ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিজের ফাঁদেই ফেঁসে গেল যুবলীগ নেতা

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ৪ নভেম্বর ২০১৬

নিজের ফাঁদেই ফেঁসে গেল যুবলীগ নেতা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ এক আওয়ামী লীগ নেতার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যান হয়ে মেয়ের বাবাকে মাদকদ্রব্য দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে বিবাহিত দুই সন্তানের জনক যুবলীগ নেতা এবার নিজেই ফেঁসে গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিমলা থানা পুলিশের হাতে আটক হয় উক্ত যুবলীগ নেতা। সে ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি জেনারুল ইসলাম (৩৫)। সে উক্ত ইউনিয়নের দোহলপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। এ ঘটনা নিয়ে ডিমলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের দুই নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান আলী। তার মেয়ে ডিমলা মহিলা কলেজের এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে উক্ত যুবলীগের নেতা প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে যুবলীগ নেতা ব্যর্থ হয়। এরপর মেয়ে ও মেয়ের বাবাকে মাদক দিয়ে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় ওই যুবলীগ নেতা। ডিমলা থানার সিনিয়র এসআই সাহবুদ্দিন জানান, বুধবার রাতে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি জেনারুল ইসলাম জানায় বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের দুই নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান আলী মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তার বাড়িতে ইয়াবা ও গাঁজা রয়েছে। এই খবরে পুলিশ অভিযান চালায় কলেজ ছাত্রীর বাবা শাহজাহান আলী বাড়িতে। অভিযানে তিনি বাড়ির পেছনের একটি গাছতলা হতে ২৫ ইয়াবা ও ২০ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সময় শাহজাহান আলী বাড়িতে ছিলেন না। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। এ ঘটনার পর কলেজ ছাত্রী বৃহস্পতিবার সকালে ডিমলা থানায় ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুলিশ কৌশলে দুপুরে যুবলীগ নেতাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফিরোজ কবীর উক্ত কলেজ ছাত্রী ও যুবলীগ নেতাকে ডিমলা থানায় মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়ে। আটক যুবলীগ নেতা অকপটে স্বীকার করে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সে মেয়ে ও মেয়ের বাবাকে ফাঁসাতে নিজে মাদকদ্রব্য রেখে এসেছিল তাদের বাড়িতে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে এসির কমপ্রেসার বিস্ফোরণ ॥ নিহত এক স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ পদ্মা সেতু প্রকল্পে এসির কমপ্রেসার বিস্ফোরণে বাংলাদেশী নিহত এবং চাইনিজ ফোরম্যান আহত হয়েছেন। নিহত বাংলাদেশী শ্রমিকের নাম আজমীর হোসেন নিপুল। আহত চীনা নাগরিক লীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার একটি পা উড়ে গেছে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল পোনে ১০টায় পদ্মা সেতুর মাওয়ায় মিকচার পয়েন্টে এসির কাজ করছিলেন আজমীর হোসেন নিপুল ও লী। এ সময় হঠাৎ এসির কমপ্রেসার বিস্ফোরণ ঘটে। আজমীর ঘটনাস্থলেই মারা যান। লীকে চিকিৎসার জন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহত আজমীর হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগাতী উপজেলার চর গোসাই গ্রামের শফিকুর রহমানের পুত্র।
×