ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের প্রথম কুংফু মঠ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৩ আগস্ট ২০১৬

বিশ্বের প্রথম কুংফু মঠ

শত শত বছর আগে থেকে বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীদের মধ্যে মার্শাল আর্ট ও কুংফু চর্চা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু নেপালের ড্রুক অমিতাভ পর্বতে এমন একটি মঠের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে সন্ন্যাসিনীদের কুংফু শিক্ষা দেয়া হয়। এটিকে বিশ্বের প্রথম কুংফু মঠ বলে দাবি করা হচ্ছে। রীতি অনুযায়ী সন্ন্যাসিনীরা বিশেষ করে ঘর ও বাগানে কাজ করে থাকেন। কিন্তু ড্রুক অমিতাভ পর্বতের এ মঠের সন্ন্যাসিনীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কুংফু চর্চা করেন। গত ২৬ বছর আগে থেকে এ মঠে সন্ন্যাসিনীদের মধ্যে শরীরচর্চা ও কুংফুর প্রচলন করা হয়। এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে এ মঠের প্রধান গায়ালওয়াং ড্রুকপা বলেন, আমাদের এ মঠে নারীদেরও পুরুষের মতো সমান করে দেখা হয়। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন থেকেই বিষয়টি আমার মাথায় ছিল যে, সমাজে নারীরা কেন বৈষম্যের শিকার হবে। আমি যখন বড় হতে থাকলাম তখন থেকেই আমার চেষ্টা ছিল, নারীদের জন্য আমি কী করতে পারি। এরপরই আমি এ মঠ তৈরির সিদ্ধান্ত নেই এবং নারীদের কুংফু শিক্ষা দিয়ে আসছি। এই গায়ালওয়াং ড্রুকপা ৮শ’ বছরের প্রাচীন একটি মঠের সদস্য। তিনি বলেন, শুধু কুংফু নয়, এই মঠে পড়াশোনা এবং ধর্মীয় বিষয়াদিও শিক্ষা দেয়া হয়। এ মঠের ১৬ বছর বয়সী সন্ন্যাসিনী রুপা লামা বলেন, আমাদের কুংফু চর্চার মধ্যে হাত দিয়ে শক্ত বস্তু ভাংগা, ঘুষি, পা তুলে লাথিসহ আরও কয়েক প্রকার লাথি মারার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তিনি বলেন, এই কুংফু চর্চার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এরপর ধ্যান করতে অনেক ভাল লাগে। আমি মনে করি শরীরের জন্য এটি চমৎকার ব্যায়াম। আর এ ধরনের চর্চায় কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ায়। -অডিটিসেন্ট্রাল অবলম্বনে।
×