ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ চালক মালিক

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৫ অক্টোবর ২০১৬

কক্সবাজারে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ চালক মালিক

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশির নামে হয়রানি, মাসিক চাঁদা আদায়, মালিক-চালকের নামে মিথ্যা মামলাসহ বিস্তর অভিযোগ উঠেছে চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে। মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির কতিপয় অসৎ পুলিশের অব্যাহত চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে গাড়ি চালকরা। মাসিক চাঁদা দিতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন একাধিক গাড়ি মালিক। কাগজপত্র সঠিক থাকা সত্ত্বে¡ও কোন না কোন ইস্যু সৃষ্টি করে সার্জেন্ট আশিকুর রহমান গাড়ি চালক ও মালিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধ এ ঘুষ বাণিজ্য হাইওয়ে পুলিশের জন্য অনেকটা ওপেন সিক্রেট। আর এসব বিষয়ে অভিযোগ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না বলে জানা গেছে। শাহজাহান নামে এক ডাম্পার চালক অভিযোগ করে বলেন, তার গাড়িটি মালুমঘাট বাজারের এক পাশে রেখে দুপুরে খাবার খাচ্ছিলেন হোটেলে। এ সময় সার্জেন্ট আশিকুর রহমান গাড়িটি জব্দ ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে খুঁত না পেয়েও নানা অজুহাতে মামলার ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা আদায় করেছে। খুটাখালী কচ্ছপিয়া ঢালা মাছভর্তি পিকআপ আটক করে অবৈধ কিছু না পেলেও ৩-৪ ঘণ্টা পর ডকুমেন্ট যাচাইয়ের নামে চালক মনজুর আলম থেকে নগদ ৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে জানা গেছে। ডুলাহাজারা বাজারে দাঁড়িয়ে থাকা খালি ডাম্পার আটক করে চালক আবু তাহেরকে ১২ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করায় উপায়ান্তর না দেখে দাবিকৃত টাকা দিয়েই মুক্ত হন নিরীহ চালক। একইভাবে তিন চাকার গাড়ি চালকের কাছ থেকেও নানা কৌশলে টাকা আদায় করে হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট আশিকুর রহমান। চালক সমিতির এক নেতা অভিযোগ করেন, মহাসড়কে চলাচলকারী ছোট-বড় সব গাড়ি থেকে মাসিক চাঁদা আদায় করে হাইওয়ে পুলিশ। প্রতিটি গাড়ির মালিককে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। বিশেষ করে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে আদায় করা হয় উচ্চমাত্রায় চাঁদা। পুলিশের ঘুষের টাকা দিতে একাধিক গাড়ির মালিক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। সার্জেন্ট আশিকুর রহমান গাড়ি আটকিয়ে টাকায় আদায় করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম না মেনে চলাচলকারী গাড়িসমূহ আটক করা হয়। ওসব গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
×