ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে পিপিপিতে ৪১৪ মে.ও বিদ্যুত কেন্দ্র হবে

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ৯ আগস্ট ২০১৬

সিরাজগঞ্জে পিপিপিতে ৪১৪ মে.ও বিদ্যুত কেন্দ্র হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বে (পিপিপি) দেশের প্রথম বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের কোম্পানি সেমকম্বের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। সিরাজগঞ্জে স্থাপিত দ্বৈত জ্বালানির বিদ্যুত কেন্দ্রটি হবে ৪১৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বিদ্যুত কেন্দ্রটির সঙ্গে ক্রয়চুক্তি সই করেছে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। চুক্তিতে পিডিবির পক্ষে কোম্পানি সচিব জহুরুল হক এবং সেমকম্ব-নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানির পক্ষে সেমকম্বের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডেভেলপ এ্যান্ড কমিউনিকেশন) সিজি ট্যান চেঙ্গুয়ান চুক্তিতে সই করেন। তিনি যৌথমূলধনী কোম্পানিটির চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ, তেল সরবরাহ, বিদ্যুত ক্রয়চুক্তি ও জমি লিজসংক্রান্ত পৃথক চারটি চুক্তি সই করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিদ্যুত জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা আশা করি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উৎপাদনে আসবে। তাদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করার জন্যও আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিদ্যুত বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম, নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম খোরশেদুল আলম বক্তৃতা করেন। এ সময় বিদ্যুত বিভাগ, সেমকম্ব এবং নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিরাজগঞ্জে একটি আইপিপি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে পাওয়ার সেল। বিদ্যুত কেন্দ্রটির সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত হয় ভারতীয় কোম্পানি ল্যাংক। কিন্তু পরে ল্যাংক নিজেদের আর্থিক সঙ্কটের কারণে বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণে অপারগতা প্রকাশ করে। একই শর্তে বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণে আগ্রহ দেখায় সিঙ্গাপুরের সেমকম্ব। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেমকম্বের সঙ্গে বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণে যুক্ত হয় রাষ্ট্রীয় কোম্পানি নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। পরে সেমকম্ব-নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানি নামে একটি যৌথমূলধনী কোম্পানি গঠন করা হয়। বিদ্যুত কেন্দ্রটির ৭১ শতাংশ মালিকানা থাকবে সেমকম্বের হাতে, বাকি ২৯ শতাংশ থাকবে নর্থওয়েস্টের হাতে। দ্বৈত জ্বালানির বিদ্যুত কেন্দ্রটি থেকে গ্যাসে প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াপ/আওয়ার) বিদ্যুত কিনবে ৩ দশমিক ১৮৮ টাকা এবং ডিজেলে ১৩ দশমিক ৫৬৭৯ টাকায়। কেন্দ্রটির সিম্পল সাইকেল ২০১৮ এর আগস্টে এবং কম্বাইন্ড সাইকেল একই বছর ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করবে। নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিউপিজিসিএল) নিজস্ব জমিতে বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে। যেখানে ২২৫ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুত কেন্দ্র রয়েছে রাষ্ট্রীয় এ কোম্পানির। এছাড়া আরও ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। সিরাজগঞ্জ ইউনিট-২ নির্ধারিত সময়ে তিন মাস আগে উৎপাদনে আসছে (২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর)। আর ইউনিট-৩ ছয় মাস আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন এনডব্লিউপিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
×