ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন আঞ্চলিক সহযোগিতা

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১৪ অক্টোবর ২০১৬

শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজন আঞ্চলিক সহযোগিতা

একটি আঞ্চলিক কাঠামোর আওতায় শিক্ষার ব্যবস্থাপনা তৈরিকরণ এবং দেশে এ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন জরুরী হয়ে পড়েছে। এদেশে গত সাড়ে সাত বছরে শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে। উচ্চশিক্ষার মান যথাযথ করার লক্ষ্যে এক্ষণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি প্রয়াস গ্রহণ করেছে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ২০১০ সালে প্রণীত শিক্ষানীতিটির বাস্তবায়ন খুব ধীরলয়ে হচ্ছে। তাই এটি বাস্তবায়িত হলে নিম্ন শ্রেণী থেকে উচ্চতর শ্রেণী পর্যন্ত কল্যাণমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠত। সম্প্রতি পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, কারিগরি বিষয়ে অদক্ষতার কারণে বছরে ৬০০ কোটি ডলার বিদেশীরা নিয়ে যাচ্ছে। এদেশে কারিগরি শিক্ষায় মাত্র ১০ শতাংশের নিচে ছাত্রছাত্রীরা পড়ে থাকে। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর ব্যাপক প্রচার সত্ত্বেও সামাজিক মূল্যবোধ ও চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন না আসা পর্যন্ত কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি অভিভাবকরা বুঝবে না। একটি কার্যকর ও উন্নততর জাতি হিসেবে আমাদের অগ্রযাত্রা যাতে আরও বেগবান হয় সেজন্য অবশ্যই কর্মপন্থা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। কর্ম-উপযোগী শিক্ষার জন্য সার্ক যেহেতু অচল তাই বিমসটেককে জাগ্রত করতে হবে এবং বাংলাদেশকে ব্রিকসের সদস্য হতে হবে। গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছি, আমাদের দেশের প্রাইমারি ও অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী যাতে ভাল ফল করেন সেজন্য তাদের অভিভাবকদের একাংশ স্বয়ং অসৎ পথ অবলম্বন করেন। বাংলাদেশে শিক্ষার মান বাড়াতে হলে গোড়ায় গলদ দূর করা দরকার। প্রাইমারির সম্মিলিত পরীক্ষা তুলে দেয়া বাঞ্ছনীয়। তার বদলে আবার স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চালু করা বাঞ্ছনীয়। সর্বাগ্রে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনাকে আনন্দমুখর করে তোলা দরকার। যারা প্রাইমারিতে শিক্ষক-শিক্ষিকা হচ্ছেন তারা যেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন হন তা দেখার দায়িত্ব সমাজের। কেননা, সরকার বেতন বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু স্কুলের সভাপতি যদি বলেন যে, আমার একজন ড্রাইভার দিয়ে তিনজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক রাখতে পারি তখন আর মানমর্যাদা থাকে না। আবার অনেক প্রাইমারি স্কুল ভালভাবে নিরীক্ষা করে দেখেছি, প্রায় ২৫% প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ঠিকমতো ক্লাস নেন না। সরকারের প্রয়াসে প্রাইমারি পর্যায়ে মেয়েদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ছাত্রদের দ্বিগুণ। প্রাইমারি পর্যায় থেকে দেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু ও অহিংসতার নীতি সম্প্রসারিত করতে হবে। যতক্ষণ না প্রাইমারি পর্যায়ে সম্মিলিতভাবে পরীক্ষা তুলে না দেয়ার ব্যবস্থা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোমলমতি ছাত্রছাত্রীর অধিকাংশই শিক্ষাকে আনন্দমুখী করতে পারবে না বরং অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এ পর্যায়েও আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আঞ্চলিক অবকাঠামো তৈরি করে অষ্টম শ্রেণীর পরপরই ফলাফলের ভিত্তিতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করা দরকার। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুনত্ব আনতে হবে। কেননা, সামাজিকভাবে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এখনও গ্রহণযোগ্য নয়। অনেকটা না পারতে পড়ে থাকে। বর্তমানে যে কারিগরি বোর্ড আছে সেগুলো ভাল করে নিরীক্ষা করে ঢেলে সাজানো দরকার। আবার কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে উচ্চমানসম্পন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকার একান্ত অভাব রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভাল ইংরেজী এবং অঙ্ক শেখানোর শিক্ষক-শিক্ষিকা নিম্ন পর্যায়ে থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত নেই। আর মাদ্রাসায় এখন পর্যন্ত ইংরেজী, অঙ্ক ও বিজ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। মাদ্রাসা বোর্ডের এক্ষেত্রে দায়সারা ভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। শিক্ষা একটি মহৎ পেশা নিঃসন্দেহে। শিক্ষকের স্বীয় কর্তব্যকর্মে সর্বদা সজাগ থাকা বাঞ্ছনীয়। বর্তমান যুগোপযোগী উন্নতমানের শিক্ষার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। শিক্ষাব্যবস্থা অবশ্যই আন্তর্জাতিকীকরণ করতে হবে। মানুষের মধ্যে মানবতাবোধ জাগ্রত করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ পান সেজন্য একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। আঞ্চলিক কাঠামোর আওতায় স্বল্পমূল্যে মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ নিতে হবে। মহৎ পেশাকে মহত্ত্বর করতে হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভেতরে যে সুন্দরের মনোবৃত্তি আছে তার স্ফুরণ ঘটাতে হবে। তথাকথিত ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে যারা অন্যায়ভাবে দলাদলি করে শিক্ষকদের মানমর্যাদা নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আবার যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকা তাদের কর্তব্যকর্মে অবহেলা করছে তাদের বিরুদ্ধেও প্রমাণসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এনসিটিবি বিভিন্ন সময়ে এদেশের সত্যিকার ইতিহাস বিকৃত করেছে। এনসিটিবির বইগুলো যাতে ভবিষ্যতে এ ধরেনের কর্মকা- না করে সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ের বইগুলো যাতে ক্ষীণমানে হয়ে আশির দশকের মতো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। বর্তমানে কোলবালিশের মতো বড় বই হচ্ছে, আর ছাত্রছাত্রীরা বইয়ের বোঝায় চ্যাপ্টা হচ্ছে। এটি আসলে ঠিক নয়, ছাত্রছাত্রীরা কতটুকু গ্রহণ করতে পারবে সে অনুযায়ী কোর্স-কারিকুলাম সঙ্কোচন করা দরকার। এখন টাউস টাউস বই বের করছে অথচ কোন লাভ হচ্ছে না। গোল্ডেন জিপিএ পেয়েও বইয়ের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বুঝতে পারে না। আসলে ১৪-১৫ বছরের সাধারণ ছাত্রছাত্রীর মস্তিষ্কে কতটুকু ঢুকবে সে অনুযায়ী কোর্স কারিকুলাম তৈরি করতে হবে। প্রতিটি স্কুল-মাদ্রাসায় জাতীয় পতাকা ওড়ানো, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাতে হয় সে ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে। পাশাপাশি পিএসসি যাতে অবিলম্বে বন্ধ হয় এবং বার্ষিক পরীক্ষা স্কুলভিত্তিক হয় সেদিকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষাটি সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। এটি যাতে নকলমুক্ত পরিবেশে হয় সেজন্য অভিভাবকদের দায়িত্ব বেশি। সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার পূর্বে ছাত্রছাত্রীরা যাতে জবরদস্তি করে পড়াশোনার প্রতি অনাগ্রহী না হয়ে ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়। আমাদের কিছু কিছু অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা নিজেদের অতীতের কথা ভুলে খালি সিলেবাস বড় করে চলেছেন। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের গিনিপিগ বানিয়ে চলেছেন; এটি বন্ধ করা দরকার। একই অবস্থা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষাতেও। সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মান উন্নত করার জন্য সরকার চেষ্টা করছে। তবে যেহেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেতন বৃদ্ধির পরও বেতন কম সেজন্য স্থানীয় শিক্ষক-শিক্ষিকাকে কাছের স্কুলে বদলির ব্যবস্থা করা দরকার। দেশে বর্তমানে কওমি মাদ্রাসা রয়েছে ৬ হাজার ৫০০। আলিয়া মাদ্রাসা হচ্ছে ৬ হাজার ৯০৬টি। মাদ্রাসাগুলোর পড়ার মান যুগোপযোগী না করা গেলে, ভবিষ্যতে এই ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে জীবনজীবিকা নির্বাহ করবে সেটি ভেবে দেখার সময় এসেছে। কেননা, কওমি এবং আলিয়া মাদ্রাসা মিলে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩৩৪০৮০০ জন। এদের কর্মসংস্থান কিভাবে হবে? বিশাল ছাত্রছাত্রী হলেই কি হবে? আয়ের সংস্থান যে কোন শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য। অনেক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দক্ষ-শিক্ষকের একান্ত অভাব রয়েছে। ডিরেক্টর অব টেকনিক্যাল এ্যাডুকেশন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেখার কথা। কারিগরি সিলেবাস তৈরি করে থাকে বিটিইবি। অথচ সিলেবাসগুলোর অধিকাংশই মান্ধাতা আমলের। কিন্তু কারিগরি কলাকৌশলগত উন্নতমানের শিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে আরও বেশি সামাজিক স্বীকৃতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের কোর্স চালু করা যেতে পারে। তার আগে অবশ্যই দেশের সামগ্রিক চাহিদা ও ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজ দেখা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। দেশে আজ সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে। প্রতিবছর অসংখ্য কম্পিউটার গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে। তাদের ৫% কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের। বাদ-বাকীদের অবস্থা কিন্তু মোটেই যোগ্যতর নয়। নার্সিংয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আসলে শিক্ষাকে আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করতে না পারলে তার ফল ভাল হয় না। এ জন্য চাই নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী শিক্ষা, মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষক তৈরি করা ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা নেয়া। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি বর্তমানে নানাবিধ ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কতগুলোতে যে বিভ্রান্তির অপপ্রয়াস শুরু হয়েছিল, তা রাতারাতি দূর করা সম্ভব নয়। এক্ষণে আন্তর্জাতিকীকরণের ক্ষেত্রে নানাবিধ উদ্যোগ দেশে, বিদেশে এবং আঞ্চলিক সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। সার্ক বর্তমানে একটি অকার্যকর সংস্থা। বিমসটেকও গতিময়তা নেই এবং সেখানে শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার কোন উল্লেখও নেই। অথচ ব্রিকস (ইজওঈঝ) তাদের পাঁচটি দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের দেশের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের অধ্যয়ন এবং শিক্ষক এক্সচেঞ্জের পদক্ষেপ গত ৩০ সেপ্টেম্বর গ্রহণ করেছে। ব্রিকসের সে ঘোষণায় অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষার বিস্তার এবং সম্প্রসারণ ও সারা জীবনের জন্য শিক্ষা গ্রহণ বর্ধিতকরণের প্রয়াসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হলে মন্দ হতো না। শিক্ষাক্ষেত্রে মান বিস্তারে একটি ভাল পদক্ষেপ হতো। এদিকে বিমসটেকে যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিজ্ঞচিত নেতৃত্বগুণ জাগিয়ে তুলতে পারেন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন তবে ভাল হয়। কেননা, আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা বিনিময় করতে আঞ্চলিক সংস্থাকে উদ্যোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে আসিয়ান তার সদস্য দেশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। এদেশে যে এ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল তৈরি করার কথা তা দ্রুত হওয়া দরকার। বাংলাদেশ যাতে ব্রিকসের সদস্য হতে পারে তার উদ্যোগ নেয়া দরকার। আর শেখ হাসিনাই পারেন বিমসটেককে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্প্রসারণ ঘটানোর উদ্যোগ নিতে। বর্তমানে অটিস্টিক শিশুদের জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে তবে উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে অটিস্টিক শিক্ষার সম্প্রসারণে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে আশার কথা, সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় দেশে প্রথমবারের মতো এ্যাক্রেডিশন কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি সংসদে পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করবে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, যারা বা যিনি এই এ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের দায়িত্বে আসবেন তারা বা তিনি যেন দক্ষ, সৎ এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক হন। নতুবা যে সমস্যাকে সামনে রেখে এই এ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না। লেখক : শিক্ষাবিদ এবং ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট ই-মেইল : ঢ়রঢ়ঁষনফ@মসধরষ.পড়স
×