ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

যাত্রী কল্যাণ সমিতি

রেল বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়ার প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৯ জানুয়ারি ২০১৬

রেল বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়ার প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বছর বছর রেল ভাড়া বৃদ্ধি হলে যাত্রী ও আয় কমবে। এভাবে রেলকে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে বেসরকারী খাতে ছেড়ে দেয়ার প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি মনে করে, রেলের মাথাভারি প্রশাসন, অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধ করে কোচ ও গতি বাড়িয়ে একক যাত্রী প্রতি খরচ কমিয়ে এই খাতকে লাভজনক করা সম্ভব হবে। এজন্য সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরী বলে দাবি করেন সংগঠনটি। নিরাপদ ও সাশ্রয়ী ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সারাদেশে রেলের বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান বক্তারা। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির রেলপথ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সংগঠনের মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক আবদুল হক, আতিকুর রহমান, মহিউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ। সভায় অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, আমরা কথায় কথায় ভারতের উদাহরণ দিলেও ভারত কিভাবে রেল খাতে উন্নয়ন করেছে তা কাজে লাগাতে চাই না। বিশ্ব ব্যাংকের যে ঋণ গ্রহণ করা হচ্ছে তা রেলের উন্নয়নের চেয়ে দুর্নীতি ও লুটপাটে বেশি ব্যবহৃত হবে। এ ঋণের শর্ত হিসেবে বছর বছর ভাড়া বাড়ালে রেলে লুটপাট ও দুর্নীতি আরও বেড়ে যাবে। শখ থেকে পেশায় নিজের শখকে অনেকেই পেশায় রূপ দিয়েছেন। তাদেরই মতো একজন ইবনুল। তিনি প্রথমদিকে শখ করে ছবি আঁকতেন, পরে নিজের শখকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে ছবি আঁকাটা তার পুরোপুরি নেশার মতো। একদিন ছবি না আঁকলে তিনি স্থির থাকতে পারেন না। তিনি প্রতিদিন ছবি এঁকে গড়ে আয় করেন ১৫শ’ থেকে দুই হাজার টাকা। ইবনুল জানালেন, পেশা হিসেবে ছবি আঁকাকে বেছে নিয়ে তিনি বর্তমানে ভাল আছেন। ছবি তুলেছেন জনকণ্ঠের নিজস্ব আলোকচিত্রী। প্রতিবন্ধীর রাস্তা পারাপার একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ যেভাবে রাস্তা পার হতে পারে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা সেভাবে পারে না। ওভারব্রিজ ব্যবহার তাদের জন্য রীতিমতো যন্ত্রণা। তারা যেন সহজে রাস্তা পারাপার হতে পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদিকে নজর দিক। এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর বাংলামোটর ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের ছবিটি তুলেছেন জনকণ্ঠের নিজস্ব আলোকচিত্রী।
×