ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ

টিভি নাটক শিল্প রক্ষায় ৫ দফা দাবিতে রাজপথে শিল্পী সমাজ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১ ডিসেম্বর ২০১৬

টিভি নাটক শিল্প রক্ষায় ৫ দফা দাবিতে রাজপথে শিল্পী সমাজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নানা প্রতিকূলতা, অনিশ্চয়তা ও বিদেশী সংস্কৃতির আধিপত্য ও নানা প্রতিকূলতা থেকে টেলিভিশন নাটক শিল্পকে রক্ষা করতে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছে টিভি নাটকের তারকা, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বুধবার সকালে ‘শিল্পে বাঁচি শিল্প বাঁচাই’ সেøাগানে এক সমাবেশ হয়। ফেডারেশন অব টেলিভিশনস প্রফেশলানস অর্গানাইজেশনস (এফটিপিও) আয়োজিত এ সমাবেশে তারা পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল দেশের বেসরকারী টিভি চ্যানেলে বাংলায় ডাবকৃত বিদেশী সিরিয়াল ও অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ করা, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে এজেন্সির হস্তক্ষেপ ব্যতীত চ্যানেলের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে, টেলিভিশন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে এআইটির ন্যূনতম ও যৌক্তিক হার পুনর্নির্ধারণ করতে হবে, দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশী শিল্পী ও কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ করতে হবে এবং ডাউনলিংক চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশী চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে। এফটিপিওর আহ্বায়ক অভিনেতা-নির্দেশক মামুনুর রশীদ স্বাগত ভাষণে বলেন, এই ভূখ-ের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ-ভাবনা ও চেতনাকে সুরক্ষিত রাখতেই আমাদের এই আন্দোলন। তারপর এফটিপিওর সদস্য সচিব নির্মাতা গাজী রাকায়েত এফটিপিওর ধারণাপত্র পাঠ করেন। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন কোনভাবেই সরকারবিরোধী বা চ্যানেলবিরোধী নয়। চিরতরে হারানো টেলিভিশন নাটকের নির্মাতা, শিল্পী-কলাকুশলীদের উদ্দেশ্যে শোকপ্রস্তাব আনে এফটিপিও, পাঠ করেন অভিনেত্রী সানজিদা প্রীতি। অভিনেতা-নির্দেশক-প্রযোজক সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, অনেক ক্লায়েন্ট ও এজেন্সি শিল্পী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্দেশক ও প্রযোজকদের ওপর তাদের মতামত চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটা খুব অমানবিক। প্রবীণ অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, কোন একটি কুচক্রিমহল আমাদের ইচ্ছামতো চালাতে চাইছে, দমন করতে চাইছে আমাদের। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। বেসরকারী টিভি চ্যানেলগুলোতে বিদেশী শিল্পী ও কলাকুশলীদের অংশগ্রহণে কর্তৃপক্ষের তুমুল নিন্দা করেন অভিনেতা আবুল হায়াত। টিভি নাটকে পারিশ্রমিক ইস্যুতে তারতম্য সমস্যা সমাধানে প্রযোজকদের প্রতি অনুরোধ জানান নাট্যব্যক্তিত্ব ইনামুল হক। নির্মাতা বৃন্দাবন দাস বলেন, আজকের এ সঙ্কট আমাদের পরিচয়হীন করে দেয়ার ষড়যন্ত্র। অভিনেত্রী ডলি জহুর বললেন, এ আন্দোলনের সঙ্গে দর্শকদের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। আন্দোলনে সংহতি জানাতে এসেছিলেন জাহিদ হাসান, রোকেয়া প্রাচী, অরুণা বিশ্বাস, চঞ্চল চৌধুরী, আনজাম মাসুদ, সাজু খাদেম, জাকিয়া বারী মম, শিহাব শাহীন, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, ফারহানা মিলি, আজমেরি হক বাঁধন, মৌসুমী হামিদ, রুনা খান, তানজিকা আমিন, কল্যাণ কোরাইয়া, দোলন দে, ফারজানা চুমকি, শামীমা তুষ্টি, রওনক হাসানসহ একাল-সেকালের অভিনেতা, নির্মাতা ও কলাকুলশীরা।
×