ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাগর কোড়াইয়া

শব্দ দূষণ খোলা ডাস্টবিন

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ২৪ নভেম্বর ২০১৬

শব্দ দূষণ খোলা ডাস্টবিন

ঢাকাকে যখন রাজধানী ঘোষণা করা হয় তখন ঢাকার অবস্থা কি আজকের মতো ছিল? প্রযুক্তির বদৌলতে রাজধানীর পূর্বের চেহারা আর নেই। ঢাকা হারিয়েছে তার নিজস্ব জৌলুস আর ঐতিহ্য। ‘ঢাকায় নাকি টাকা ওড়ে’ যে ধরতে জানে সে ঠিকই ধরতে পারে। কিন্তু জীবনে সুখ ও নিরাপত্তা লাভের জন্য টাকাই তো সবকিছু করতে পারে না। নাগরিক জীবনের জন্য চাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাসস্থান, যানজটমুক্ত পরিবহন, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। কিন্তু প্রশ্ন একটাই; রাজধানী এই ঢাকা শহরে কি সেই ব্যবস্থা আছে? আমাদের এই প্রিয় রাজধানীর বুকে প্রতিনিয়ত নানাবিধ রোগের সৃষ্টি করছি। যদি একটা রোগ বাসা বাঁধত তাহলে না হয় সেই রোগ নিরাময়যোগ্য ছিল কিন্তু রাজধানী আজ হাজারো রোগের দ্বারা এমনভাবে নাকাল ও করুণ অবস্থায় পর্যবসিত যে তাকে সারিয়ে তুলতে গেলে রাজধানীর প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে রোগ নিরাময়ের জন্য কাজ করতে হবে। রাজধানীতে সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর ও অসহনীয় একটি দৃশ্য হলো খোলা ডাস্টবিন। মাঝে মাঝে মনে হয় সারা রাজধানীটাই যেন একটি খোলা ডাস্টবিন। ডাস্টবিন কেন মানুষের চলাচলের রাস্তার পাশে তৈরি করতে হবে; এর কোন যুক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। রাজধানী ঢাকার ওভারব্রিজ ও উড়াল সড়কগুলো যেন বাংলাদেশের উন্নয়নের এক একটি প্রতীক। কিন্তু দেখতে বড়ই অরুচিকর লাগে তখনই যখন দেখি রাজনৈতিক দল ও সিনেমার পোস্টারে ওভারব্রিজ ও উড়াল সড়ক সয়লাব হয়ে যায়। রাজধানী ঢাকাতে শব্দদূষণ মাত্রাতিরিক্ত। ইদানীং কিছু কিছু মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের বিকট শব্দ শ্রবণেন্দ্রীয়ের গ্রহণযোগ্যতাকে হার মানাচ্ছে। অপরদিকে রাজনৈতিক দল বা অন্য দলের চিৎকার-চেঁচামেচি তো রয়েছেই। হাতিরঝিলের সৌন্দর্যবর্ধন দেখে অনেকেই একে রাতের লন্ডনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। একদম সত্যি কথা। কিন্তু লন্ডনকে স্ব-অবস্থানে রাখার জন্য সেখানকার নগরবিদ ও নাগরিকদের যে প্রচেষ্টা তা আমাদের মাঝে নেই বললেই চলে। রাজধানী ঢাকাকে নিয়ে এখনও আমরা স্বপ্ন দেখি। এই শহর একদিন হয়ে উঠবে তিলোত্তমা। ইতোমধ্যে সে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে প্রত্যেক নাগরিককে, ‘আমার রাজধানী, আমার দায়িত্ব’ মূলমন্ত্র ধারণ ও সেই মতো করতে হবে। বনানী, ঢাকা থেকে
×