ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

যশোর পলিটেকনিক অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে ক্লাস বর্জন

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ১৪ মার্চ ২০১৬

যশোর পলিটেকনিক  অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে ক্লাস বর্জন

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহর অপসারণ দাবি করে শিক্ষার্থীরা ক্লাসবর্জন করেছে। রবিবার সকাল থেকে যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাস ছিল ফাঁকা। এ দিন কোন ক্লাস হয়নি। অধ্যক্ষ বহিরাগতদের ইউনিফর্ম পরিয়ে ক্লাস নেয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষকদের সাড়া না পাওয়ায় তা ব্যর্থ হয়। এদিকে ছাত্রাবাসে গিয়ে ক্লাসে উপস্থিত থাকার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী মোর্তজা আহমেদ, হাসানুজ্জামান, আবু সাঈদ, রিয়াদ হোসেন, ফরহাদ হোসেন, ইসমাইল হোসেনসহ অনেকে জানান, ড. আব্দল্লাহ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ্য নয়। তার অপসারণ দাবিতে যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুই হাজার ছাত্রছাত্রীর স্বাক্ষর সংবলিত আবেদন কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেয়া হয়েছে। তারা আরও অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ ড. আব্দুল্লাহ বিনা কারণে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। অধ্যক্ষ বিশ্বব্যাংকের দেড় কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ না করে আটকে রেখেছেন, যা বাংলাদেশের অন্যান্য পলিটেকনিকে বিতরণ করা হয়েছে। তিনি অবৈধভাবে পলিটেকনিক প্রাইমারি স্কুলে বিউটি আক্তার নামে একজন শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেন। একইভাবে ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে সোলাইমান, সুমন, হিরণ, চয়ন, ফাতেমা ও একরামকে নিয়োগ দিয়েছেন। এদের আগের নিয়োগের কর্মচারীদের থেকে বেশি বেতন দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে খ-কালীন শিক্ষক নিয়োগেও ঘুষ ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। ইএনটি বিভাগে শাহীনুর রহমান ও কম্পিউটার বিভাগে নাসরিন আক্তার নামে দু’জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের নামে ২ হাজার ৫০০ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে পাঁচ লাখ টাকা উত্তোলন করে নির্দিষ্ট এ্যাকাউন্টে না রেখে নিজ এ্যাকাউন্টে জমা রেখেছেন।
×