ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সন্তানের সন্ধান চেয়ে কাঁদলেন মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৬ অক্টোবর ২০১৬

সন্তানের সন্ধান চেয়ে কাঁদলেন মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ছেলের সন্ধানে সংবাদ সম্মেলন করতে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মর্জিনা বেগম। মর্জিনা বেগমের পাশ থেকে ডুকরে কেঁদে ওঠেন তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান। ছয় মাস আগে তাদের ছেলে সবুজ হোসেন (৩০) বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেসক্লাব যশোর মিলনাতয়নে এক সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ সবুজ হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তারা জানান, তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে সবুজ সবার ছোট। স্থানীয় খাজুরা বাজারে ইঞ্জিন মিস্ত্রির কাজ করত সে। বাঘারপাড়ার দুর্গাপুর গ্রামের আবদুল গফফারের ছেলে তারিকুল ইসলাম তারেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল। সেই বন্ধু বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে ছেলেকে পাচার করে দিয়েছে। গত ৯ এপ্রিল বাড়ি থেকে বের হয় সবুজ। আর ফেরেনি। সংবাদ সম্মেলনে মর্জিনা বেগম বলেন, ‘ছেলেডার জন্যি ছয় মাস ঘরে মাথা দিতি পাচ্ছিনে, সে যে গেল আর ফিরে আসেনি। কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ছিল। ও বাবা তোমরা আমার ছেলেডারে আইনে দ্যাও।’ এ কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে সুবজের পিতা লুৎফর রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোফাজ্জেল হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন, নিখোঁজ সবুজের ভাবি হাসিনা খাতুন, চাচাত ভাই মোফাজ্জেল হোসেন, প্রতিবেশী নাজমুল ইসলাম, তোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ। ভালুকার তাহমিনা হাসপাতালে ফের প্রসূতির মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ, ৫ অক্টোবর ॥ ভালুকা পৌরসদরের তাহমিনা জেনারেল হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজার করাতে এসে ডাক্তারের ভুল অপারেশনে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ধীতপুর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবু তালেব মৃধার অনার্স পড়ুয়া কন্যা আছমা আক্তার (২২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালটি বন্ধ রয়েছে । এ নিয়ে হাসপাতালটিতে বেশ কয়েক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে আছমা খাতুনের প্রসব ব্যথা দেখা দিলে তাকে ওই সেন্টারে তার পরিবারের লোকজন নিয়ে আসেন। ক্লিনিকের মালিক ডাঃ মোশারফ হোসেন রোগীর স্বজনদের বলেন, তার অপারেশন লাগবে। তারা অপারেশনের অনুমতি দিলে তখনই আছমার সিজার করা হয়। ডাঃ আবু মোহাম্মদ কাইকোবাদ আছমাকে অজ্ঞান করান ও ডাঃ মোশারফ হোসেন অপারেশন করেন। অপারেশনের পর আছমার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় মোশারফ হোসেন পরপর দুই বার অপারেশন করেন বলে রোগীর আত্মীয়স্বজনরা অভিযোগ করেন। এক সময় ক্লিনিকের লোকজন আছমার আত্মীয়স্বজনকে জরুরী ভিত্তিতে এ্যাম্বুলেন্স আনার জন্য বলেন। মুমূর্ষু অবস্থায় আছমাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
×