ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

দ্রুত বাড়ছে মহাবিশ্ব

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ৯ জুন ২০১৬

দ্রুত বাড়ছে মহাবিশ্ব

প্রত্যাশিত হিসাবের চেয়েও দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্ব। সম্প্রসারণের এই দ্রুতগতি আমাদের দৈনন্দিন পদার্থবিদ্যার জ্ঞানের পরিধিকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে হয়ত আলবার্ট আইনস্টাইনের ‘থিওরি অব রিলেটিভিটির’ ওপর একটি চ্যালেঞ্জের প্রমাণ পাওয়া সম্ভব হবে। বিজ্ঞানীদের মতে, এতদিন ভেবে আসা মহাবিশ্বের শতকরা ৯৫ ভাগ আলো বা রশ্মি বিকিরণ করে না, এমন ধারণাকে বাতিল করে দিতে পারে আবিষ্কারটি। নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ধারণার চেয়ে পাঁচ থেকে নয় শতাংশ দ্রুতগতিতে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ ঘটে চলেছে। ১৩৮০ বছর আগে ঘটা বিগ ব্যাঙ থেকে পাওয়া বিকিরণ পরিমাপ করে যে হিসাব বের করা হয়েছিল তার সঙ্গে মিলছে না বর্তমানে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার। এই অসামঞ্জস্যের একটি কারণ হতে পারে অনেকটা নিউট্রিনোর মতো মহাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সাবঅ্যাটমিক পার্টিকেল। এই পার্টিকেলগুলো প্রায় আলোর গতিতে ছুটতে পারে। সংখ্যায় যা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন লাখ কিলোমিটার। আরেকটি কারণ হতে পারে বহুল প্রচলিত রহস্যময় ‘ডার্ক এনার্জি’। ১৯৯৮ সালে আবিষ্কার হওয়া এই মাধ্যাকর্ষণবিরোধী শক্তি হয়ত মহাকাশের গ্যালাক্সিগুলোকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে যতটা না ধারণা করা হয়েছে তার চেয়েও বেশি শক্তিতে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্র্নিয়ার জ্যোর্তিবিজ্ঞানী এই আবিষ্কারের বিষয়ে আসন্ন নথিপত্রের লেখক এ্যালেক্স ফিলিপ্পেনকো বলেন, হয়ত মহাবিশ্ব আমদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের পদার্থবিদ এবং লেখক এ্যাডাম রিস বলেন, আলো বিকিরণ করে না এমন বলে ধারণা করা মহাবিশ্বের ৯৫ শতাংশ বোঝার একটি সূত্র হতে পারে এই অস্বাভাবিক সম্প্রসারণ। এর মধ্যে রয়েছে ডার্ক এনার্জি, ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক রেডিয়েশন। -দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট
×