ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কষ্ট ও ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৬ মে ২০১৬

কষ্ট ও ক্ষতি

গোলাম সারোয়ার মাদকাসক্তের অন্যতম কারণ হচ্ছে ভালবাসা হারানো বিশ্বাসহীনতা। কৌতূহল থেকেও এটা শুরু হয়। এক পুরুষ অথবা নারী প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার পর মানসিকভাবে অনেক কষ্ট পায় এবং সে নীরবে বসে কষ্ট পেতে থাকে এবং এই কষ্টকে এক সময় অভ্যাসে পরিণত করে। কষ্টের কথাগুলোর ওপর বেশি মনোযোগ দেয় ফলে কষ্টের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। সুখের কথা চিন্তা করে না। তাই কষ্টকে ভেবে নেয় জীবন। সুন্দর জীবনকে শেষ করে দেয় নেশার জগতে এসে। নেশা করলে কষ্ট চলে যাবে এই ভেবে ইয়াবা, সিগারেট, গাঁজাসহ বিভন্ন ধরনের নেশায় জড়িয়ে পড়ে। আর এই সব নেশা সৃষ্টি হয় কৌতূহল থেকে। খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশার মাধ্যমে নেশায় জড়িয়ে পড়ে। পরিবার এর জন্য বেশি দায়ী একজন অভিভাবক সন্তানকে যত বেশি সময় দেবে সন্তান খারাপ হবে কম। সময় যত কম দেবেন খারাপ হবে বেশি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার সন্তানের ওপর সময় কম দেন বলে খারাপ হওয়ার প্রবণতা বেশি। সন্তান নেশায় জড়িয়ে পড়লে বকাঝকা, মারধর করে কোন সমাধান আনা যায় না। এটা করলে বিপদ আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই সঠিক নিয়মে যতœ নিতে হবে। নেশার জীবনে আটকে যাওয়া সন্তানকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব কিছু নিয়মের মধ্যে রাখতে হবে তাকে। তার কাছে জানতে হবে সে নেশা করে কেন? তার নেশার কারণ আতীতের ব্যর্থতা না ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা। অতীতের ব্যর্থতা যদি কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে বুঝতে হবে অতীতকে পরিবর্তন করা যায় না। অতীতের কথা ভেবে বর্তমানের সুন্দর জীবনকে নষ্ট করে লাভ নেই। তাকে বুঝাতে হবে পৃথিবীতে বাঁচার অনেক পথ আছে অনেকভাবে বাঁচা যায়। মাদকাসক্ত সন্তানকে একটু বেশি সময় দিতে হবে কিছু রুটিনমাফিক জীবন যাপন করতে দিতে হবে। রুটিন সাজাতে হবে, খেলাধুলা, বিনোদন, বই পড়া ধর্মীয় নির্দেশাবলী। এই সব কাজ যেন পালন করে। কোন সময় তাকে একা না রাখা ভাল। মাদকাসক্ত সন্তানের ওপর একটু বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। যতদিন পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসে। তাকে সব সময় সৎ এবং নতুন জীবন সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে তাহলে সে স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে আসার চেষ্টা করবে। পরিশেষে তাকে বুঝাতে হবে নেশা মানে জীবনকে নষ্ট করে দেয়া, নেশা মানে মরণ। এতে তার কোন উপকার নেই, আছে শুধু ক্ষতি। নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে
×