ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

তেজগাঁওয়ে সমিতির ঋণের টাকা দিতে না পারায় রাজমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৭:৫৮, ১৮ জানুয়ারি ২০১৬

তেজগাঁওয়ে সমিতির ঋণের টাকা দিতে না পারায় রাজমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়ায় সমিতির ঋণের টাকা দিতে না পারায় এক রাজমিস্ত্রি কামরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করে, মধ্যকুনিপাড়ার কাজী ভবন এলাকার ২৩/১ সি নম্বর বাসায় থাকতেন কামরুল। পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও উত্তরায় তার একটি মুদি দোকান ছিল। তিনি কুনিপাড়ার ‘বন্ধুজন ইলেট্রনিক্স সমিতি’র ঋণগ্রহীতা ছিলেন। এখানে থাকার সুবাদে উত্তরায় তার ব্যবসায়িক কাজের জন্য কামরুল ওই সমিতি থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নেন। সে টাকা পরিশোধের পর তিনি আবারও এক লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। কিন্তু দুই মাস ধরে ওই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাকে সমিতির লোকজন অপমান করে। শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ অবস্থায় কামরুল কামরাঙ্গীরচরে চলে যান। দুই সপ্তাহ সেখানে অবস্থান করেন। খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে সমিতির দফতর সম্পাদক এনায়েত, কালাম, সেলিম, শাহ আলমসহ পাঁচজন মাইক্রোযোগে কামরাঙ্গীরচর থেকে কামরুলকে ধরে নিয়ে আসে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে একটি বাড়িতে আটকে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাথরুমে যেতে চাইলে সেখানেও তাকে যেতে দেয়া হয়নি। পরে সেখানে গুরুতর আহত হন। ওইদিন রাতেই কামরুলকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করেন ওই সমিতির লোকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়। নিহতের ভাগ্নে রানা অভিযোগ করে, কামরুলকে নির্মমভাবে পেটানো হয়। এতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সমিতির লোকজন তাকে বিষ খাইয়ে দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি অভিযোগ করেন, কামরুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্তদের না পেয়ে দুই নারীকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। রানা জানান, পরে তারা এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এ ব্যাপারে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এখনও মামলা হয়নি। নিহতের শরীরে তেমন কোন মারধরের আঘাতও দেখা যায়নি। তবে হাতে ক্ষত চিহ্ন দেখা গেছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
×