ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম দফায় ৬০ আওয়ামী লীগ চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

ইউপি নির্বাচনের জমজমাট প্রচার শুরু

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৫ মার্চ ২০১৬

ইউপি নির্বাচনের জমজমাট প্রচার শুরু

শাহীন রহমান ॥ ইউপি নির্বাচন উপলক্ষে শুরু হয়েছে জমজমাট নির্বাচনী প্রচার। ভোটারদের দোয়া-সমর্থন পেতে প্রার্থীরা ছুটছে দ্বারে দ্বারে। প্রার্থনা করছে একটিমাত্র ভোটের। ভোটারদের সমস্যা সমাধানেও দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও। নির্বাচনী এলাকায় পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও নির্বাচনী প্রচারে সরব প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশন ছয় দফায় দেশের চার হাজারের বেশি ইউপি নির্বাচনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে প্রথম দফায় কমিশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারে মাঠে নেমে পড়েছেন। সকাল-সন্ধ্যা তাদের ভোট প্রার্থনা চলছে। দলীয় নির্বাচন হওয়ায় দলের নেতাকর্মীরা এখন ভোট প্রার্থনায় প্রার্থীকে নানাভাবে সহায়তা করছে। প্রথম দফায় চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রায় ৪০ হাজার প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। তবে এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে তিন হাজারের বেশি প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের নৌকার সঙ্গে বিএনপির ধানের শীষের সঙ্গে। ইতোমধ্যে দু’দলের প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র, সদস্য ও সংরক্ষিত প্রার্থীরা ভোটে জিততে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। কমিশন জানিয়েছে প্রথম দফায় চেয়ারম্যান পদে ৬০ ইউপিতে একক প্রার্থী থাকায় ইতোমধ্যে তাদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকতা ২ মার্চ প্রত্যাহারের শেষ দিনে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেন। নির্বাচিত এসব প্রার্থীর সবাই আওয়ামী লীগদলীয়। তবে এসব ইউপিতে সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন থাকায় ভোটের আমেজ ঠিক বজায় রয়েছে। আগামী ২২ মার্চ থেকে দেশে প্রথমবারের জন্য অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দলীয় ভিত্তিতে ইউপি নির্বাচন। এর আগে পৌরসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচনের সূচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্থানীয় নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে হওয়ায় স্থানীয় রাজনীতিতে এ নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি বেড়ে গেছে। দল থেকে মনোনীত প্রার্থীরাই কেবল দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সুযোগ লাভ করেছেন। এজন্য প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন পেতে জাতীয় নির্বাচনের মতোই অনেক কাঠখড়ও পোড়াতে হয়েছে। তবে যারা দল করেও দলের মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছের তাদের অনেকেই দলের বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। হিসাবে দেখা গেছে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অনেক প্রার্থী দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও এসব বিদ্রোহী প্রার্থী ইসির খাতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ, ত্যাগি ও দলের নিবেদিত নেতাদের বাদ দিয়ে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। অনেকে দলের প্রতি ক্ষোভ জানাতে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশনার পর অনেক প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরপরও প্রথম দফায় ৭৩৮ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে প্রায় ২শ’র কাছাকাছি ইউপিতে। অপরদিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক ইউপিতে। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতি কোন কড়া নির্দেশনা নেই। জানা গেছে, গোপনে গোপনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চলছে। তবে কেন্দ্র থেকে এসব প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার জন্য কোন হুঁশিয়ারি দেয়া হয়নি। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রথম থেকে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করার জন্য। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে অনেকই তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারও করে নিয়েছেন। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ জানিয়েছেন, কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করে এখন যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাতে সময় আছে। এ সময়ের মধ্যে বিদ্রেহীরা সরে দাঁড়াবেন আশা করি। ইসির নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রথম দফায় নির্বাচনের জন্য ১৬টি দল এবং দ্বিতীয় দফায় ১৫ রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ইউপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রথম দফায় চেয়ারম্যান সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যসহ ৪০ হাজারের বেশি প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তবে বাছাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও রেকর্ড পরিমাণ প্রার্থী প্রথম দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবাই বিজয়ের বিষয়ে আশাবাদী। তারা বলেন নির্বাচন সুষ্ঠু হলে একশ’ ভাগ বিজয় তার ঘরে আসবে। তবে প্রথম দফায় বিএনপির ১৩০ ইউপিতে তাদের কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই। দলের পক্ষে রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেনÑ ক্ষমতাসীন দলের বাধার মুখে তাদের দলের ৮৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেনি। এছাড়া ও বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা পক্ষপাতিত্বের আশ্রয় নিয়ে বিএনপির প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে দলের পক্ষ থেকে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছেন নির্বাচন কমিশন ও সরকার যোগসাজশে কাজ করছে। বিএনপিকে ১০ থেকে ২০ ইউপি দিয়ে বাকি ইউপিতে ক্ষমতসীন দল জয়লাভের পরিকল্পনা করছে। তবে ১৩০ ইউপিতে বিএনপির কোন প্রার্থী না থাকলেও বাকি ইউপিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা প্রতীকের সঙ্গে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে। যদি জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এ নির্বাচনে অংশ নিলেও খুব কমসংখ্যক প্রার্থীই দিতে পেরেছে। দুই দফায় সব মিলিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে ২শ’র কিছু বেশি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা অনেকেই আলোচনার বাইরে রয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনেও দলটি ভাল করতে পারেনি। বেশিরভাগ পৌর সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় লাভ করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল বিএনপি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনিয়ন পরিষদেও এর ব্যতিক্রম হবে না। এদিকে দ্বিতীয় দফায় ইউপি নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পথে। দ্বিতীয় দফায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আজ থেকে তাদের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। আগামীকাল রবিবার বাছাই শেষে ১৩ মার্চে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য শেষদিন বরাদ্দ রয়েছে। এরপরই প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শেষে দ্বিতীয় দফায় শুরু হবে নির্বাচনী প্রচার। ইসির হিসাব অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ১০৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ হাজার ৫৫৩ এবং রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছে ১ হাজার ৫৫৫ জন। দ্বিতীয় ধাপেও ১৩ ইউপিতে একক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। প্রার্থীদের সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। এছাড়াও দ্বিতীয় দফায় বিএনপি ৬০ ইউপিতে কোন প্রার্থী দিতে পারেনি। এজন্য তারা ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় বাধার অভিযোগ এনেছে দলটি। তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধরণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপির তৃণমূলের প্রার্থীরা নির্বাচনে আগ্রহী হচ্ছে না। এ কারণে তারা সব ইউপিতে প্রার্থী দিতে পারছে না। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী না থাকা ৬০ ইউপির মধ্যে ৩০ ইউপিতে দলের মনোনয়ন দেয়ার জন্য কোন প্রার্থী খুঁজে পায়নি বিএনপি। এদিকে বাকি চার দফায় এখনও নির্বাচনের বিস্তারিত তারিখ ঘোষণা করা না হলেও সেখানেও আলোচনা-সমালোচনা মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই। বিশেষ করে দলের প্রার্থী কারা হচ্ছেন এটা নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের পরই সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তাই এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের আগ্রহ অনেক বেশি। তফসিল ঘোষণার পর তৃণমূলে রাজনীতিও এখন অনেক চাঙ্গা। রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে মূলত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই। এদিকে ইসির পক্ষ থেকে ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রয়োজনে ব্যালট ছিনতাই ও ভোট কারচুপি রোধে শেষ বুলেট পর্যন্ত ব্যালট রক্ষার চেষ্টা করতে হবে। তবে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এ বৈঠকে ইউপি নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সংঘাত ও সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এসব বিদ্রোহী প্রার্থী এলাকায় মূলত এ সংঘাতে আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন। ইসিতে বৈঠকে অংশ নেয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, বিশেষ করে যেসব ইউপিতে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই, কিন্তু আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছে সেখানে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। আবার যেসব ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে তারা প্রতিপক্ষের সঙ্গে এতে ইন্ধন যোগাতে পারেন। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রেফতার অভিযান জোরদারের তাগিদ দেয়া হয়েছে। সভায় নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ বলেন, অতীতের নির্বাচনগুলো সব ভাল হয়েছে, তা বলা যাবে না। দু’একজনের অপকর্মের কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এবার তার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশনার মোঃ জাবেদ আলী বলেন, একটি রাজনৈতিক দল কমিশন বিমাতাসুলভ আচরণ করে বলে অভিযোগ করে। আরেকটি দলের অভিযোগ, কমিশন সরকারের পকেটে ঢুকে গেছে। দুটি দলের কোন অভিযোগ যেন সত্য না হয়; সেই অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। তবে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য সবার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটছে না বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বলেছি। এবার যেন একটি ঘটনাও না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক এবং প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছি। প্রথম দফায় ৭৩৮ ইউপিতে ভোট হবে আগামী ২২ মার্চ। ইতোমধ্যে প্রথম দফার প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মাঠে নেমে পড়েছেন। দ্বিতীয় দফায়ও প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২২ মার্চ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত সারাদেশের ৪ হাজার ২৭৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে (শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে) অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলসমূহ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাই দেশবাসীর বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে এই নির্বাচনকে ঘিরে। ইসি জানিয়েছে, আইনের বাধ্যবাধকতা মেনেই মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বেই ইউপি নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
×