ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গর্ভস্থ ভ্রূণে জিন এডিটিং

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গর্ভস্থ ভ্রূণে জিন এডিটিং

মানবভ্রূণকে জেনেটিক্যালি মডিফাই করার জন্য প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীদের অনুমতি দিয়েছে ব্রিটেন। ভ্রƒণের জিনগত কাঠামোয় কারিকুরি- যাকে বলা হয় জিন এডিটিংÑ সেটা করার অনুমতি এতদিন ছিল না। কিন্তু ব্রিটেনের দ্য হিউম্যান ফার্টিলাইজেশন এ্যান্ড এমব্রায়োলজি সম্প্রতি এমন একটি গবেষণা প্রকল্পে জিন এডিটিং প্রয়োগ করার লাইসেন্স দিয়েছে যাতে মানবভ্রƒণের প্রাথমিক বিকাশ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। জিন এডিটিং জিনিসটা ঠিক কী, তা ব্যাখ্যা করে দ্য নিউ সায়েন্টিস্ট পত্রিকার সাংবাদিক মাইকেল ল্য পেইজ বলেন, ‘আগে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং জিনিসটা অনেকটাই র‌্যান্ডম ব্যাপার ছিল- মানে একটা কোষের ভেতর আপনি জিনগুলো ঢুকিয়ে দিয়ে শুধু আশা করতে পারতেন তারা সঠিক জায়গায় গিয়ে ল্যান্ড করবে। কিন্তু এখন আমাদের হাতে সেই পদ্ধতি আছে যে একটা সুনির্দিষ্ট জিনকে টার্গেট করে শুধু তাতে পরিবর্তন ঘটাতে পারি।’ ‘এক্ষেত্রেও এই দলটা বিশেষ কয়েকটা জিনকে বাইরে বের করে দিয়ে সেগুলো অচল করে দিতে পারবে- এমন কী চাইলে ঠিক সেই জায়গায় নতুন জিনও বসিয়ে দিতে পারবে। ফলে পারিবারিক সূত্রে যে রোগগুলো আসে, তার জন্য দায়ী নির্দিষ্ট মিউটেশনগুলোকে এই পদ্ধতিতে শুধরে নেয়া সম্ভবÑ জিনোমে আর কোন পরিবর্তন না-এনেই। ফলে এটাকে বলা যেতে পারে খুব সূক্ষ্ম একটা জেনেটিক ‘অস্ত্রোপচার’, বলন মি ল্য পেইজ। তবে এ ধরনের সার্জারির একটা নৈতিকতার দিক থেকেই যায়। আর সে জন্যই মাইকেল ল্য পেইজ মনে করেন এই খাতের গবেষণায় যে ভীষণ কড়াকড়ি আছে, সেটা একটা ইতিবাচক দিক। তিনি বলেন, এটা মনে রাখাটা জরুরী যে অনেক দেশেই, বিশেষ করে আমেরিকার বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যে চাইলেই জিন এডিটিং করা সম্ভব- তা আটকানোর কোন ব্যবস্থা নেই। ‘ফলে ব্রিটেনে যে এটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি সংস্থা আছে সেটা খুব ভাল ব্যাপার। আর এই অনুমতিটা যে তারা দিয়েছে সেটাও একটা নির্দিষ্ট প্রয়োগের জন্য গবেষণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে নতুন করে আবেদন করার দরকার পড়বে।’ তাহলে জিন এডিটিংয়ের অনুমতি কি সুস্থ, নীরোগ শিশুর জন্মের পথই প্রশস্ত করবেÑ না কি বাবা-মায়ের ফরমায়েশ অনুযায়ী জেনেটিক্যালি মডিফায়েড ডিজাইনার বেবি তৈরির ঝোঁকও তৈরি করতে পারে? সূত্র : বিবিসি
×