এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানতে শতভাগ রাজি হয়ে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন কক্সবাজারের জেলেপল্লীর বাসিন্দারা। কেননা গত বছর মাত্র ১৫দিন সাগরে মাছ ধরা (ইলিশ) বন্ধ থাকার ফল এ বছর ভোগ করছেন ট্রলার মালিক, জেলে ও ভোক্তারা। এক থেকে দেড় হাজার টাকার ইলিশ পাওয়া গেছে প্রতি কেজি মাত্র ৩-৪ শত টাকা দরে। ওই সময় সরকারের নির্দেশনা মেনে সাগরে না যাওয়াটা বড়ই সৌভাগ্য বলে মনে করছেন ফিশিং ট্রলার মালিকগণ ও জেলেপল্লীর বাসিন্দাগণ। কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, মা ইলিশ ডিম ছাড়ার সময় বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণ করতে না যাওয়াটা শুধু আমাদের নয়, এটি সকলের লাভ। চলতি বছর সরকার ১৫দিন থেকে বাড়িয়ে ২২দিন সাগরে মাছধরা নিষেধ করে নির্দেশনা দিয়েছে। এতে জেলার বোট মালিক, জেলে ও ভোক্তা সকলে সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে। সোমবার জেলেপল্লীতে গিয়ে দেখা গেছে, সাগরে মাছ ধরতে না গেলেও জেলেরা বসে নেই। জাল বুনা থেকে শুরু করে বোট মেরামতসহ নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। জেলার সাড়ে দশ হাজার জেলে পরিবারের জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছে ২১০ টন চাল। জেলেরা খুশি মনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘অ-ভাই বহই থাইলেও আঁরার চিন্তা নাই। আঁরা পুন্নি-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আঁরার খবর লইয়ে।’ অর্থাৎ সাগরে না গিয়ে ঘরে বসে থাকলেও আমাদের কোন চিন্তা নেই। ইতোপূর্বে আমরা শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী জেলেদের খবর রেখেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে কক্সবাজার জেলার সাড়ে দশ হাজার জেলে পরিবারের জন্য ২১০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলে পরিবারের অনুকূলে বিশেষ ভিজিএফ খাদ্যশস্য সহায়তা হিসেবে সরকার এ বরাদ্দ অনুমোদন করে। এরই প্রেক্ষিতে জেলার সাড়ে দশ হাজার জেলে পরিবার ২০ কেজি হারে চাল পাচ্ছে।
ছয় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মাছে ক্ষতিকর রং ব্যবহার ও ৯ ইঞ্চির কম সাইজের রুই বিক্রির অপরাধে চট্টগ্রামের তিন বাজারে অভিযান চালিয়ে ৫২ কেজি মাছ জব্ধ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার সকালে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম। জানা যায়, মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায় ফিশারীঘাট, পাহাড়তলী বাজার ও রিয়াজুদ্দিন বাজারে।