রাখবে এমনটিই প্রত্যাশা ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের মহান রাষ্ট্রনায়ক ইন্দিরা গান্ধীর। ৪ ডিসেম্বর ২০১৬
×