ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

গৌরীপুরে বখাটের উৎপাত ॥ হয়রানির শিকার ছাত্রীরা

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৯ আগস্ট ২০১৬

গৌরীপুরে বখাটের উৎপাত ॥ হয়রানির  শিকার ছাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ গৌরীপুর উপজেলার কোনাপাড়া গ্রামের বখাটে আরিফুল এলাকার অভিভাবকদের কাছে মূর্তমান আতঙ্কের নাম। অভিযোগ, বখাটে আরিফুল ও তার সহযোগীরা এলাকার স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের স্কুলে যাতায়াত পথে যৌন হয়রানি করে আসছে। সর্বশেষ দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করার অভিযোগে আরিফুল জনরোষের ভয়ে এখন এলাকাছাড়া। প্রচার রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিয়ে আরিফুলকে আবার এলাকায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। গৌরীপুর থানার ওসি আবু ফজলুল করিম জানান, কোনাপাড়ার কোন বিষয় নিয়ে কেউ তার কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তিনি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন। অভিযোগের ব্যাপারে আরিফুলের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ভাই জুয়েল জানান, আরিফুল ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এখন নিরুদ্দেশ! স্থানীয় সূত্র জানায়, আরিফুল কোনাপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হাশিমের ছেলে। আরিফুলের রয়েছে আরও কয়েক বখাটে সহযোগী। স্থানীয়ভাবে কোন্দল সৃষ্টি করে মারামারি, মেয়েদের পথে ঘাটে হয়রানি, অভিভাবকদের হুমকি, মাদকসেবনসহ নানান অপকর্ম করে বেড়ায় এরা। এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় এক ইউপি সদস্য এদের সকল অপকর্মের প্রশ্রয়দাতা। প্রভাবশালী প্রশ্রয়দাতাদের কারণে জীবন ও মান সম্মানের ভয়ে কেউ এদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে সাহস পায় না। গত ২২ আগস্ট স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে স্কুল থেকে কৌশলে দূরে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে অন্য শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজনের উপস্থিতির কারণে মেয়েটি রক্ষা পায়। তবে এই ঘটনায় গ্রামবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে আরিফুল গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শিশুটির মা সাংবাদিকদের বলেন তিনি গরিব মানুষ। ঘটনার বিচার চান। গ্রামের মানুষের কাছে তিনি বিচার দিয়েছেন। যা করার তারাই করবে। এদিকে কোনাপাড়া গ্রামের একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, কয়েক বছর আগে কোনাপাড়া গ্রামের আরেক স্কুল ছাত্রীকেও পথে আটকাতে চেষ্টা করেছিল আরিফুল ও তার বখাটে বন্ধুরা। সেই মেয়েটি দৌড়ে এক বাড়িতে উঠে রক্ষা পায়। ওই সময় গ্রামের লোকজন বখাটেপনার শাস্তি আরিফুল ও তার সহযোগী সাত বখাটে বন্ধুকে জুতার মালা পরিয়ে গ্রামে ঘুরিয়েছিল। এর জের ধরে আরিফুল গত ঈদের আগে গ্রামের জজ মিয়াকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করে। এ ব্যাপারে জজ মিয়া বলেন, ‘জীবন আর মান সম্মানের ভয়ে সব কিছু সহ্য করে যাচ্ছি’। অভিযোগ আরিফুল ও বখাটে বন্ধুদের হাতে এভাবে প্রায়ই নানা অপকর্মের ঘটনা ঘটে। কিন্তু ভয়ে কেউ এদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না। ফলে কোন ঘটনাই থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় না।
×