ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রিয়ালের হুঙ্কার অ্যাতলেতিকোকে

প্রকাশিত: ২০:০০, ৫ মে ২০১৬

রিয়ালের হুঙ্কার অ্যাতলেতিকোকে

অনলাইন ডেস্ক॥ তিন মৌসুমের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ সামনে রেখে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সতর্কই করে দিলেন রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস। রামোস রীতিমতো হুঙ্কারের সুরেই বললেন, ফাইনালে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রিয়ালের মুখোমুখি হবে অ্যাতলেতিকো। স্প্যানিশ সেন্টার ব্যাকের বিশ্বাস, টিম হিসেবে সবাই নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিয়েই খেলবে। আগামী ২৮ মে (শনিবার) মিলানের সান সিরোতে রিয়াল-অ্যাতলেতিকো হাইভোল্টেজ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দিবাগত ‍রাত পৌনে ১টায়। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে জিনেদিন জিদানের রিয়াল। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ছিল গোলশূন্য ড্র। অন্যদিকে, বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে ২-১ ব্যবধানে হারলেও অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে ২-২ অ্যাগ্রিগেটে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পা রাখে অ্যাতলেতিকো। শিরোপা লড়াইয়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে রিয়ালকে। এটি আবার ডার্বি ম্যাচও বটে। এ প্রসঙ্গে রামোসের ভাষ্য, ‘কখনো কখনো সহজ ম্যাচ থাকে এবং তা কঠিনও হয়। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগে সব সময়ই প্রচুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে। আমরা শীর্ষ লেভেলে আছি এবং আমরা জানতাম, গোলের মাধ্যমেই ইতি টানতে হবে। আমরা ম্যানসিটিকে বিদায় করেছি। এখন বলতে পারি আমরা ফাইনাল নিশ্চিত করেছি।’ রিয়াল অধিনায়ক যোগ করেন, ‘এ মৌসুমে আমরা অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি। কঠোর পরিশ্রম ও টিমের ঐক্যের কারণেই তিন মৌসুমের মধ্যে দু’বার ফাইনালে উঠা সম্ভব হয়েছে। টিম এবং সমর্থকরা সবকিছুই প্রত্যাশা করে। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই কারণ তারা আবারো দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা আমাদের জন্য এক্সট্রা খেলোয়াড়। এখন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে আমরা নিজেদের আত্মা ছেড়ে খেলবো।’ প্রসঙ্গত, ২০১৩-১৪ মৌসুমে তীরে এসে তরী ডোবায় অ্যাতলেতিকো। নিজেদের ক্লাব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন লিগ শিরোপা জেতার দ্বারপ্রান্তে গিয়েও খালি হাতে ফেরে দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। সেবার দিয়েগো গডিনের গোলে এগিয়ে থাকা অ্যাতলেতিকোর জালে অন্তিত মুহূর্তে বল জড়িয়ে ‘লা ডেসিমা’র (দশম শিরোপা) স্বপ্ন বাঁচান সার্জিও রামোস। অতিরিক্ত সময়ে আরো তিনবার গোল উদযাপনে মেতে এক যুগের শিরোপা খরা কাটায় লস ব্লাঙ্কসরা।
×