ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে প্রতারণা ॥ হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২০ নভেম্বর ২০১৬

বাউফলে প্রতারণা ॥ হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৯ নবেম্বর ॥ বাউফলের মদনপুর গ্রামে একটি চক্র ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সহজসরল হিন্দুদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন ওই গ্রামের পালপাড়া গাঙ্গুলী বাড়ির কাছে গিয়ে দেখা গেছে, গাঙ্গুলী নামের একটি নার্সারির মধ্যে কয়েকশ’ হিন্দু নারী পুরুষ ও শিশু অবস্থান করছেন। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। তারা বাউফল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। ওই নার্সারি একটি দোচালা টিনের ঘরের মধ্যে ধুপকাঠি জ্বালিয়ে শ্যামল দেবনাথ এক ব্যক্তি পূজা অর্চনা করছেন। তার পূর্ব পাশে সম্রাট নামের (৩২) আরেক যুবক ঠাকুরের ভঙ্গিমায় বসে আছেন। তিনি ওই নার্সারির মালিক উত্তম গাঙ্গুলীর ভাগ্নে আর অপরজন তার নার্সারির ম্যানেজার। তাদের সামনে তখন বেশ কয়েক নারী তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য লোকনাথ ঠাকুরের প্রতিমার সামনে আগরবাতি, মোমবাতি ও টাকা প্রদান করছেন। আর কেউ সঙ্গে আনার পানির বোতলে ফু দিয়ে নিচ্ছেন। নার্সারির ম্যানেজার ও কথিত ঠাকুর শ্যামল দেবনাথ জানান, তিনি তিন বছর ধরে এ নার্সারিতে চাকরি করছেন। গত তিন মাস আগে পাশের পালপাড়া থেকে ওই নার্সারির মালিক উত্তম গাঙ্গুলী লোকনাথ ঠাকুরের একটি প্রতিমা তৈরি করে এনে ওই দোচালা টিনের ঘরের মধ্যে রাখেন। এরপর তিনি লক্ষ্য করেন, টিনের চালার ফুটো দিয়ে ঘরের মধ্যে পানি পড়লেও লোকনাথ ঠাকুরের গায়ে পড়ছে না। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন বিষয়টি এলাকার হিন্দু লোকজনদের জানাবেন। সে অনুযায়ী দিনক্ষণ বেছে নিয়ে তিনদিন ধরে তিনি কয়েকটি গ্রামে হিন্দু বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়টি অবহিত করেন এবং তিনি তাদের জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে যেসব হিন্দু নারী পুরুষ ওই নার্সারিতে এসে লোকনাথ ঠাকুরকে এক নিয়তে পূজা করবেন তাদের যে কোন মনোবাসনা পূরণ হবে। এর পর ওই দিন সকাল থেকে ওই নার্সারিতে ঢল নামে হিন্দু নারী-পুরুষের। দিনাজপুরে ফের শিশু ধর্ষণের শিকার স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ আবারও ৬ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই শিশুটিকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে, আসামিকেও আটক করেছে পুুলিশ। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে এলাকাবাসী ও স্বজনরা। ৬ নবেম্বর রাতে দিনাজপুর বীরগঞ্জ উপজেলার বৃষ্টপুর সোনাচালানী এলাকায় ৬ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ করে একই এলাকার মতিউর রহমান (শিশুটির মায়ের পাতানো বাবা)। ঘটনার পরের দিন বিষয়টি মেয়ে তার মাকে জানায়। মেয়ের রক্তক্ষরণ হলে স্থানীয় এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহণ করে। এরই মধ্যে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েলুর রহমান ও ইউপি সদস্য নুরে আলম চেষ্টা চালায়। কিন্তু শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৪ নবেম্বর প্রথমে তাকে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
×