ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

রামপালে সরকারী খালের বাঁধ ফের অপসারণ

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২৩ নভেম্বর ২০১৬

রামপালে সরকারী খালের বাঁধ ফের অপসারণ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌপথ সংলগ্ন সরকারী রেকর্ডীয় খালের ওপর প্রভাবশালী মৎস্য ঘের মালিকদের অবৈধ বাঁধ পুনরায় অপসারণ শুরু হয়েছে। রামপালের বাইনতলা ইউনিয়নের রেকর্ডীয় খালের বাঁধ মঙ্গলবার থেকে কাটা শুরু হয়। মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্য রক্ষায় সংলগ্ন খালের বাঁধ অপসারণ করা হচ্ছে। তবে ভরাট ১০৮টি খাল খনন করা অত্যন্ত জরুরী। এদিকে বিভিন্ন খালের ১৫’শটি অবৈধ বাঁধ অপসারণ করা হলেও যথাযথ তদারকি না থাকায় অনেকে আবার বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করছেন। আবার কোন কোন খালের বাঁধ অপসারণ না করে বরাদ্দ উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়নের দেয়াল ডাঙ্গার খালের বাঁধ অপসারণে পূর্বে প্রকল্পের সরকারী বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। ওই খালের ওপর থেকে পুনরায় উপজেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ১২টি বাঁধ অপসারণ করা হয়। এভাবে কাটালি খালের ৩টি, নলবুণিয়া খালের ৩টি, বরুইতলা খালের ৩টি বাঁধ ও ৪টি পাটা অপসারণ, ছাচিবুনিয়া খালে ১টি, শেদলার খালের ৬টি বাঁধ, চেরাই খালের ৪টি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই সব খালে পূর্বে বরাদ্দ দেয়া হলেও বাঁধ অপসারণ না করে বরাদ্দ উত্তোলন করা হয়েছে। যেসব অবৈধ দখলদারদের বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে তারা অভিযোগ করেন বলেন, ‘শুধু আমাদের ঘেরের বাঁধগুলো অপসারণ করা হলেও প্রভাবশালী এক নেতার দখলে থাকা দাড়ার খালের আগায় এখনও বাঁধ রয়েছে। অবৈধ বাঁধ কাটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাইনতলা তহশিলদার সিরাজুল ইসলাম জানান, সকল বাঁধ ইতোমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন শেখ জানান, এসব বিষয় নিয়ে অনেক কথাই বলেছি। শুধু জনপ্রতিনিধিদের সদিচ্ছার অভাবে দখলদাররা এখনও দখল করে রাখার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। নতুন করে খালের বাঁধ অপসারণের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব কুমার রায় জানান, প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ওই খালগুলির বাঁধ অপসারণ না করায় পূর্বের বরাদ্দেই নতুন করে খাল খনন ও বাঁধ অপসারণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দখলদারদের কবল থেকে সকল রেকর্ডীয় খাল দখলমুক্ত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
×