ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানের নিয়োগ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড, তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৫ নভেম্বর ২০১৬

বিমানের নিয়োগ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড, তোলপাড়

আজাদ সুলায়মান ॥ সিদ্ধান্তের সাত মাসেও গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি বিমান। দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক, ত্রৈমাসিক ভিত্তিক কেরানী পদমর্যাদার সাধারণ নিয়োগ নিয়েও ঘটছে অবিশ্বাস্য জালিয়াতি ও অনিয়ম। তুঘলকি কাণ্ডে তোলপাড় চলছে বিমানে। বেশ কিছু মেধাবী তরুণ জীবনের শেষ পরীক্ষা হিসেবে টিকেও দুর্নীতির কারণে চাকরি না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। সম্প্রতি গোলাম মোস্তফা নামের এক প্রার্থী বিমানের এহেন প্রহসনের প্রতিবাদে উকিল নোটিস দিয়েছেন। এ নিয়ে শুধু চাকরি প্রার্থীই নয়- ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বিমানের সাধারণ কর্মচারীরাও। দাবি উঠছে অবিলম্বে পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় নেয়া হোক। বিমানের এক পরিচালক সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন- গত চার মাসে নেয়া চারটি পরীক্ষা কতটা ত্রুটিপূর্ণ ছিল- তার জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে- ট্রাফিক হেলপারের ৬০ পদের জন্য নেয়া লিখিত পরীক্ষায় পাস করানো হয়েছে মাত্র ৪৬ জন। এখন মৌখিক পরীক্ষা পলিসি কি হবে? সবাইকে নিয়োগ দেয়া নাকি এ ৪৬ জনের মধ্য থেকেও ফেল করিয়ে আরও ক’জনকে বাদ দেয়া। তাহলে বাকি পদ কিভাবে পূরণ করা হবে। নতুন পরীক্ষা নাকি অন্য কোন পন্থায়? এসব প্রশ্নের কোন উত্তর বা সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না বিমানের শীর্ষ কর্তারা। প্রশ্ন হচ্ছে- কেন হাজার হাজার আবেদনকারী অংশ নেয়ার পরও মাত্র ৪৬ জনকে পাস করানো হলো। লাখ লাখ উচ্চশিক্ষিত বেকারের দেশে বিসিএসের মতো সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাতেও শূন্য পদের বিপরীতে চার/পাঁচ গুণ পাস করানো হয়। অথচ বিমানের ৬০ পদের বিপরীতে মাত্র ৪৬ জানকে পাস করার মতো এমন উল্টো চিত্র কেন? এমন অদ্ভুত পরীক্ষা কেন নেয়া হলো? এ নিয়ে বিমানে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। এ চিত্র শুধু ট্রাফিক হেলপারের ক্ষেত্রেই নয়। এরকম উদ্ভট ও তুঘলকি পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে, জুনিয়র মেকানিক্যাাল, জুনিয়র ইলেক্ট্রিশিয়ান ও সিকিউরিটি এসিস্ট্যান্ট পদের ফলেও। যার কারণে বিমানের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। গত এপ্রিলে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও এখনও তা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। কবে হবে সেটাও অনিশ্চিত। এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থায় চরম বিতর্কের মুখে পড়েছে বিমানের প্রশাসন বিভাগ। শুধু এ বিভাগই নয়-আঙ্গুল উঠেছে বিমান পরিচালনা পর্যদের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ আছে এই নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে এক প্রভাবশালী পর্ষদ সদস্যের পরোক্ষ ইন্ধন আছে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বিমানের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল ইনামুল বারীও স্বীকার করেছেন-হয়তো পরীক্ষা পদ্ধতিতেই ত্রুটি ছিল। অভিযোগ রয়েছে বিমানের ভেতরে ও বাইরের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত। বিমানের এমডিও অনেকটাই অসহায় এ চক্রের কাছে। পর্ষদের একজন প্রভাবশালী সদস্যের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তেই বিমান এত বড় সঙ্কটের মুখে পড়েছে। গুঞ্জন উঠেছে, বিমানের চল্লিশ বছরের ইতিহাসে নিয়োগ নিয়ে এত বড় কেলেঙ্কারি কখনও ঘটেনি। অথচ বিমানের রয়েছে বিশ্বমানের একটি ট্রেনিং সেন্টার বিএটিসি। গত চার দশক ধরে বিমান অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে নিজস্ব জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেয়ার মতো কঠিন দায়িত্ব পালন করে আসছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাঁর এক বক্তব্যে বিমানের বিএটিসি শাখার প্রশংসা করেছিলেন। একই সঙ্গে তিনি বিএটিসিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ এ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ তৈরি করে বিদেশে রফতানি করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বর্তমান পর্ষদের আমলে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে নিয়োগ দেয়ার নামে এমন তুঘলকি সিদ্ধান্ত নেয়ায় চরম বিতর্ক ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে গোটা বিমানে। বিমানের নিজস্ব জনবলে পরীক্ষা নেয়ার মতো সামর্থ্য, সুনাম ও গ্রহণযোগ্য থাকার পরও বাইরে থেকে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তও রহস্যজনক। এ সম্পর্কে সাবেক এক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন, দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক আর তৃতীয় শ্রেণীর কেরানী পদের চাকরির পরীক্ষা যদি আউটসোর্সিং করা হয় তাহলে তো বিমানেরও ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়। তার অর্থ দাঁড়ায়-হয় বিমানের পরীক্ষা নেয়ার মতো যোগ্যতা নেই, নয়তো বিমানের সবাই চোর দুর্নীতিবাজ, কর্পোরেট দুনিয়ায় এভাবেই বিমানের ভাবমূর্তি ধ্বংস হবে। এমন তুঘলকি সিদ্ধান্ত যিনি দিয়েছেন, কর্পোরেট দুনিয়া সম্পর্কে তিনি আদৌ জ্ঞান রাখেন কিনা সন্দেহ। এ সম্পর্কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পরিচালক জনকণ্ঠকে বলেন, পর্ষদের কোন এক প্রভাবশালী সদস্যের অতি গোঁয়ার্তুমির কারণে এ জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিমানে দৈনন্দিন শ্রমিক হিসেবে এসএসসি পাস যোগ্যতার চাকরির পরীক্ষাও আউটসোর্সিং করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে, যা শুধু হাস্যকরই নয়-রীতিমতো অযৌক্তিক। কেননা দৈনিক ভিত্তিক শ্রমিক পর্দে এসএসসি পাস প্রার্থীদের মেধা যাচাই করার মতো যোগ্যতা অভিজ্ঞতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষকেরই নেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ক্লাস ওয়ানের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করা কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ কোন শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব? এ প্রশ্ন করতে হলে দায়িত্ব দিতে হবে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককেই। বিমানের শ্রমিক পদের প্রশ্ন করতে গিয়ে প্রশ্ন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিসিএস মানের প্রশ্ন চাপিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে কয়েক শ’ আবেদনকারী পরীক্ষা দিয়ে ৬০ পদের বিপরীতে ৪৬ পাস করেছে। এখন এ নিয়োগের উপায় কিÑ এমন তুঘলকি কা-ের দায় নেবে কে? বিমান না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়? নাকি যে বোর্ড মেম্বার এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছেন তিনি? সূত্র জানায়, আটটি শাখায় ক্যাজুয়াল ভিত্তিক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে ভয়াবহ কেলেঙ্কারি ঘটেছে। প্রতিটি নিয়োগে জনপ্রতি পাঁচ থেকে দশ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে একটি সিন্ডিকেট। গত ছয় মাসে এই নিয়োগ বাণিজ্য করে সিন্ডিকেট কমপক্ষে অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্য আছেন বিমানের প্রশাসন, সিকিউরিটি, হিউম্যান রিসোর্স শাখা ও বিএফসিসি শাখার কতিপয় সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের এক শিক্ষককেও (যিনি বিমান পরিচালনা পর্যদের এক প্রভাবশালী সদস্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধু) ব্যবহার করে সিন্ডিকেট এই নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। এই অবস্থায় অবিলম্বে এই নিয়োগ বাতিল করে বিমানের নিজস্ব্ ট্রেনিং সেন্টার, এয়ারফোর্স, এমআইএসটি বা অন্য কোন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। অন্যথায় এ নিয়ে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেয়া হয়েছে। এর আগে একই ধরনের অনিয়মের অভিযোগে মোস্তফা নামের এক পরীক্ষার্থী বিমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ট্রাফিক এসিস্ট্যান্ট পদে তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সিরিয়ালে থাকার পরও তাকে মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়নি। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পদও পূরণ না করে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখে বিমান-যাতে পরে টাকার বিনিময়ে পদগুলো পূরণ করতে পারে। অথচ তার অনেক পরের সিরিয়াল থেকে ডেকে এনে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গোলাম মোস্তফা বলেন, ওটাই ছিল আমার জীবনের শেষ পরীক্ষা। এখন বয়স চলে গেছে। জীবনে সরকারী চাকরিতে দরখাস্তই তো করতে পারব না। তিনি ওই দুর্নীতিবাজ পরিচালক প্রশাসনের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। ফেসবুকে তোলপাড় ॥ বিমানের এই প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে কেলেঙ্কারির ঘটনা ফেসবুকের মাধ্যমে এখন গোটা বিশ্বে তোলপাড় তুলেছে। এর আগে বাংলাদেশ বিমানের ৩ শাখায় নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কেবিন ক্রু, জুনিয়র ট্রাফিক সহকারী নিয়োগ ঘিরে সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট। কেবিন ক্রু পদে নিয়োগে গড়ে ১০ থেকে ১৫ লাখ এবং জুনিয়র ট্রাফিক সহকারী নিয়োগে গড়ে ৫ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্যের গুঞ্জন আছে। এছাড়া খ-কালীন (ক্যাজুয়াল) নিয়োগ দিয়ে দুই বছর ধরে কাজ করানো হচ্ছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীর বয়সসীমা, ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা, কোটাভিত্তিক পদের বিষয় উল্লেখ করা হয়নি। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়। দু’শ কেবিন ক্রু এবং ১৫০ জুনিয়র ট্রাফিক সহকারী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় জুনিয়র ট্রাফিক সহকারী পদে ৬৬ জনকে নিয়োগে অনুমোদন দেয়। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অনিয়মগুলোর বৈধতা আদায়ের কাজে সহায়তা করেছেন বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের একটি সিন্ডিকেট। এসব অনিয়মের কারণে কেবিন ক্রু পদে বঞ্চিতরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। মোস্তফা নামের এক চাকরি বঞ্চিত এজন্য উকিল নোটিস দিয়েছেন বিমান কর্তৃপক্ষকে। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ প্রসঙ্গে বলেন, বিমানের সব নিয়োগ বিমান ম্যানেজমেন্ট করে। এখানে মন্ত্রণালয়ের কোন হস্তক্ষেপ নেই। বিমান পরিচালনা পর্যদের মাধ্যমে বিমান ম্যানেজমেন্ট এই নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে। তিনি বলেন, বোর্ড থেকে এসব পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল এয়ারফোর্স, এমআইএসটি কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ দিয়ে। কিন্তু কি কারণে বা কার ইন্ধনে এই পরীক্ষা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদকে দিয়ে নেয়া হলো সেটা বলতে পারব না। সমাধান কোন পথে ॥ এ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেগুলোর লিখিত পরীক্ষা হয়েছে, কিন্তু মৌখিক এখনও হয়নি-সেগুলো অবশ্যই বাতিল করে নতুনভাবে পরীক্ষা নিতে হবে। আর না হয়- লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের তালিকা থেকে বিশেষ গ্রেস দিয়ে একটি পদের বিপরীতে তিনজনকে পাস করিয়ে মৌখিকে ডাকা যেতে পারে। এতে দুর্নীতিবাজরা ধরা খাবে এবং তাদের মুখোশ উšে§াচন হবে। মেকানিক্যাল পদে ৫টি সংখ্যার বিপরীতে বেশ কজন পরীক্ষায় অংশ নিলেও পাস করেছে মাত্র তিন জন। বাকি দুজন কিভাবে নেয়া হবে? এদের জন্য আরেকটি পরীক্ষা নিতে হবে? তাও আবার ওই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েÑ এটা সমীচীন হবে না। সে ক্ষেত্রে আগের আবেদনকারীর বৈধ দরখাস্তগুলো ঠিক রেখে ফের আবেদন চেয়ে বিএটিসির মাধ্যমে ফ্রেশ পরীক্ষা নেয়া যায়। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাবে। এতে পরীক্ষার খরচও সাশ্রয় হবে। একইভাবে কার্গো হেলপার পদে আবেদনকারীর সংখ্যা মাত্র ৯২৮। এত সংখ্যকের পরীক্ষা বিমানের নিজস্ব বিএটিসিতেই নেয়া সম্ভব। যা খুব দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা নেয়া খাতা দেখা ও ফল টাঙ্গানো এক সপ্তাহে সম্ভব। কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের এই পরীক্ষা নিতে সময় যেমন লাগবে, টাকাও লাগবে তেমন। বিতর্কিত ও চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে একজন সৎ লোককে নেয়া যেতে পারে। যেমন যে বিভাগের পরীক্ষা-সে বিভাগের একজন জিএম বা জিএমকে এই পরীক্ষায় প্রক্রিয়া সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। যেমন কার্গো হেলপারের পরীক্ষায় ওই বিভাগের জিএম, ডিজিএম, ট্রাফিক বিভাগের পরীক্ষায় ওই বিভাগের জিএম ডিজিএম, মেকানিক্যাল কমার্শিয়াল পদের পরীক্ষায় ওই বিভাগের সংশ্লিষ্ট ডিজিএম বা জিএমকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। এ সম্পর্কে বিমানের এক পরিচালক বলেন, জালিয়াত সিন্ডিকেটের পরবর্তী টার্গেট সবচেয়ে আকর্ষণীয় পদ পাইলট ও এয়ারক্রাফট মেকানিক পরীক্ষা। কিছুতেই এ পরীক্ষায় ওই সিন্ডিকেটকে দায়িত্ব দেয়া যাবে না। বিমানের নিজস্ব ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হলেও এতটা বিতর্ক ও জালিয়াতির সুযোগ থাকবে না। লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন এমসিকিউ ও লিখিত দুভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা পাস করাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটা বাতিল করে গড়ে দু’বিভাগের ফলেই পাস মার্ক দেয়া গেলে পাসের হার বাড়বে।
×