ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধ

পটিয়ায় তারাবি নামাজ শেষে মুসল্লিদের ওপর গুলি, আহত ৬

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২০ জুন ২০১৬

 পটিয়ায় তারাবি  নামাজ শেষে  মুসল্লিদের  ওপর গুলি, আহত ৬

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ১৯ জুন ॥ মসজিদ পরিচালনা কমিটির বিরোধ কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের পটিয়ায় মুসল্লিদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেনÑ শোভনদ-ী ইউনিয়নের হিলচিয়া গ্রামের ওমর আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম (৩৫), মমতাজ মিয়ার পুত্র মোঃ মনছুর (১৮), আহমদ কবিরের পুত্র বদিউল আলম (৪৫), অলি আহমদের পুত্র জমির উদ্দিন (৫০), আবু ছৈয়দের পুত্র শফি আলম (২৪) ও আবদুল মালেকের পুত্র আবদুল জব্বার (৩৬)। শনিবার তারাবি নামাজ শেষে রাত ১১টায় হিলচিয়া কাজীর মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় রবিউল ইসলামকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে মুসল্লিদের ওপর গুলি চালানোর প্রতিবাদে গ্রামবাসী রবিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। জানা গেছে, শোভনদ-ী ইউনিয়নের কাজীর মসজিদটি ৩৪৪ বছরের পুরনো (১৬৭২ সাল)। মসজিদটি নিয়ে দীর্ঘদিন দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এক পক্ষের সভাপতি ফয়েজ আহমদ, সেক্রেটারি এমদাদুল হক ও অপর পক্ষের সভাপতি নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মোঃ আবছার। জরাজীর্ণ মসজিদ সংস্কার করতে ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মসজিদ পরিচালনার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এতে সভাপতি হন নুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মোঃ আবছার। শনিবার জোহরের নামাজ শেষে মুসল্লি আবুল হোসেন বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে নাজেহাল করে। পরে সেটা মীমাংসা হয়। কিন্তু রাতে তারাবি নামাজ শেষে প্রতিপক্ষের লোকজন পুনরায় অতর্কিতভাবে গুলি চালালে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। মসজিদ পরিচালনা কমিটির এক পক্ষের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, তারাবি নামাজ শেষে মুসল্লিদের ওপর যেভাবে নির্বিচারে গুলি, ভাংচুর ও মালামাল লুট করা হয়েছে তা জঘন্য কাজ। গুলিবিদ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তারা সুস্থ হলেই মামলা দায়ের করা হবে। মসজিদের অপর একটি পক্ষের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বলেন, তারাবি নামাজে গুলি চালানোর বিষয়টি সত্য নয়। নিজেদের গুলিতে নিজেরাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনিনি।
×