ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

কীর্তনখোলার ভাঙ্গনে হুমকিতে অর্ধশত পরিবার, স্কুল

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২০ নভেম্বর ২০১৬

কীর্তনখোলার ভাঙ্গনে হুমকিতে অর্ধশত পরিবার, স্কুল

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ কীর্তনখোলা নদীর আকস্মিক ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে নগরীর কালিজিরার উত্তর জাগুয়া এলাকা। গত ১৪ নবেম্বর থেকে শুরু হওয়া ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বিপুল জমি ও বসতভিটা। এখনও হুমকির মুখে রয়েছে একটি মাধ্যমিক, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার। উপায়ান্তর না পেয়ে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে বাঁচতে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন, একটি ওষুধ কোম্পানির অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে নদীর পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যে কারণে উত্তর জাগুয়ার ওই এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। অপরদিকে অর্থ বরাদ্দ না থাকার অজুহাতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা শুধু নীরব ভূমিকা পালন করে চলেছে। কীর্তনখোলার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়া ঘর মালিক আব্দুর জব্বার মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জাগুয়ায় কীর্তনখোলা নদীর তীরের ভাঙ্গন অব্যাহত ছিল। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেয়া হলেও ভাঙ্গন থেমে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে গত ১৪ ও ১৫ নবেম্বর আকস্মিকভাবে ওই স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়। দুই দিনের ভাঙ্গনে তারসহ মান্নান মোল্লা, সামছুল হক মোল্লা, রাজ্জাক মোল্লা, হেলাল মোল্লা, জলিল মোল্লা, গফ্ফার মোল্লা, আব্দুল মালেকের ঘরবাড়ি নদী গ্রাস করে নিয়েছে। কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার জানান, গত ১৪ নবেম্বর থেকে ভাঙ্গন শুরু হলেও ওই দিন রাতে কয়েকটি স্থানে হালকা ভাঙ্গন দেখা দেয়। তবে ভাঙ্গন তীব্রতর হয় ১৫ নবেম্বর সকাল থেকে। প্রথম দফায় বিশাল অংশ নদী গ্রাস করে নেয়। পরবর্তীতে রাত নয়টার দিকে পুনরায় ভাঙ্গন শুরু হয়। ভাঙ্গন তীব্রতর হওয়ায় নদীর তীরবর্তী অধিকাংশ বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ও মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন পর হঠাৎ নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়ে সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল ১৫ নবেম্বর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বিসিসি থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র আহসান হাবিব কামাল।
×