ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৯ জুলাই ২০১৬

উবাচ

বুকে হাত স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন সরকার বিএনপির বুকে হাত দিয়েছে। বিএনপি মানেই দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকেই মনে করা হতো। এককভাবে বিএনপির সব নিয়ন্ত্রণ দলের নেত্রীর কাছেই ছিল। তবে খবর নেতিবাচক অর্থে নেয়ার কোন কারণ নেই। বিএনপির নতুন বুক মনে করা হচ্ছে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে। দলটির মহাসচিব সেই দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। বিএনপির বুক’ প্রায় যুগের কাছাকাছি সময়ে দেশ ছেড়েছেন। বুক ছাড়া দেহ নিয়ে বিএনপি দেশে রাজনৈতিক পারফর্ম করছে। বিএনপি সরকারের সময় দেশে টঙ্গী-৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের কার্যাদেশ পাইয়ে দিতে বন্ধু গিয়াস আল মামুনের সঙ্গে মিলেমিশে ঘুষ নিয়েছিলেন তারেক রহমান। ওই টাকা দিয়ে বিদেশে গিয়ে খরচ করেছিলেন তারেক রহমান। যার দালিলিক প্রমাণ আদালতে হাজির করেই বিচার পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু একই মামলায় মামুনকে ঠিকই জেল দিয়েছিল আদালত। হাইকোর্টে মামুনের সঙ্গে তারেকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল এখন বলছেন, ‘ঘরে বসে থাকার সময় নেই। আজকে আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন। তারেক রহমান সাহেবের রায় প্রমাণ করেছে যে তারা আমাদের বুকের মধ্যে হাত দিয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় ঘুমাচ্ছেন স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের মন্ত্রীদের আকস্মিক ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনা পুরনো। নানা সময়ে নানাজনের ঘুমিয়ে পড়ার সচিত্র প্রতিবেদন ছেপে মেজাজ গরম চরিত্র দেখতে হয়েছে শাসকের। তবে নিজের দলীয় প্রধান যখন সরাসরি ধরে ফেলেন তার সামনে বসেই ঘুমান মন্ত্রী। তখন তা বাড়তি আগ্রহের জন্ম দেয়। সম্প্রতি বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ সংসদে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তিনি কথা বলছিলেন দেশের নদী ভাঙ্গন নিয়ে। সেই উপদ্রুত এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের কথা উঠে আসছিল বিরোধী দলের নেতার মুখে। এই মন্ত্রণালয় চালান তার দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। মন্ত্রণালয় সামলানোর অভিজ্ঞতায় তিনি বেশ পুরনোও বটে। কথা বলার একপর্যায়ে বিরোধীদলীয় নেতার চোখ যায় মন্ত্রীর দিকে। সম্ভবত তিনি মন্ত্রীর অভিব্যক্তিই দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দেখলেন মন্ত্রী ঝিমুচ্ছেন। আর যায় কোথায়, রওশন তখন বলে ওঠেনÑ মন্ত্রী মহোদয় ঘুমাচ্ছেন। তার কথা শুনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ধড়ফড়িয়ে সোজা হয়ে উঠে বসেন। এমন ধরা আর হয় না! আসলেই কি জঙ্গী স্টাফ রিপোর্টার ॥ কল্যাণপুরে আস্তানায় ৯ জঙ্গী নিহত হওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আসলেই তারা জঙ্গী কিনা, এ নিয়ে হান্নান শাহর ঘোর সন্দেহ রয়েছে। তিনি তো মনেই করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুঝি নিরীহ মানুষকে মেরেছেন জঙ্গী সন্দেহে। যদিও দুই দিনে জঙ্গীদের আসল পরিচয় বেরিয়ে আসায় স্পষ্টই বোঝা যায় দেশে জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল এই বিপথগামী তরুণদের। হান্নান শাহ বলেন, অভিযান চালিয়ে ৯ জঙ্গীকে হত্যা করা হয়েছে কল্যাণপুরে। এই সম্পর্কে বলতে চাই, সন্দেহ আছে। কেন সন্দেহ করছি যে নিরীহ মানুষ মারা গেছে? আমরা গুলশানের ঘটনা দেখেছি পুলিশ বাহিনী... শত শত ঘুরছে। তারা কিন্তু ওই দুষ্কৃতকারী বা সন্ত্রাসী, যাদের কাছে অস্ত্র আছে, তাদের মোকাবেলা করতে যায় নাই। সুতরাং উনারা যখনই এনকাউন্টারের কথা বলেন, বন্দুকযুদ্ধের কথা বলেন, তখন বাংলাদেশের জনগণের মনে একটি প্রশ্নের উদয় হয়- ওরা কি সত্যিই অপরাধী ছিল? না কি নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করছে?
×