ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যাটিংয়ে মেহেদী, বোলিংয়ে নবীর দাপট

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

ব্যাটিংয়ে মেহেদী, বোলিংয়ে নবীর দাপট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঢাকা পর্ব শেষে চট্টগ্রাম পর্ব শুরু হওয়ার আগে ব্যাটিং ও বোলিং দু’দিকেই দেশী ক্রিকেটারদের দাপট ছিল। কিন্তু চট্টগ্রাম পর্ব শেষে ব্যাটিংয়ে দেশী ক্রিকেটারদের দাপট অব্যাহত থাকলেও, বোলিংয়ে সেই দাপট বিদেশী ক্রিকেটারদের হাতে চলে গেছে। ব্যাটিংয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান মেহেদী মারুফ সবার ওপরে আছেন। আর বোলিংয়ে চিটাগাং ভাইকিংসের অলরাউন্ডার আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী শীর্ষস্থান দখল করেছেন। মেহেদী সর্বোচ্চ রান করেছেন। সাত ম্যাচে ৪০.৬৬ গড়ে ২৪৪ রান করেছেন। আর বোলিংয়ে ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে নবী আছেন সবার ওপরে। ঢাকা পর্ব শেষে ব্যাটিংয়ে সেরা পাঁচে দেশীরাই ছিল। চট্টগ্রাম পর্ব শেষেও সেই দাপট দেখিয়েছেন দেশী ব্যাটসম্যানরা। তবে বোলিংয়ে ঢাকা পর্ব শেষে প্রথম দু’জনই ছিলেন দেশী বোলার। এবার আর সেই স্থান অক্ষুণœœ রাখতে পারেননি। সেই স্থান দখল করে নিয়েছেন বিদেশী ক্রিকেটার নবী। ব্যাটিংয়ে মেহেদীর পরের অবস্থানে আছেন মুশফিকুর রহীম। বরিশাল বুলসের অধিনায়ক ৭ ম্যাচে ৫৯.০০ গড়ে ২৩৬ রান করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। তিন নম্বর স্থানে রয়েছেন একই দলের শাহরিয়ার নাফীস। ৭ ম্যাচে ৩৭.৫০ গড়ে শাহরিয়ারের সংগ্রহ ২২৫ রান। চতুর্থ স্থানে চিটাগাং ভাইকিংসের তামিম ইকবাল ও পঞ্চম স্থানে রাজশাহী কিংসের মুমিনুল হক আছেন। ৮ ম্যাচে ২৭.৮৭ গড়ে ২২৩ রান করেছেন তামিম। আর ৬ ম্যাচে ৩৬.০০ গড়ে ২১৬ রান করেন মুমিনুল। ঢাকা পর্ব শেষে ব্যাটিংয়ের স্থানগুলোতে পুরোই ‘ওলট-পালট’ হয়েছে। তবে দেশীদের দাপট ঠিকই অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা পর্ব শেষে শাহরিয়ার প্রথম, মুশফিক দ্বিতীয়, মেহেদী তৃতীয়, রাজশাহীর সাব্বির চতুর্থ ও তামিম পঞ্চম স্থানে ছিলেন। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে সাব্বির সেরা পাঁচ থেকে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছেন। রাজশাহীরই মুমিনুল ঢুকে গেছেন সেরা পাঁচে। বোলিংয়েও স্থান ‘ওলট-পালট’ হয়েছে। ঢাকা পর্ব শেষে ৮ উইকেট করে নিয়ে দেশী বোলার পেসার খুলনা টাইটান্সের শফিউল ইসলাম ও ঢাকা ডায়নামাইটসের মোহাম্মদ শহীদ যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। রংপুর রাইডার্সের পাকিস্তান অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি, আফগানিস্তানের নবী ও পাকিস্তানের পেসার জুনায়েদ খান ৭ উইকেট করে নিয়ে যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে ছিলেন। সেই স্থানগুলো ‘ওলট-পালট’ হয়ে গেছে। তবে এ পাঁচ বোলারই আছেন সেরা পাঁচে। নবী সবার ওপরে উঠে গেছেন। ৭ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নিয়েও শহীদ আছেন দ্বিতীয় স্থানে। নবী ও শহীদের চেয়ে ১ উইকেট কম শিকার করায় তৃতীয় স্থানে চলে গেছেন ৭ ম্যাচের মধ্যে ৬ ম্যাচে বোলিং করা শফিউল। ৬ ম্যাচ খেলা আফ্রিদি ও ৭ ম্যাচ খেলা জুনায়েদ যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। দু’জনই ১১ উইকেট করে শিকার করেছেন। বিপিএলের চতুর্থ আসরের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে শুক্রবার। এ পর্বে দলগুলোর সেরা চারে স্থান করে নেয়ার লড়াই হবে। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত লড়াইও হবে। কে কার চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারেন, সেই লড়াই দেখা যাবে।
×