ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১০ অক্টোবর ২০১৬

বরেণ্য চিত্রশিল্পী  এসএম সুলতানের  মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ৯ অক্টোবর ॥ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার। ১৯৯৪ সালের এই দিনে শিল্পী সুলতান তার অগণিত ভক্তদের কাঁদিয়ে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর তাকে চিত্রা নদীর পাড়ে সবুজ-শ্যামল ছায়া ঘেরা বাড়ির পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। শিল্পীর বাসভবন, শিশুস্বর্গ ও সমাধিস্থল ঘিরে ‘এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা’ নির্মাণ করা হয়েছে। সুলতানের অঙ্কিত ছবি, ভাসমান শিশুস্বর্গ ও ব্যবহার্য জিনিসপত্র দেখে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরা। বরেণ্য এই শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও এসএম সুলতান ফাউন্ডেশন নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি মেছের আলীর ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন এই বিশ্ব বরেণ্য চিত্র শিল্পী এসএম সুলতান। মায়ের নাম মাজু বিবি। এসএম সুলতান ১৯৪১ সালে সুলতান কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান লাভ করেন। শহীদ হোসেন সোহরাওয়ার্দীর সহযোগিতায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র হয়েও তিনি কলকাতা আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে যান এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বাসায় থেকে কলেজে পড়াশোনার সুযোগ পান। কয়েক বছর পর একঘেয়েমি শিক্ষাজীবন তাকে দুর্বিসহ করে তোলে। এরপর ১৯৪৩ সালে তিনি খাকসার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এক বছর পর ১৯৪৪ সালে শিক্ষাজীবনের ইতি টেনে শুরু করলেন বোহেমিয়ান জীবনের। চলে গেলেন কাশ্মীর। সেখানে উপজাতিদের সঙ্গে শুরু করেন বসবাস। ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। সে সময় হার্ডসন নামে এক কানাডিয়ান মহিলার সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। তার সহযোগিতায় ১৯৪৬ সালে কাশ্মীরের সিমলায় তার প্রথম চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে তিনি কাশ্মীর ছেড়ে লাহোরে চলে যান। সে সময় শিল্পী ও প-িত নাগী চুগড়তাই, শাকের আলী, শেখ আহম্মদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। ১৯৪৮ সালে লাহোরে ও ১৯৪৯ সালে করাচীর ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের চিত্র প্রদর্শনীতে তিনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। ১৯৫০ সালে নিউইয়র্কে এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে আমন্ত্রিত হয়ে সেখানে ব্রকলিন ইনস্টিটিউট অব আর্ট প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের পক্ষে অংশ নিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।
×