ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষুব্ধ নগরবাসী, মেয়রকে নোটিস

রাসিকের অস্বাভাবিক হোল্ডিং ট্যাক্স

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

রাসিকের অস্বাভাবিক হোল্ডিং ট্যাক্স

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ হঠাৎ অস্বাভাবিকহারে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন নগরীর বাসিন্দারা। এরই মধ্যে রাসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়রের কাছে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স প্রত্যাহার না হলে আইনীভাবে মোকাবেলার ঘোষণা দিয়েছেন নাগরিকরা। জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের শুরুতে মাত্র ১২৪৭ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করেছেন নগরীর রানীবাজার এলাকার বাসিন্দা কামরুজ্জামান। তবে আগামী অর্থবছরের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ হাজার ৬ টাকা ৪০ পয়সা। ট্যাক্সের এ অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে রীতিমতো চোখে অন্ধকার দেখছেন সীমিত আয়ের কামরুজ্জামান। তার মতো নগরবাসীর অনেকে এখন দিশাহারা রাসিকের ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে। এরই মধ্যে অস্বাভাবিক হোল্ডিং ট্যাক্স ধার্য করায় সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়রকে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে। নগরীর মহিষবাথান এলাকার সৈয়দ আলী রেজা অপু এ নোটিস দেন। নোটিসে বলা হয়, তিনি লক্ষ্মীপুর এলাকার ৬১ নম্বর হোল্ডিংয়ের একটি একতলা বাড়ির মালিক। প্রায় ৫০ বছর ধরে এই বাড়িটির ভাড়া যা পাওয়া যায় তা এই বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণেই ব্যয় হয়ে যায়। আগে এই বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স ছিল ২৫৯২ টাকা। তবে এ বছর ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে ২২ হাজার ৬৩৯ টাকা। জানা গেছে, নগরীর আবাসিক খাতে প্রতি হাজার বর্গফুটে পাকা ১২০০ টাকা, আধাপাকা ৬০০ টাকা এবং কাঁচা ও ফাঁকা জায়গায় ২৭০ টাকা কর নির্ধারণ করা হয়েছে। অপরদিকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পাকা তিন হাজার টাকা এবং আধাপাকা জায়গার জন্য এক হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্ধারিত ট্যাক্সের হিসাব বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। যাদের আপত্তি থাকবে তারা পি ফরম সংগ্রহ করে আয়কর বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন। আর এই পি ফরমের দাম ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ধার্য করা হয়েছে ২০০ টাকা। পি ফরমের মূল্য অতিরিক্ত হারে আদায় করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ নগরবাসীর। তাদের মতে, মাত্র ১৫ টাকার পি ফরমের ওপর ২০০ টাকার সিল মেরে বাড়তি টাকা আদায় করছে রাসিক। এদিকে, গত রবিবার সংবাদ সম্মেলনে রাসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযামুল আযীম বলেন, আপীলের মাধ্যমে জনগণের আর্থিক সঙ্গতি বিবেচনা করেই ট্যাক্স নির্ধারণ করা হবে। কোনভাবেই নাগরিকের ওপর বোঝা চাপিয়ে দেব না। তিনি বলেন, সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল দায়িত্ব নেয়ার পর ট্যাক্স বাবদ ২০ কোটি টাকা সরকারকে জমা দেননি। সে টাকা আমাদের পরিশোধ করতে হয়েছে কর্পোরেশনের স্বার্থে। তিনি বলেন, রাজস্ব আয়ের ঘাটতি রয়েছে। কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ সবই রাজস্ব আয় থেকে। তাই উন্নয়নের স্বার্থে যে টাকা জনগণের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে তা জনগণের জন্যই ব্যয় করা হবে।
×