ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

শরীয়তপুরের সলেমান ও ইদ্রিসের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

শরীয়তপুরের সলেমান ও ইদ্রিসের বিরুদ্ধে তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত শরীয়তপুরের সোলায়মান মোল্লা ওরফে সলেমান মৌলবী ও পলাতক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ১৩তম সাক্ষী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিনের জেরা শেষ করেছে আসামিপক্ষের আইনজীবী। মামলার যুক্তিতর্কের জন্য ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আসামিপক্ষ সাফাই সাক্ষী আনতে পারলে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে মৌলবীবাজারের পলাতক রাজাকারদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদেশের জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মঙ্গলবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, প্রসিকিউটর হৃষিকেশ সাহা, প্রসিকিউটর রিজিয়া সুলতানা বেগম চমন, প্রসিকিউটর শেখ মুশফিক কবির। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গত ১৪ জুন রাতে শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সলেমান মৌলবীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন ১৫ জুন তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ২০১০ সালে শরীয়তপুরের যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ তালুকদারের দায়ের করা যুদ্ধাপরাধ মামলার প্রধান আসামি সলেমান মৌলবী। গত ২৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার দেয়া প্রতিবেদন অনুসারে আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ৪টি অভিযোগ রয়েছে। বিজ্ঞাপন দেয়ার নির্দেশ ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৌলভীবাজারের পলাতক তিন আসামির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আব্দুর নুর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া (৬২), মোঃ আনিছ মিয়া (৭৬) ও মোঃ আব্দুল মোছাব্বির মিয়া। অন্যদিকে ৪ রাজাকারের মধ্যে মোঃ আকমল আলী তালুকদারকে (৭৬) গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য ৬ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, ধর্ষণ, বাড়িঘর, লুটপাটের ঘটনার ২টি অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১০২টি পরিবারের ১৩২টি বাড়ি লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ৬ জনকে ধর্ষণ, ৭ জনকে অপহরণ, আটক, নির্যাতন এবং ৬১ জনকে হত্যার অভিযোগ। তদন্ত সংস্থার কাছে তাদের দেয়া জবানবন্দী অনুযায়ী আসামিরা মৌলভীবাজারের রাজননগর থানার বিভিন্ন এলাকায় এসব অপরাধ সংঘটন করেন।
×