ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

তোফায়েল আহমেদ

’৭০-এর ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ও নির্বাচনের স্মৃতিকথা ‘আর্তের সেবায় আওয়ামী লীগ’

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৩ নভেম্বর ২০১৬

’৭০-এর ভয়াল ঘূর্ণিঝড় ও নির্বাচনের স্মৃতিকথা ‘আর্তের সেবায় আওয়ামী লীগ’

(গতকালের পর) বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আমি তখন আর্তের সেবায় উৎসর্গিত। উদয়াস্ত কাজ করছি। ভোলাসহ দুর্গত এলাকার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রতিনিয়ত আমার খোঁজখবর নিতেন। দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে সাহেবজাদা ইয়াকুব খান এলেন ভোলায়। আমি তার সঙ্গে দেখা করলাম। তিনি আমাকে গাড়িতে তুলে নিলেন। ১৪ দিন পর অর্থাৎ ২৬ নবেম্বর সী প্লেনে চেপে ভোলায় এলেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। নামলেন চকিঘাটে। আমি চকিঘাটে গেলাম। চকিঘাট থেকে তিনি দৌলত খাঁ গেলেন। চারদিকে হাজার হাজার লোক। প্রেসিডেন্টের গাড়িতে ছিলেন সাহেবজাদা ইয়াকুব খান, পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক, আর ছিলেন গবর্নর আহসান। আমাকে প্রথমে ঘটনাস্থলে যেতে দিতে চাইছিল না। মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে তাদের দাবির মুখে আমাকে যেতে দেয়া হয়। পরে সাহেবজাদা ইয়াকুব আমাকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে বললেন, ‘হি ইজ মিস্টার তোফায়েল।’ জেনারেল ইয়াহিয়া বলেছিলেন, ‘হু ইজ তোফায়েল? স্টুডেন্ট লিডার তোফায়েল!’ তিনি বললেন, ‘ইয়েস, স্টুডেন্ট লিডার তোফায়েল।’ ইয়াহিয়া খান আমাকে ইংরেজীতে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের জন্য কী করতে পারি?’ আমি ইংরেজীতেই উত্তর দিয়ে বলেছিলাম, তবুও তো আপনি এসেছেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট দুর্গত এলাকায় এসেছেন ঘটনার ১৪ দিন পর। আপনি এখনও নদীতে ভাসমান ও রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষের মৃতদেহ দেখতে পাবেন। এই হলো আমাদের বাঙালীদের অবস্থা। তখন এদিক-ওদিক তাকিয়ে তিনি বললেন, ‘আমার পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন।’ বললাম, আমি কেন ঘোষণা দেব? আপনার কর্মকর্তারা রয়েছেন। আপনি যা দান করবেন তা তাদের বলেন ঘোষণা করতে। তখন প্রবেশনারি অফিসার সাদাত হুসাইনÑ যিনি পরে ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হয়েছিলেনÑ তিনি একটি জীপের ওপর দঁাঁড়িয়ে ঘোষণা করলেন, ‘পাকিস্তানের মহামান্য প্রেসিডেন্ট আপনাদের জন্য ২০ হাজার টাকা সাহায্য হিসেবে বরাদ্দ করেছেন।’ সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত জনসাধারণ চিৎকার দিয়ে উঠলÑ ‘না’ ‘না’ ‘না’। আমি দু’হাত তুলতেই মানুষজন শান্ত হয়ে গেল। ইয়াহিয়া খান চলে গেলেন। সেনাবাহিনী রিলিফ তৎপরতা শুরু করল। তারপর ভোলায় এলেন ভোলারই কৃতী সন্তান মোকাম্মেল হক। এরপর আনিসুজ্জামান সিএসপি, সুলতানুজ্জামান খানÑ যিনি ছিলেন খুলনার কমিশনার। বরিশাল তখন খুলনার অধীনে। আইয়ুবুর রহমান ছিলেন বরিশালের ডিসি। তিনি এলেন। সকলকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আর্তের সেবা করছি। মনে পড়ে রাস্তা দিয়ে যখন হেঁটে যেতাম মানুষ আমাকে ঘিরে ধরত। একবার একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। চকিঘাটায় আমি যখন গেলাম তখন বেলুচ রেজিমেন্ট সেখানে ডিউটি করে। দায়িত্বে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার দূররানী। তার অধীনে ওখানে একটি ক্যাম্প স্থাপিত হয়। আমি যখন তাদের স্পিডবোটে উঠি আমাকে নামিয়ে দেয়া হয়। মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্পিডবোটের চালককে বেদম প্রহার করে। তখন বেলুচ রেজিমেন্টের সৈনিকরা আমাকে গুলি করতে উদ্যত হলে হাজার হাজার মানুষ দেশী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সৈনিকদের রুখে দাঁড়ায়। পরে আমি বঙ্গবন্ধুকে ঘটনাটি জানিয়ে বলি যে, এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। ভোলায় সেনাবাহিনী রাখার কোন দরকার নেই। পরে উর্ধতন সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বঙ্গবন্ধু ভোলা থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা করেন। এরপর জেনারেল রাও ফরমান আলী ও ব্রিগেডিয়ার দূররানী ভোলা যান এবং আমার সঙ্গে মিটিং করে এক বিদায়ী কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ভোলা থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহৃত হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় দুর্গত অসহায় মানুষের জন্য এলাকায় এলাকায় ক্যাম্প করে যে ব্যাপক ত্রাণকার্য সেদিন আমি পরিচালনা করেছি তা আমার বাকি জীবনে চলার পথের পাথেয় হয়ে আছে। জাতীয় চার নেতার অন্যতম শ্রদ্ধেয় নেতা তাজউদ্দীন ভাই এক বিরাট লঞ্চ ভর্তি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ভোলা এসেছিলেন ত্রাণকার্যে। তার থেকে কিছু তিনি বিলি করতে পেরেছেন, বাকিগুলো রেখে এসেছিলেন আমার কাছে। সেগুলো আমি বিলি-বণ্টন করেছি। খাবার পানি, মুড়ি, চিড়া, ওষুধপথ্য বিলি করেছি দুর্গত এলাকায়। এছাড়াও এসেছিল দামী সব কম্বল এবং শাড়ি-কাপড়। এর সবই অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা একদম বিচ্ছিন্ন। আমার আসনসহ ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত উপকূলীয় এলাকার জাতীয় পরিষদের ১৭টি আসনে পূর্বঘোষিত ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। অবশ্য সুষ্ঠুভাবে ত্রাণকার্য পরিচালনার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ইতোমধ্যেই জনসাধারণের ব্যাপক সমর্থন পাই। মানুষ আমাকে বুকে টেনে মাথায় তুলে নিত। ভীষণভাবে আদর করত। এই স্মৃতি জীবনে ভুলবার নয়। মানুষের জন্য কেউ যদি কিছু করে মানুষ যে তার জন্য কী করতে পারে তা চিন্তা করা যায় না। পরবর্তীকালে আমার আসনে নির্বাচন হয়েছিল ১৭ জানুয়ারি। তার আগে বঙ্গবন্ধু আমাকে ডেকে নিয়ে আসেন। সারা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু সফর করেন। আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলাম। একই ট্রেনে গিয়েছি। তাঁর পাশে থেকেছি। একই জনসভায় বঙ্গবন্ধুর আগে বক্তৃতা করেছি। আবার তিনি বক্তৃতা করার সময় চলে গিয়েছি আরেক জনসভায়। বঙ্গবন্ধু যখন এক জনসভা শেষ করে আরেকটিতে আসছেন তখন আমি চলে গেছি আরেকটি জনসভায়। এভাবে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলাম। নির্বাচনের দিনও আমি বঙ্গবন্ধুর পাশে। বিদেশী সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘আপনি কতটি আসনে জয়ী হওয়ার আশা করেন?’ বঙ্গবন্ধু উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি অবাক হব যদি আমি দুটি আসনে হারি।’ সত্যি দুটি আসনেই আমরা হেরেছিলাম। জাতীয় পরিষদে ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। আমার আসনে নির্বাচন হয় ১৭ জানুয়ারি ’৭১-এ। ’৭১-এর ৩ জানুয়ারি যে শপথ অনুষ্ঠান হয় সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে সেখানে আমিও শপথ গ্রহণ করি। যদি তখনও নির্বাচিত হয়নি। নির্বাচিত হয়েছি ১৭ জানুয়ারি। নির্বাচনী ফল ঘোষণার পর জানলাম ৭২ হাজার ভোট পেয়েছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৬ হাজার ভোট। আমি তার থেকে ৬৬ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছি। যিনি ’৫৭ সালে একটি উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করেছিলেন। হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, তখন পূর্ব পাকিস্তানে ১৩টি উপনির্বাচন হয়েছিল। ১২টিতে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছিল। একটিতে বিজয়ী হতে পারেনি। সেটি হলো ভোলা। সেই ভোলা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন শাহ্ মতিয়ুর রহমান। তিনি নেজামে ইসলাম পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ’৭০-এ তিনি একই পার্টি থেকে আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমি যখন তজুমুদ্দী তখন আমার নির্বাচনী ফল ঘোষিত হয় এবং মাত্র ২৭ বছর ১ মাস ১৫ দিন বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হই। তজুমুদ্দী থাকা অবস্থায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছার নামে একটি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেই। এরপর ঢাকা ফিরে আসি। এর মধ্যে কয়েকবার গবর্নর আহসান ভোলা গিয়েছিলেন। বঙ্গমাতার নামে যে স্কুল করার পরিকল্পনা করেছিলাম উনি সেখানে ৬ হাজার টাকা দান করেছিলেন। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর সেই স্কুলটি সরকারী স্কুল হয়েছে। আমি ভোলা শহরে বঙ্গমাতার নামে স্বাধীনতার পরে একটি কলেজ করেছি। কলেজটির নাম ফজিলাতুননেছা মহিলা কলেজ। যেটায় এখন অনার্স, এমএ সবই আছে। সেটাও সরকারী কলেজ হয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে বঙ্গবন্ধু প্রথম যান ভোলা। ’৭০-এ তিনি দেখে এসেছিলেন জলোচ্ছ্বাস-ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত ভোলা। ১৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে সবই ভেসে গিয়েছিল। যে জায়গায় বেড়িবাঁধ ছিল না সেই স্থানকে জিরো পয়েন্ট বলতাম আমরা। সেখান দিয়েই প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করেছে এবং নিমেষের মধ্যে সব তলিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু ছোট্ট একটি হেলিকপ্টারে করে ভোলা এসেছিলেন। আমি বঙ্গবন্ধুর সফরসঙ্গী ছিলাম। ভোলা গিয়ে সেই জিরো পয়েন্ট থেকে বঙ্গবন্ধু মাটি কেটেছেন এবং বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন। ভোলা থেকে তিনি রামগতি গিয়েছেন এবং সেখানেও তিনি বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্বোধন করেছেন। আজকে বেড়িবাঁধ দিয়ে আমরা জলোচ্ছ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকি, ঘূর্ণিঝড় হলে আমরা এখন সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় গ্রহণ করি। আগে এই সাইক্লোন শেল্টারকে বলা হতো ‘মুজিব কেল্লা’। এটা বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু চরকুকরী-মুকরী গেছেন, সেখানে সাইক্লোন শেল্টার করেছেন। সেখানে জনসাধারণকে ডিপ টিউবওয়েল দিয়েছেন। বনায়ন করেছেন। জলোচ্ছ্বাস ঠেকানোর জন্য উপকূলীয় এলাকায় বঙ্গবন্ধু বনায়ন করেছিলেন। যেটা আজকে ফরেস্ট হয়েছে। এটাও বঙ্গবন্ধুর অবদান। বঙ্গবন্ধু ভোলাকে খুব পছন্দ করতেন। মনপুরায় তিনি ‘চিন্তানিবাস’ নামে একটি আবাসস্থল করতে চেয়েছিলেন। তার কাজও শুরু হয়েছিল। বসরতউল্লাহ সাহেব একটি দীঘি কেটে মাটি ভরাট করে এই কাজটি শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে যখন যুগোশ্লাভিয়া সফরে গিয়েছিলাম তখন দেখেছি মার্শাল টিটো একটা দ্বীপে থাকতেন। দ্বীপটার নাম ছিল ‘বিরুনি’। ওখান থেকে বঙ্গবন্ধু মনে করলেন আমার ভোলায় অনেক দ্বীপ। একটা দ্বীপে আমি এরকম একটা আবাসস্থল করব। যেখানে বিদেশীরা গেলে তাদের সঙ্গে মিটিং করব। কিন্তু তিনি এটা করে যেতে পারেননি। মনপুরায় অবকাশ যাপন কেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল বঙ্গবন্ধুর। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সবকিছু স্তব্ধ করে দেয়া হয়। আলী মিয়া মাস্টার ছিলেন মনপুরার চেয়ারম্যান। তিনি আমার খুব প্রিয় মানুষ ছিলেন। তার পরিবারে ২৭ জন সদস্য ছিল। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের পর দেখা গেল তিনি একাই বেঁচে আছেন, আর কেউ নেই। কত প্রিয়মুখ আমি হারিয়েছি। যার সঙ্গে গতকাল দেখা হলো আজ আর তাকে আমি পাইনি। ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রামগতি, কুতুবদিয়া, মহেশখালীসহ দেশের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এই ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়। প্রতি বছর ১২ নবেম্বর যখন ফিরে আসে তখন স্মৃতির পাতায় সেদিনের সেই দিনগুলোর কথা ভেসে ওঠে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একটি পোস্টার হয়েছিল সোনার বাংলা শ্মশান কেন? এই পোস্টারটিতে ’৭০-এর ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ের কথাই ব্যক্ত হয়েছিল। দুটি ঘটনা বাংলার মানুষকে পথ দেখিয়েছে। এক. ’৬৫-এর পাক-ভারত যুদ্ধ। যখন আমরা ছিলাম ‘অরক্ষিত’। আর ’৭০-এর ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস। যখন আমার ছিলাম ‘অসহায়’। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল শোষণহীন অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সেই দায়িত্বটা এখন বর্তেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্কন্ধে। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে চলেছেন। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রতিবছর আগে বাংলাদেশে লাখ লাখ লোক মৃত্যুবরণ করত, ঘরবাড়ি হারাত। সেসব এখন আর নেই। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশের ভূমিকা আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রশংসনীয়। যে কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার যে ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলেছি তা এখন সারা বিশ্বের জন্য মডেল হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের অনুসরণ-অনুকরণ করতে পারে। বাংলাদেশে এখনও প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস হয়; কিন্তু যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আগে হতো এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গৃহীত পদক্ষেপের কারণে আগের মতো ক্ষয়ক্ষতি হয় না। এটাই হলো বঙ্গবন্ধুর বাংলার স্বাধীনতার সফলতা। (সমাপ্ত) লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা, বাণিজ্যমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার [email protected]
×