ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মঠবাড়িয়ায় জলাবদ্ধতা

কয়েক হাজার কৃষক পরিবারে নীরব কান্না

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ২৫ নভেম্বর ২০১৬

কয়েক হাজার কৃষক পরিবারে নীরব কান্না

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ২৪ নবেম্বর ॥ মঠবাড়িয়া উপজেলায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে সহস্রাধিক আবাদি জমিতে আমন আবাদ না হওয়ায় ভুক্তভোগী কয়েক হাজার কৃষক পরিবারে নীরব কান্না চলছে। সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধ জমি উপজেলার মিরুখালী ও ধানী সাফা ইউনিয়নে। ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য জলাবদ্ধ জমিতে জন্ম নেয়া কচুরিপানা ও আগাছা পরিষ্কার করতে কৃষকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। জানা যায়, বেড়িবাঁধ না থাকা এবং অপরিকল্পিতভাবে বেড়িবাঁধ, শাখা খালে বাঁধ ও সøুইস গেট নির্মাণের কারণে উপজেলার ১১ ইউনিয়নে প্রতিবছর সহস্রাধিক একর আবাদি জমি জলাবদ্ধ থাকায় কৃষকরা আমন আবাদ করতে পারছে না। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলার মিরুখালী ও ধানী সাফা ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম। এ হলো মিরুখালী ইউনিয়নের ছোট শৌলা, বড় শৌলা, উত্তর মিরুখালী, ওয়াহেদাবাদ, দেবীপুর, বাঁশবুনিয়া, পশ্চিম মিরুখালী, বাদুরা, ভগিরথপুর ও ঘোপখালী এবং ধানী সাফা ইউনিয়নের পূর্ব ধানী সাফা ও তেঁতুলবাড়িয়া। উপজেলা কৃষি আফিসের সূত্র মতে, উপজেলায় মোট অনাবাদি জমির পরিমাণ এক হাজার একর। তবে কৃষকদের দাবি মিরুখালী ও ধানী সাফা ইউনিয়নেই অনাবাদি জমি আছে প্রায় এক হাজার একর। আমুয়া-মিরুখালী-ধানী সফা খালের উত্তর পারে বেড়িবাঁধ না থাকা এবং কয়েকটি শাখা খালে বাঁধ দেয়ার কারণে পানি নিষ্কাশন না হতে পারা এ দুই ইউনিয়নের জলাবদ্ধতার কারণ।সরেজমিন দেখা গেছে, আমন আবাদ না করতে পেরে ইরি-বোরো চাষের জন্য জলাবদ্ধ জমির আগাছা পরিষ্কার করতে মোটা অংকের টাকা ব্যয় হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয় পেলে কৃষকরা তাদের নিকট ভিড় করে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা বর্ণনা করছেন। ঘোপখালী গ্রামের বোরহান তালুকদার জানান, তাদের প্রায় ১৪ একর জমিতে আমন আবাদ হয়নি। একই গ্রামের বাবুল তালুকদার ও আনেছ তালুকদারের প্রায় ৬ একর জমি অনাবাদি আছে। বড় শৌলা গ্রামের ইউনুছ তালুকদার জানান, আগাছা পরিষ্কার করতে একরপ্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। একই গ্রামের আঃ সোবাহান হাওলাদার জানান, ইরি-বোরো ধান আবাদের জন্য আগাছা সাফ এবং জমি চাষে একরপ্রতি প্রায় ১৭-১৮ হাজার টাকা ব্যয় হবে। কৃষিযন্ত্র বিতরণ নিজস্ব সংবাদদাতা, মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা, ২৪ নবেম্বর ॥ মোহনগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যোগে সম্মিলিত কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় উপজেলার আটটি কৃষক গ্রুপে বিনামূল্যে ৯টি পাওয়ার প্রেসার (মাড়াই কল) বৃহস্পতিবার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়ার প্রেসার বিতরণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরমেয়র এ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান রতন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার বুলবুল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম নাফিস, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা দুলা মিঞা, পৌর কাউন্সিলর নাজমুল হুদা লিটন। আর্থিক অনুদান বিতরণ নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ২৪ নবেম্বর ॥ বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি (বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানিক সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় ১২ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে অনুদান হিসেবে ২১ লাখ টাকা ৪ সেট কম্পিউটার, পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার ৬৫ উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিককে আসবাবপত্র ও বিভিন্নসামগ্রী বিতরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে খনির অফিসার্স ক্লাবে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এলাকার সংসদ সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান। মন্ত্রীর হাত দিয়ে অনুদানের অর্থ ও সামগ্রী প্রদান করা হয়। এ সময় খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএসএন আওরঙ্গদেব, মহাব্যবস্থাপক আঃ মান্নান পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×