ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

নিধন বন্ধে হাইকোর্টে রিট

কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ যশোর শহরবাসী

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কুকুরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ যশোর শহরবাসী

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ কুকুর নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন শহরবাসী। প্রতিবছর কুকুর নিধন করা হলেও প্রায় ৪ বছর তা করছে না পৌরসভা। ফলে কুকুরের বংশ দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। আর প্রতিদিনই মানুষকে কুকুরে কামড়াচ্ছে। পৌরসভা বলছে পরিবেশবাদী সংগঠন কুকুর নিধনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করায় তা বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানোর প্রতিরোধ ভ্যাকসিন নেই বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, যশোর পৌর এলাকায় কুকুরের বংশ বৃদ্ধিতে মানুষ মহাবিপাকে পড়েছেন। সকাল-দুপুর-রাতে যখনই মানুষ কুকুরের সামনে পড়ছে তখনই কামড়াচ্ছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছেন, গত প্রায় ৪ বছর আগে থেকেই তারা যশোরে কুকুর নিধন করতে পারছেন না। ৪ বছর আগে ঢাকার একটি পরিবেশবাদী সংগঠন হাইকোর্টে রিট করে কুকুর নিধন বন্ধে। সেই থেকে সারাদেশের পৌর কর্তৃপক্ষকে কুকুর নিধন বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। যার ফলে শহরের অলিগলিতে কুকুর দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা এখন মানুষের যন্ত্রণায় পরিণত হয়েছে। মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে কুকুরের সম্মুখীন হলেই কামড় খেতে হচ্ছে বলে অনেকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ রাশেদ আব্বাস রাজ জানান, সম্প্রতি তার সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে এমএসটিপি স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীর গায়ের ওপর ঝাঁপ দিয়ে কুকুরে কামড় দেয়। পরে তিনি নিজে তাকে উদ্ধার করে স্কুলে পৌঁছে দেন। একই অবস্থা যশোর শহরের ১ নং ওয়ার্ডে। প্রতিদিনই এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা কুকুরের কবলে পড়ছেন। গত সোমবার এ ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, গত দু’দিনে প্রায় ১৫জনকে কুকুরে কামড়িয়েছে। যার ফলে এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে তারা ৫টি কুকুর মেরে ফেলেছে। এ ব্যাপারে মোল্লাপাড়া শান্তি শৃঙ্খলা কমিটির অফিস সহকারী মিজানুর রহমান বলেন, কুকুরের কারণে রাস্তায় সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারছে না। এদিকে কুকুরের ভ্যাকসিন যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেই। যার ফলে প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে ফিরে ভ্যাকসিন কিনতে পৌরসভায় যাচ্ছেন। তবে পৌরসভায় অর্থ দিয়ে ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ সাহা জানান, বরাদ্দ চেয়ে দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। লোকের অভাবে ভ্যাকসিন আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে শীঘ্রই চলে আসবে। পৌরসভার স্যানিটেশন পরিদর্শক ওহেদুজ্জামান বলেন, প্রতিদিনই কুকুরে কামড়ানোর খবর তাদের কানে আসছে। কিন্তু কিছুই করার নেই। কারণ কুকুর নিধন বন্ধ রয়েছে। তবে প্রতিদিন রুটিন মাফিক ভুক্তভোগীদের মাঝে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। যশোর পৌরসভার সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেছেন, ৪ বছর আগে পৌরসভায় কুকুর নিধন বন্ধে সরকারী নিষেধাজ্ঞা আসে। সেই থেকে কুকুর নিধন বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি জানান, একটি পরিবেশবাদী সংগঠন কুকুর নিধন বন্ধের জন্য হাইকোর্টে রিট করে।
×